নতুন করে গণ্ডিবদ্ধ এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। কার্যকর করা হয়েছে লকডাউনও। কিন্তু তাতেও বাগে আসছে করোনা। শেষমেষ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সদর শহর তমলুকে শুক্রবার থেকে সম্পূর্ণরূপে লকডাউন জারি করল পুরপ্রশাসন। তবে প্রশাসন সূত্রের খবর, শুক…
নতুন করে গণ্ডিবদ্ধ এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। কার্যকর করা হয়েছে লকডাউনও। কিন্তু তাতেও বাগে আসছে করোনা। শেষমেষ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সদর শহর তমলুকে শুক্রবার থেকে সম্পূর্ণরূপে লকডাউন জারি করল পুরপ্রশাসন। তবে প্রশাসন সূত্রের খবর, শুক্রবার থেকে আগামী ১০ দিন শহর এলাকায় সম্পূর্ণ লাকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। এ দিন সকাল ১০টা থেকে তমলুক শহরে লকডাউন শুরু হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের তরফে স্থানীয় এলাকায় টহল চলছে। লকডাউনে জরুরি পরিষেবা (ওষুধ, গ্যাস) ছাড়া সমস্ত দোকান খোলার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নিয়ম মতো, সোম, বুধ, শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সমস্ত দোকান খোলা যাবে। রবিবার সকাল ৭টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত সব দোকান খোলা রাখা যাবে। অন্য সময় সব দোকানপাট (ভূষিমালের দোকানও এর মধ্যে পড়বে) বন্ধ থাকবে। প্রধান রাস্তা দিয়ে দূরপাল্লা এবং জেলার বাসগুলি চললেও শহরের ভিতরের রাস্তা প্রয়োজন ছাড়া কোন যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে না। লকডাউনে জেলা প্রশাসনিক অফিস, ব্যাঙ্ক এবং ডাকঘর খোলা থাকবে। পুরসভার জরুরি বিভাগ ছাড়া অন্য বিভাগ বন্ধ থাকবে। তমলুক পুরপ্রশাসক রবীন্দ্রনাথ সেন বলেন, "শহরে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তাই শহর জুড়ে শুক্রবার থেকে ১০ দিনের জন্য ফের সম্পূর্ণ লকডাউন করা হচ্ছে। সপ্তাহের কয়েকদিন দোকানপাট খোলা থাকবে। জরুরি প্রয়োজনে বাসিন্দারা বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন। তবে তার জন্য উপযুক্ত নথি দেখাতে হবে। কিন্তু পুলিশ- প্রশাসনের নজরদারি চলবে।" শহরে ফের লকডাউন কার্যকর করা নিয়ে ব্যাবসায়ীদের সংগঠন 'ব্রহ্মা বারোয়ারী বাজার কমিটি'র তরফে বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, "নয়া সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছি। তবে লকডাউন যাতে সঠিকভাবে কার্যকরী হয় সে জন্য প্রশাসনের তরফে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা প্রয়োজন।"
No comments