হলদিয়া রিফাইনারি কর্মরত ইঞ্জিনিয়ার অম্বুজাক্ষ মাইতির মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে হলো না। অস্বাভাবিক মৃত্যুর শিকার দেশপ্রাণ ব্লকের ফুলেশ্বর গ্রামের অম্বুজাক্ষ মাইতির মৃতদেহে কোন অাঘাত বা দাগের চিহ্ন না থাকায় হলদিয়…
হলদিয়া রিফাইনারি কর্মরত ইঞ্জিনিয়ার অম্বুজাক্ষ মাইতির মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে হলো না। অস্বাভাবিক মৃত্যুর শিকার দেশপ্রাণ ব্লকের ফুলেশ্বর গ্রামের অম্বুজাক্ষ মাইতির মৃতদেহে কোন অাঘাত বা দাগের চিহ্ন না থাকায় হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে রেফার করেন। ময়নাতদন্তের জন্য অম্বুজাক্ষের মৃতদেহকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রসঙ্গত,অম্বুজাক্ষরের আগেই রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হয়েছিল তমলুক এক মহিলার সাথে। গত ১৫ জুন তাদের বিবাহ দিন ঠিক হয়েছিল কিন্তু লকডাউন এর জন্য সেই বিবাহ পিছিয়ে যায়।
অম্বুজাক্ষের বাবা রথীন্দ্র প্রসাদ মাইতির অভিযোগ তার ছেলের কয়েকজন সহকর্মী গভীর রাত পর্যন্ত ছেলের সাথে কাটিয়েছেন। তাঁরাই থানায় খবর না দিয়ে কোয়ার্টারের তালা ভেঙে অম্বুজাক্ষের মৃতদেহকে মেঝেতে শায়িত অবস্থায় দেখলেন। মৃতদেহকে নিজেরাই অাইও সি হাসপাতালে নিয়ে গেলেন।ডেথ সার্টিফিকেটে ব্রট ডেড লেখা আছে। হলদিয়া আইওসির ইঞ্জিনিয়ারের বাবার দাবি হাসপাতালে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার পরে পুলিশ কে খবর দেওয়া হল কেন?অম্বুজাক্ষের তমলুকের বাগদত্তা খবর পেল সকাল ৮ টায়।অথচ ফুলেশ্বরে বাবাকে অম্বুজাক্ষের মৃত্যুর খবর দেওয়া হল দুপুর ১২ টায়।বাগদত্তা কে খবর দিল কে?বাগদত্তা সহ তার পরিবারের লোকজনের মধ্যে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে কোন হেলদোল নেই কেন?অাজকে হলদিয়া হাসপাতালে বাগদত্তা বা তার পরিবারের লোকজন অনুপস্থিতই বা কেন? বহু প্রশ্ন ইতিমধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। হতভাগ্য পিতা রথীন্দ্র প্রসাদ মাইতির অভিযোগ তাঁর পুত্রকে চক্রান্ত করে খুন করা হয়েছে। তিনি হলদিয়া থানায় অভিযোগ ও করেছেন। তিনি নিরপেক্ষ তদন্তের দাবী জানিয়েছেন। পারিবারিক সুহৃদ ও প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন তরুণ ইঞ্জিনিয়ার অমুজাক্ষ মাইতির মৃত্যুর সিআইডি তদন্তের দাবী জানিয়েছেন। যাইহোক মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকেই মৃত্যু রহস্যের অনেকটা সূত্র পাওয়া যাবে বলে ওয়াকিবহাল মনে করছেন।
No comments