Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

পূর্ব মেদিনীপুর উচ্চমাধ্যমিকে জয়জয়কার

বহু প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রকাশিত হল এবছরের উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল।উচ্চমাধ্যমিকে পাশের হার ৯০.১৩ শতাংশ৷ সর্বোচ্চ নম্বর উঠেছে ৫০০-র মধ্যে ৪৯৯৷ ছাত্রদের পাশের হার ৯০.৪৪ শতাংশ৷ ছাত্রীদের পাশের হার ৯০ শতাংশের বেশি৷ এবছর উচ্চ মাধ্যম…






 বহু প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রকাশিত হল এবছরের উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল।উচ্চমাধ্যমিকে পাশের হার ৯০.১৩ শতাংশ৷ সর্বোচ্চ নম্বর উঠেছে ৫০০-র মধ্যে ৪৯৯৷ ছাত্রদের পাশের হার ৯০.৪৪ শতাংশ৷ ছাত্রীদের পাশের হার ৯০ শতাংশের বেশি৷ এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসে ছিলেন ৭ লক্ষ ৬১ হাজার ৫৮৩ জন৷ পাশ করেছেন ৬ লক্ষ ৮০ হাজার ৫৭ জন পরীক্ষার্থী৷ ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি পড়ুয়া৷ ৮০ থেকে ৮৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৭৪৬ জন৷ এই প্রথম ফার্স্ট ডিভিশনের নম্বর বা ৬০ শতাংশের বেশি পেয়েছেন ৫০ শতাংশ পড়ুয়া৷ ৯০ শতাংশের বেশি পাসের হার মাধ্যমিক তো দূরের কথা, উচ্চমাধ্যমিকে নজিরবিহীন৷ তবে মাধ্যমিকের মতো উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফলেও পূর্ব মেদিনীপুর জয়জয়কার। রাজ্যের মধ্যে প্রথম দশে এই জেলার ১৩ জন। যে তালিকায় জেলা সদর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুলও রয়েছে।

এবছর ৪৯৭ নম্বর পেয়ে এবার রাজ‍্যে সম্ভাব্য তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে ভগবানপুর থানার কাজলাগড় এম এস বি সি এম হাইস্কুলের ছাত্রী সায়নী মহাপাত্র।তার বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর ১ ব্লকের দলবাড় গ্ৰামে।তার বাবার নাম গৌতম কুমার মহাপাত্র,পেশায়- বেতুলিয়াচক লালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মা সাথী মহাপাত্র, পেশায় চড়াবাড় গালর্স স্কুলের পার্শ্বশিক্ষক।

এই ফলাফল তার কাছে অপ্রত্যাশিত জানিয়ে বলে বাকি থাকা দু’টো পরীক্ষা হলে হয়তো ফলাফল অন্যরকম হতে পারত। তার এই কৃতিত্ব মা, বাবা, দাদু,ঠাকুমা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উৎসর্গ করছে বলে সে জানায়।তবে একই সঙ্গে দু’টো পরীক্ষা দিতে না পারার আক্ষেপ সারা জীবন থাকবে জানিয়েছে সায়নী।


রাজ‍্যে তৃতীয় স্থান অধিকারী ছাত্রী সায়নী মহাপাত্র বলেন,লকডাউনের কারণে দুটি পরীক্ষা বাতিল হয়ে গিয়েছিল৷ আমরা খুব চিন্তায় ছিলাম৷ ফলাফল কেমন হবে সেই নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলাম৷
তবে আমার এই সাফল্যের খবর পেয়ে খুব ভালো লাগছে।তবে এতটা ভালো হবে তা জানতাম না ।তাছাড়া ভালো ফল করব এটা পরীক্ষা দেওয়ার পর থেকে আশা করে ছিলাম।তবে স্কুল ও টিউশান ছাড়া ৬ থেকে ৭ ঘন্টা পড়াশোনা করতাম‌।তবে আমার এই কৃতিত্বের পেছনে বাবা মা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবদান সত্যিই অনস্বীকার্য।তবে শুধু পড়াশোনা নয় তার পাশাপাশি নাচ,গান, গল্পের বই,ম্যাগাজিন নিয়ে পড়াশোনা করতাম।তাছাড়া ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চাই ।তার কারন ডাক্তার হয়ে চিরকাল মানুষের সেবা করতে চাই,তাছাড়া আমার দাদু সব সময় চাইতেন তার দুই ছেলে অথাৎ আমার বাবা ও কাকু যাতে বড়ো হয়ে ডাক্তার হোক। কিন্তু পরিবারের অভাব অনটনের কারনে তা হয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি।তাই দাদুর ইচ্ছে ও আমার ইচ্ছের কথা মাথায় রেখে আমি চিকিৎসক হতে চাই।তবে পরবর্তী দিনে সেই লক্ষ্যেই সে এগিয়ে চলতে চাই।

No comments