Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

প্রকাশ্য বাজারে চলছে বিলুপ্তপ্রায় কচ্ছপ বিক্রি

করোনার মধ্যেই প্রকাশ্য বাজারে; বিলুপ্তপ্রায় কচ্ছপ বিক্রি চলছে। বিলুপ্ত প্রায় প্রাণীটি; ধীরে ধীরে লুপ্ত হতে বসেছে মানুষের সচেতনতার অভাবে। ঠিক যেমন সচেতনতা অভাবে দেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। এক একটি কচ্ছপ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ …


 করোনার মধ্যেই প্রকাশ্য বাজারে; বিলুপ্তপ্রায় কচ্ছপ বিক্রি চলছে। বিলুপ্ত প্রায় প্রাণীটি; ধীরে ধীরে লুপ্ত হতে বসেছে মানুষের সচেতনতার অভাবে। ঠিক যেমন সচেতনতা অভাবে দেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। এক একটি কচ্ছপ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ ও ১০০০ টাকায় বা তার বেশী। ফলে বেশি টাকা লাভের লোভে; পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বেশ বড় কারবার গড়ে উঠছে।

এমতাবস্থায় বেশ কয়েকদিন ধরেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ১ ব্লকের আলংগিরি,কুদি এলাকার বাজারে একেবারে প্রশাসনের নাকের ডগায় বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবৈধভাবে জ্যান্ত কচ্ছপ বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ৷ বারবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়া সত্ত্বেও কোনো ফল হয়নি৷ তবে কিছু সংখ্যক অসাধু কচ্ছপ ব্যবসায়ী ধরা পড়লেও কিছু অজানা কারণে আবার তারা ছাড়াও পেয়েও গিয়েছেন৷

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্য দিবালোকে এই অসাধু ব্যবসায়ীরা কচ্ছপ কেটে বিক্রি করছেন৷ কিন্তু কি করে তারা দিনের আলোয় এই কাজগুলো করতে সাহস পায়? নাকি প্রশাসন সব জেনেও চুপ করে আছে৷ স্থানীয় বাসিন্দারা আরও অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার ও রবিবার এগরা ১ ব্লকের আলংগিরি ও কুদি'র হাট এই এলাকার সবচেয়ে বড়ো হাট৷পাশাপাশি এগরা থানার ঢিল ছোড়া দূরত্বে সোমবার ও শুক্রবার বালিঘাই হাট এই দুই জায়গায় সপ্তাহে দুদিন প্রকাশ্যে জ‍্যন্ত কচ্ছপগুলোকে বেশি টাকার লোভে বিক্রি করে চলেছে৷তবে প্রশাসন কেন কিছু বলে না জানি না আমাদের মনে হয় পুলিশের সঙ্গে এইসব অসাধু ব্যবসায়ীদের গোপন আঁতাত রয়েছে৷

বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই বিলুপ্ত প্রায় প্রাণীটি ধীরে ধীরে লুপ্ত হয়ে পড়ছে৷আইনত কচ্ছপ ধরা বা মারা দণ্ডনীয় অপরাধ৷ শুধুমাত্র প্রশাসনিক উদাসীনতার কারণে প্রাণীটি অঘোরে মারা পড়ছে৷তবে অতিসত্বর এইসব অসাধু ব্যবসায়ীদের ধরে কঠোর শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি অবিলম্বে কচ্ছপের মাংস বিক্রি বন্ধ করা দরকার৷ নাহলে এই নিরীহ প্রাণীটি এই পৃথিবীর বুক থেকে চিরতরে হারিয়ে যাবে৷

বনদফতরের আধিকারিক প্রবীর কুমার সেন বলেন , কচ্ছপ বিক্রি রুখতে অতীতে লিফলেট করে প্রচার করা হয়েছে। বাজার কমিটিগুলিকেও চিঠি দিয়ে কচ্ছপ বিক্রি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সচেতনতা বাড়েনি।তবে ইতিমধ্যে আমাদের কাছে যা তথ্য এসে পৌঁচেছে তাতে করে এই অসাধু কচ্ছপ ব্যবসায়ীদের হাতেনাতে ধরা সম্ভব হবে৷

No comments