হলদিয়া ব্লকের দেউলপোতা অঞ্চলের হাদিয়া জামকুণ্ড গ্রামের আনন্দ বেরা ও মনিদ্বীপা বেরার এক ছেলে এক মেয়ে। মেয়ে মানসী বেরাকে কালাচ সাপে কামড় দেয়। ডাক্তারের কছে না গিয়ে মহিষাদলের আচড়ার ওঝা মদন দেবনাথের কাছে নিয়ে যায়। সাপে দংশন কর…
হলদিয়া ব্লকের দেউলপোতা অঞ্চলের হাদিয়া জামকুণ্ড গ্রামের আনন্দ বেরা ও মনিদ্বীপা বেরার এক ছেলে এক মেয়ে। মেয়ে মানসী বেরাকে কালাচ সাপে কামড় দেয়। ডাক্তারের কছে না গিয়ে মহিষাদলের আচড়ার ওঝা মদন দেবনাথের কাছে নিয়ে যায়। সাপে দংশন করে রাত্রি 12:30 মিনিটে। তাকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে ওঝার কাছে নিয়ে যায় । রাত্রি 2.30মিনিট প্রজন্ত কেরামতি চলে। তিন গুলি খাওয়ানো ও ঝাড়ফুক ওঝার খপ্পরে পড়ে। অবশেষে মারা গেলেন। রক্ষা করা গেলনা একমাত্র কন্যা মানসী বেরাকে।
বাড় শুকলাল চক হাই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মানসী।রোল ১৩ পড়াশোনায় ছিল মেধা ।তার এই অকাল মৃত্যুতে স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে এলাকার সমস্ত মানুষ শোকাহত হয়ে পড়েছেন।
এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। খবর পেয়ে সুতাহাটা বিজ্ঞান মঞ্চ হাদিয়ার জামকুন্ডুগ্রামে যান ।পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির সহ সম্পাদক নকুল চন্দ্র ঘাটী,ও সুতাহাটা হলদিয়া বিজ্ঞান কেন্দ্রর মলয় মহাপাত্র।।এলাকাবাসির সঙ্গে কথা বলেন। এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানান। সোকাহত হয়ে সাপ সম্পর্কে আলোচনা করেন । তার বাবা-মা এবং পরিবারের অজ্ঞতা জন্যই মেয়েকে হারাতে হলো বলে জানালেন বিজ্ঞান মঞ্চের সহ-সম্পাদক নকূলচন্দ্র ঘাঁটি। তিনি আরো বলেন ওঝার কাছে না গিয়ে সরকারি হাসপাতালে গেলে মানসী কে বাচানো যেত।
No comments