"সবুজ সন্ধানে মেতেছি মোরা
সাজাতে ধরণীতে"।
শিল্প শহর হলদিয়া আজ দূষণের কবলে জর্জারিত। শিল্প গুলি থেকে নির্গত বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত গ্যাস ও কঠিন পদার্থ বায়ুমন্ডলে মিশে গিয়ে পুরো অঞ্চলটিকে যেন আজ ধোঁয়ার কু…
"সবুজ সন্ধানে মেতেছি মোরা
সাজাতে ধরণীতে"।
শিল্প শহর হলদিয়া আজ দূষণের কবলে জর্জারিত। শিল্প গুলি থেকে নির্গত বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত গ্যাস ও কঠিন পদার্থ বায়ুমন্ডলে মিশে গিয়ে পুরো অঞ্চলটিকে যেন আজ ধোঁয়ার কুয়াশায় ঢেকে রেখেছে। অন্যদিকে গত কয়েক দশক ধরে মানুষের প্রকৃতির ওপর করে চলা মাত্রা অতিরিক্ত অত্যাচারের ফলে প্রকৃতির বুক থেকে হারিয়ে গেছে অসংখ্য সম্পদ, প্রকৃতির কোলে আশ্রয়রত মানুষ নামক সর্বশ্রেষ্ঠ জীবটি নিজের উচ্চাকাঙ্ক্ষা কি শ্রেষ্ঠ বলে প্রমাণিত করার জন্য প্রতিনিয়ত প্রকৃতির সর্বত্র করে চলেছে জল দূষণ, মৃত্তিকা দূষণ, বায়ু দূষণ ও বৃক্ষ ছেদনের এর মত মর্মান্তিক ঘটনা গুলো, যার ফলে আস্তে আস্তে করে বিনষ্ট হচ্ছে প্রকৃতির বাস্তুতন্ত্র ও
হারিয়ে যাচ্ছে ধরণীর ভারসাম্য।
ধরণীর বুকে প্রকট আকার ধারণ করছে বিশ্ব উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর মতো ভয়ঙ্কর ঘটনাগুলো। যার ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ দ্রুত হারে গলতে আরম্ভ করেছে ফল স্বরূপ আস্তে আস্তে করে সমুদ্রের জলের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সমুদ্রের বুকে হারিয়ে যাচ্ছে বহুসংখ্যক দ্বীপ, হারিয়ে যাচ্ছে উপকূলে আশ্রয়রত বহু পরিবার ও বিনষ্ট হচ্ছে ওই অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্র।
অতিমাত্রায় প্রকৃতির বুক থেকে বৃক্ষ ছেদনের ফলে কমতে আরম্ভ করেছে বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের মতো গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস বেড়ে চলেছে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ যার ফলস্বরূপ সমগ্র পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা খুব দ্রুততার সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
অন্যদিকে সুপার সাইক্লোন নামক আম্ফান ঝড়ের তাণ্ডবে শিল্পনগরী হলদিয়া থেকে শুরু করে প্রকৃতির বিভিন্ন প্রান্তে উপড়ে পড়েছে প্রকৃতির সবুজ সোনা, পরিণত হয়েছে তারা এখন সবুজ মৃত দেহে।
সর্বোপরি বলা যায় সমগ্র পরিবেশ জুড়ে চলছে যেন এক দূষণের বিভীষিকা। তাই শিল্পনগরী হলদিয়া এলাকায় বসানচক্ গ্রামে "ফিনিক্স পরিবার" ও "জিওগ্রাফি গাইড সেন্টার" এর ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ উদ্যোগ নিয়ে এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে বৃক্ষরোপণে ব্যস্ত আজ।
তাদের উদ্দেশ্য সবুজ, সুন্দর, দূষণমুক্ত পরিবেশ তৈরি করা, যাতে করে আমরা আপনারা এবং আমাদের আগামী প্রজন্ম সুস্থভাবে এই প্রকৃতির বুকে জীবন-যাপন করতে পারি।
যে রকম সুন্দর পরিবেশটি আমাদের পূর্ব পুরুষরা আমাদের দিয়ে গিয়েছিল।
"ফিনিক্স পরিবার' ও "জিওগ্রাফি গাইড সেন্টার" তারাও বদ্ধপরিকর সেই রকম সুন্দর পরিবেশ তাদের আগামী প্রজন্মকে দিয়ে যাওয়ার।
তাই তারা অনবদ্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি বিগত কয়েক বছর ধরে ধরণীকে সবুজ, সুন্দর ও দূষণমুক্ত করতে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, মিন্টু দাস, শ্রীদেব দাস ও অনুপম বেরা জানায় 2020 সালে তারা মোট 10,000 বৃক্ষরোপণ ও প্রদানের অঙ্গীকার নিয়েছেন। তারা জানায় কোচিং সেন্টারের ছাত্র-ছাত্রী, কয়েকজন শুভানুধ্যায়ী নিজেদের পকেট মানি বাঁচিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে তারা প্রকৃতিকে গড়ার এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা এও জানায় আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই তারা পার্শ্ববর্তী প্রায় তিনটি গ্রামের প্রতিটি পরিবারের হাতে ভাল জাতের ফলের চারা তুলে দেবে ও রোপন করবে।
জাতে করে প্রকৃতির ভারসাম্য কিছুটা হলেও ফিরিয়ে আনতে পারা যায় এবং চারিদিকে সবুজের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়।
No comments