৫০ বছরের কম বয়সি উপসর্গহীন রোগীরা বাড়িতেই থাকতে পারবেন
উপসর্গহীন করোণ আক্রান্তরা এবার বাড়িতেই থাকতে পারবেন। রিপোর্ট পজিটিভ এলেই আর তাকে হাসপাতলে কিংবা সেফ হোমে পাঠানো হবে না। সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার কারণে জেলা স্বাস্থ্য দ…
৫০ বছরের কম বয়সি উপসর্গহীন রোগীরা বাড়িতেই থাকতে পারবেন
উপসর্গহীন করোণ আক্রান্তরা এবার বাড়িতেই থাকতে পারবেন। রিপোর্ট পজিটিভ এলেই আর তাকে হাসপাতলে কিংবা সেফ হোমে পাঠানো হবে না। সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার কারণে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে ৫০ বছরের কম বয়সি আক্রান্তদের ক্ষেত্রেই এই নির্দেশ কার্যকর হবে। ২২ জুলাই মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মন্ডল বি এম ও এইচ এ নিয়ে নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন।
উপসর্গহীনরা বাড়িতেই থাকতে পারবেন। কিন্তু, বাড়িতে সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে থাকতে হবে। রোগীদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তর নিয়মিত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে।
গত তিন দিনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মোট ২৩৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যে গতিতে করোনা সংক্রামন ছড়াচ্ছে তাতে প্রত্যেক আক্রান্ত কে হাসপাতালে ভর্তি করা সম্ভব নয় ।
তাই এবার উপসর্গহীন এবং পঞ্চাশের কম বয়সী আক্রান্তদের স্বাস্থ্য দপ্তর হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার জোর দিয়েছে । তবে অসুস্থ অবস্থায় কারও পজিটিভ রিপোর্ট এলে কিংবা আক্রান্ত ব্যাক্তি বয়স্ক হলে তাকে হাসপাতালে অথবা সেফহোমে পাঠানো হবে ।
এই নির্দেশিকা দ্রুত কার্যকর করার জন্য সরকারি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং বি এম ও এইচ দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংক্রামন বৃদ্ধি সঙ্গে সঙ্গে করোনা হাসপাতাল ও বেড সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।বাড়ানো হচ্ছে সেফহোমে এর সংখ্যাও । হলদিয়ার পাশাপাশি ময়নাতে ও সেফ হোম
চালু হয়েছে ।পাঁশকুড়া মেছোগ্রাম চন্ডিপুরের পাশাপাশি কাঁথিতে ও করোনা হাসপাতাল চালু হয়েছে।
কিন্তু দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা একশো ছুঁতে চলায় একটা অংশকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতির কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন সি এম ও এইচ নিতাই চন্দ্র মন্ডল।
প্রতিদিন জেলায় প্রায় ৭০০ জনের নমুনা পাঠানো হচ্ছে। গড়ে ৮০ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসছে। আগামী দিনেও পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় তা নিয়ে চিন্তিত জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দপ্তর।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে মহিষাদল গেঁওয়াখালি বাসস্ট্যান্ডের এলাকায় ৭৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। কয়েকদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন।করোনা টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ হলেও রিপোর্ট আসেনি। এই অবস্থায় পড়েছিল এলাকাবাসী বাধা দিতে পারেন, এই আশঙ্কায় বাড়ির লোকজন দেহ সৎকারের ব্যাপারে এগনোর সাহস পায়নি। পুলিশ প্রশাসনের খবর দেওয়া হলেও সন্ধ্যায় মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করা হয়।
No comments