প্রায় প্রত্যেক দিনই ভাঙছে গতকালের রেকর্ড। হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এখন প্রায় ওলিগলিতেই ঢুকে পড়েছে সংক্রমণ। এমতাবস্থায় মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা থেকে ফিরে আসা আরও ৫ জন পরিযায়ী শ্রমিকের করোনা পজিটিভ ধরা পড়লো পূর্ব মে…
প্রায় প্রত্যেক দিনই ভাঙছে গতকালের রেকর্ড। হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এখন প্রায় ওলিগলিতেই ঢুকে পড়েছে সংক্রমণ। এমতাবস্থায় মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা থেকে ফিরে আসা আরও ৫ জন পরিযায়ী শ্রমিকের করোনা পজিটিভ ধরা পড়লো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা মহকুমায়।এদের মধ্যে ৪জনের বাড়ি এগরা ১ ব্লকের বড়নিহারী,পাঁচরোল ও শীপুরএলাকা।তবে বাকি ১জনের বাড়ি পটাশপুর ২ব্লকের ইচ্ছাবাড়ি এলাকায়।
তবে এই ৫জন পরিযায়ী শ্রমিকের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ার রিপোর্ট শনিবার সকালে হাতে পাবার পরেই নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর।জানা গিয়েছে, চলতি মাসের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহের দিকে নিজেদের বাড়ি ফিরেছেন এই সমস্ত করোনা আক্রান্ত রোগীরা।এরপরই সরকারি নির্দেশিকা মেনে গত ১৩ই জুলাই এদের লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয় ।এরপর এই ৫ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ দেখা দেওয়ায় চিকিৎসার জন্য শনিবার ওই ৫জন পরিযায়ী শ্রমিককে পাঠানো হয় পাঁশকুড়া বড়োমা কোভিড হাসপাতালে।পাশাপাশি আক্রান্তদের বসতি এলাকায় বাইরের এলাকার কারুর ঢোকা বেরুনো বন্ধ করেদেওয়া হয়েছে।তাছাড়া ভিন্ন রাজ্য থেকে ফিরে আসা গ্রামের যুবকের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
পাশাপাশি এদিন এগরা পুরসভার ১৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তথা এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের এক অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মী'র শরীরেরও পাওয়া যায় করোনা পজিটিভ।এরপর শনিবার সকালে স্বাস্থ্য দফতর থেকে তার করােনা পজিটিভ রিপাের্ট আসে।এরপর তাকে চিকিৎসার জন্য কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়।জানা গিয়েছে,বেশকয়েকদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন ওই স্বাস্থ্য কর্মী।তারপর হঠাৎই তার করোনা উপসর্গ মেলায় তার লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়।এরপর তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
আবার অপরদিকে কাঁথি শহরে রাজাবাজার ও সুপার মার্কেট এলাকার দুজন ব্যবসায়ীর শরীরে মিলল করোনা খোঁজ।স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন আগে এই দুজন ব্যবসায়ী কলকাতায় গিয়েছিলেন নিজেদের দোকানের মাল করতে।আর সেখান থেকে ফিরে আসার পর হঠাৎই দুজনের শরীরের করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তাদের লালা রস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় কলকাতায়।এরপর তাদের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।প্রশাসনের নির্দেশে মতো পুরোনো খড়গপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে কাঁথি পোস্ট অফিস মোড় পর্যন্ত গোটা এলাকা সিল করে দেয় প্রশাসন।পাশাপাশি দুই ব্যবসায়ীর সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন তা খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্যকর্মীরা।তবে দিনের পর দিন জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় কপালে ফাঁজ প্রশাসনের।
No comments