অদম্য মনের জোর নিয়মানুবর্তিতা আর কঠোর পরিশ্রমের ফলে এরাও মাধ্যমিকে নজরকাড়া সাফল্য পেল সুতাহাটা চৈতন্যপুর বিবেকানন্দ মিশন আশ্রম আবাসিক স্কুলের পড়ুয়ারা। স্কুলের দশজন পড়ুয়া মধ্যে আটজন ৮০ শতাংশের উপর নম্বর পেয়েছে এদের মধ্যে প…
অদম্য মনের জোর নিয়মানুবর্তিতা আর কঠোর পরিশ্রমের ফলে এরাও মাধ্যমিকে নজরকাড়া সাফল্য পেল সুতাহাটা চৈতন্যপুর বিবেকানন্দ মিশন আশ্রম আবাসিক স্কুলের পড়ুয়ারা। স্কুলের দশজন পড়ুয়া মধ্যে আটজন ৮০ শতাংশের উপর নম্বর পেয়েছে এদের মধ্যে পার্থ কুন্ডু ৯৪.৪৩ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মধ্যে সম্ভাব্য প্রথম হয়েছে। পার্থর প্রাপ্ত নম্বর ৬৬১ শুধু পার্থ নয় সুশান্ত সিংহ ৯৩.৮৬ শতাংশ এবং দিপালী সিট ৯২.৫৭ শতাংশ নম্বর পেয়ে রাজ্যে সম্ভাব্য দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন। গতবছর এই স্কুলের টুম্পা পাল ৬৫৬পেয়ে রাজ্যের দ্বিতীয় হয়েছিল।
দৃষ্টিহীন পড়ুয়াদের প্রায় সকলেই হতদরিদ্র পরিবারের ছেলে মেয়ে এদের মধ্যে ৭ জন ছাত্র ৩ জন ছাত্রী দু'চোখে অন্ধকার মনের আলোর দূর করে ওরা এখন মাধ্যমিকে উজ্জ্বল তারকা স্কুলের সর্বোচ্চ নম্বর বাঁকুড়া কোতুলপুর থানা জয়রামবাটি দেপাড়া গ্রামে তার বাবা চাষবাস করে সংসার চালান জন্মগত দৃষ্টিহীন ছোট পার্থকে তার পরিবার ক্লাস টু তে এনে মিশনে ভর্তি করেছিল। পড়াশোনার পাশাপাশি রবীন্দ্র সংগীত গান গায়।বাংলা ৯৭ ইংরেজিতে৯৪ অংকে ৯৫ পদার্থবিজ্ঞানে ৯৫ জীবন বিজ্ঞানে ৯০ ইতিহাস ৯৫ এবং ভূগোলে ৯৫ নম্বর পেয়েছে। উচ্চশিক্ষা নিয়ে পার্থর ইচ্ছে শিক্ষক হওয়াও দৃষ্টিহীনদের জন্য কাজ করা ।
মিশন স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন ১০জন দৃষ্টিহীন পড়ুয়ার বাড়ি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। এদের কারো বাড়ি বাঁকুড়া প্রত্যন্ত গ্রামে কারোর বাড়ি পুরুলিয়া কেউ দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তবে সকলেই প্রাথমিক স্তর থেকে এখানেই পড়াশোনা করছে। এদের কারো বাবা চাষবাস করেন কার ও বাবা-মা ভয়েই দিনমজুরি করেন, কার ও বাবা নেই, মা মানসিক ভারসাম্যহীন ।
পার্থ ছাড়াও বাকিরা হলো সে সুশান্ত সিং প্রাপ্ত নম্বর ৬৫৭ দিপালী সিট৬৪৮ স্বাতী বেরা ৬২৩ বাবলু কৈবর্ত ৬০৭ শক্তিপদ পাল ৫৯৩ রবিন মান্ডি ৫৮৫ বিশ্বজিৎ বেরা ৫৭১ বন্দনা কৈবর্ত ৫৫৯ ও পার্থ ধবল দেব ৪৮৫।
এদের মধ্যে রবীন দারুন সাঁওতালি গান গায়। তার বাড়ি লালগড়ের পুনাপানি জঙ্গলে। পুরুলিয়ার বাবলু সবাইকে পাহাড়িয়া বাঁশির সুরে মোহিত করে দেয়। দাঁতনের বিশ্বজিৎ খেলাধুলায় চ্যাম্পিয়ান।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আশিষ পন্ডা ও ব্রেহিল কম্পিউটার শিক্ষক সান্তনু মাইতি বলেন দৃষ্টিহীন ছেলেমেয়ে গুলো আমাদের প্রেরণা দেয় এদের এই সাফল্য আমাদের স্কুল কে গর্বিত করেছে।
No comments