দীর্ঘ প্রায় ৩১ বছর ধরে আইনি লড়াই লড়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমান করলেন হলদিয়ার এক মহিলা। ১৯৮৯ সালের ৭ই এপ্রিল হলদিয়ার দূর্গাচক এলাকার এক মহিলা (পরমা মাজি) মাদক রাখা, মাদক কেনাবেচার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। মাদক আইন ও আবগারি আইনে তার…
দীর্ঘ প্রায় ৩১ বছর ধরে আইনি লড়াই লড়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমান করলেন হলদিয়ার এক মহিলা। ১৯৮৯ সালের ৭ই এপ্রিল হলদিয়ার দূর্গাচক এলাকার এক মহিলা (পরমা মাজি) মাদক রাখা, মাদক কেনাবেচার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। মাদক আইন ও আবগারি আইনে তার বিরুদ্ধ্যে মামলা দায়ের করা হয়। আড়াই বছর ধরে জেলা খাটার পর তিনি অবশ্য জামিনে ছাড়া পান। জেলবন্দী থাকাকালিন তার স্বামীও মারা যান। এরপর থেকে দীর্ঘ প্রায় ৩১ বছর ধরে চলতে থাকে আইনি টানাপোড়েন। বাড়ি আদালত বিভিন্ন আইনি সহায়তাকেন্দ্র ঘুরতে থাকেন সুবিচারের আশায়। অবশেষে ২৯শে সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার তমলুক জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক মৌ চট্টোপাধ্যায় ওই মহিলাকে নির্দোষ হিসেবে বেকসুর খালাস করে দেন। এবং তার জীবনের যে সময় নষ্ট হয়েছে তার জন্য সর্বোচ্চ ক্ষতিপুরনের নির্দেশ দিয়েছেন। রাজনৈতিক কারনে তার মক্কেলকে তদানিন্তন বামফ্রন্ট সরকার পুলিশকে দিয়ে চক্রান্ত করে ফাসিয়েছিলেন। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, ওই মহিলার বিরুদ্ধ্যে অভিযোগের সত্যতা ছিল বলে উনি জেল খেটেছিলেন। পরবর্তীকালে ওনার পরিবার এখন তৃনমুল হয়ে গেছেন। তাই রাজ্যের শাসকদল পুলিশকে দিয়ে কেস ডায়েরি না দেওয়ায়, তিনি বেকসুর খালাস করে দেন। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে জেলা তৃনমুল নেতৃত্ব। সিপিএম যে তাদের রাজত্বকালে কিভাবে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলায় ফাসাতো, আদালতের রায়ে আজকে তা প্রমান মিলেছে। আর যাকে নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু, সেই ষাটোর্ধ মহিলা আজ নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতে পেরে খুশি হলেও কারো বিরুদ্ধ্যে তার কোনো অভিযোগ নেই। তার একটাই কথা, এবার অন্তত শান্তিতে মরতে পারবো।
No comments