পূর্ব মেদিনীপুর ঃ করোন ভাইরাসের কারনে সরকারের পক্ষ থেকে লকডাউন ঘোষনা করা হয়। দীর্ঘ সেই লকডাউনে কাজকর্ম হারিয়ে অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে সাধারন মানুষ। কাজ না থাকায় রুজিরুটিতে টান ধরেছে। ফলে বহু মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাদের প…
পূর্ব মেদিনীপুর ঃ করোন ভাইরাসের কারনে সরকারের পক্ষ থেকে লকডাউন ঘোষনা করা হয়। দীর্ঘ সেই লকডাউনে কাজকর্ম হারিয়ে অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে সাধারন মানুষ। কাজ না থাকায় রুজিরুটিতে টান ধরেছে। ফলে বহু মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে জনপ্রতিনিধি থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।রবিবার মহিষাদলের "মহিষাদল নাইস ওয়ার্ল্ড " নামে একটি নৃত্য প্রশিক্ষনের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানে ৫০ জন দুঃস্থ পরিবারে হাতে এক সপ্তাহের প্রয়োজনীয় রান্নার সবজি থেকে মশলা সমস্ত কিছু তুলে দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানের সম্পাদক তথা প্রশিক্ষক বিশ্বনাথ মাইতি জানান, প্রতিষ্ঠানের বহু ছাত্রছাত্রীর পরিবার বর্তমান সময়ে কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এই উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। মহিষাদল, নন্দকুমার, নন্দীগ্রাম, হলদিয়া ব্লকে দুঃস্থ পরিবারে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী প্রদানের পাশাপাশি পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনুসারে মাস্কও প্রদান করা হয়।মহিষাদল কমলপুর গ্রামকমিটির উদ্যোগে এলাকার প্রায় আড়াশো দুঃস্থ মানুষের হাতে আলু, ডাল, সাবান সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দেওয়া। শিক্ষক দম্পতির উদ্যোগে মহিষাদলের তেরপেখ্যা গ্রামের প্রায় দু'শ পরিবারের হাতে সবজি, মশলা, বিস্কুট সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দেন ইলা হাইত দে, তার স্বামী ও পুত্র।মেছেদা সৃজনের উদ্যোগে কোলাঘাট থানার আন্ডারে খারুই গ্রামে খারুই উত্তর পাড়া কেজি স্কুলের মাঠে লকডাউনে পরিস্থিতির শিকার ৩৫০ পরিবারকে পাশে থাকার বার্তা দিয়ে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।এই নিয়ে ঠিক এক মাস যাবৎ এই কর্মসূচির মাধ্যমে সৃজন সেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে ৩০০০এর ওপর পরিবারের পাশে দাঁড়ানো হলো.। আগামী ৩ তারিখের মধ্যে লকডাউনের পর্বে ৫০০০ পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে সৃজন সংস্থা এমনি জানিয়েছেন সংস্থার অন্যতম সদস্য ঋত্বিক আদক। মহিষাদলের মাশুড়্যা নবীন সংঘের পক্ষ থেকে এলাকা ৫০০ পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী তথা কন্টাই কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের আর্থিক সাহায্যে রবিবার মহিষাদল ব্লকের নাটশাল কুম্ভচক গ্রামে এক হাজার দুস্থ পরিবারের হাতে রান্না করা খাওয়ার তুলে দেওয়া হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে রান্না করা খাওয়ার পেয়ে খুশি এলাকার মানুষ।।
No comments