সতীশ সামন্তের জন্মদিনে কি বার্তা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী!
আমরা প্রায় আড়াই কিলোমিটারের কাছাকাছি অ্যাঙ্কারেজ ক্যাম্প যেখানে সতীশ বাবু বন্দরের পত্তন ঘটিয়েছিলেন, সেখান থেকে এখানে হেঁটে এসে তার সুন্দর একটি মূর্ত…
সতীশ সামন্তের জন্মদিনে কি বার্তা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী!
আমরা প্রায় আড়াই কিলোমিটারের কাছাকাছি অ্যাঙ্কারেজ ক্যাম্প যেখানে সতীশ বাবু বন্দরের পত্তন ঘটিয়েছিলেন, সেখান থেকে এখানে হেঁটে এসে তার সুন্দর একটি মূর্তি আমরা উন্মোচন করেছি ভারতীয় মজদুর সংঘের এই স্থায়ী কার্যালয়ে।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন এখানে বক্তব্য রাখার কিছু নেই। নতুন প্রজন্মকে সতীশ বাবুর কথা জানানোর উদ্দেশ্যেই তার জন্মদিনে আমাদের এই কার্যক্রম। এবং আমি অত্যন্ত গর্বিত যে আমি এখানে লোকসভায় ২০০৯ এ সাংসদ হওয়ার পরে সতীশ বাবুর বাড়িতে প্রত্যেক বছর ১৫ই ডিসেম্বর একটা ইঁটের পাঁজর-এ মালা দেওয়া হতো। ইঁটের গাঁথনি করে সতীশ বাবুর নাম লেখা ছিল। মূর্তি ছিল না।তার বাড়িতে মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা, তার ব্যবহৃত ছড়ি, জুতো, ধুতি, তার ব্যবহৃত কোট, যা যা, চশমা, যা যা পাওয়া গেছে তার বাড়িতে, তার বাড়ির উল্টো দিকে সংরক্ষণাগার আপনাদের আশীর্বাদে আমার হাত দিয়ে তৈরি। সতীশ বাবুতে বাড়িতে যাওয়ার জন্য এইচডি এর পক্ষ থেকে ঢালাই রাস্তা। এবং যখন সতীশ বাবুর বাড়িতে আমি প্রথম গেছি, সাংসদ নির্বাচিত হয়ে, একটা কাঠের নড়বড়ে ব্রিজ ছিল। গ্রামের লোক আমাকে বলতো সতীশ বাবু, সুশীল বাবুরা গোটা রাজ্যের উন্নয়ন করেছেন, হলদিয়ার এত বড় বন্দর এনেছেন, কিন্তু তিনি, আমরা যখনই বলতাম বলতো পরে হবে, ঘরে কেন আমি করব? সতীশ বাবু এই কাজগুলো আমাকে দিয়ে করাবেন বলে রেখে গিয়েছিলেন। আমি সেখানে পাকা ব্রিজও করে দিয়েছি সতীশ বাবুর বাড়ি দিয়ে যাওয়ার। আমি খুশি।
আজকে অনেকে হলদিয়াতে করে খাচ্ছে, হলদিয়াকে ভাঙিয়ে খাচ্ছে, কিন্তু সতীশ বাবুর কথা তারা ভুলে গেছে।
সতীশ বাবু, রাষ্ট্রবাদ, দেশপ্রেমের যে কথা বলেছিলেন, তিনি কারোর পারমিশন নেননি। তিনি সবাইকে নিয়ে, এই মেদিনীপুরের মানুষকে নিয়ে, ১৯৪৭ এর ১৫ ই আগস্টের আগে, '৪২-এর ১৭ই ডিসেম্বর স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল। এটাই মেদিনীপুর। সবাই পতাকা তুলেছে '৪৭-এর মধ্যরাতে, আর মেদিনীপুর পতাকা তুলে দিয়েছে '৪২-এর ১৭ই ডিসেম্বর। এটা সম্ভব হয়েছে সতীশ বাবু, সুশীল বাবু, বিরাজ বাবু, রজনী প্রামাণিক, কুমার জানা যারা যারা ছিলেন বলে।
তাই ভারতীয় মজদুর সংঘ এই সুন্দর অফিস নির্মাণের মধ্যে দিয়ে নিজের কাজ শেষ করেনি। আজকে তার এই সুন্দর এবং আমি তো মূর্তি দেখে, মূর্তির আকারটা ছোট, কিন্তু অ্যাকচুয়াল সতীশ বাবুর, তাকে দেখলেই বুঝা যাচ্ছে, এই মহীরুহ দাঁড়িয়ে আছে। দুপুর হয়ে গেলেও প্রচুর মানুষজন এসেছেন, মিছিলে অন্তত তিন সাড়ে তিন হাজার মানুষ আমাদের সঙ্গে হেঁটেছেন জাতীয় পতাকা নিয়ে। আপনারা সবাই ভারতীয় মজদুর সংঘের আপ্যায়ন গ্রহণ করে যাবেন।
তিনি বলেন, নিজের তরুণ সন্তানকে সতীশ বাবুর কথা বলবেন, রাষ্ট্রবাদের কথা বলবেন, দেশপ্রেমের কথা বলবেন। ভারতের ভিতরে এবং বাইরে থেকে যারা দেশকে কমজোর করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে বাড়িতে বাড়িতে অগ্নীবীর তৈরি করবেন।যদি পহেল গ্রামের মত ঘটনা ঘটে, অপারেশন সিন্দুরের মত প্রয়োজন হয়, সতীশ বাবুর ডাক শুনে যেমন, গান্ধীবুড়ি মাতঙ্গিনী হাজরার ডাক শুনে যেমন, মেদিনীপুরের ছেলেরা রাস্তায় নেমেছিল, ছেলে মেয়ে সবাই, দরকার হলে সীমান্তে যাবো, আর সীমান্তের ওপারে ভারতে যারা খাচ্ছে, ভারতে যারা ঘুমাচ্ছে, যারা এখানে বসে পাকিস্তানের গুণগান করছে, তাদেরকে একেবারে আমরা আমাদের গাঁয়ের কথায় বলে ‘গেড়ু উপড়াতে’ হবে। শিকড় তুলে ফেলে দিতে হবে। এটাই রাষ্ট্রবাদের আজকের শপথ এবং সংকল্প। ভারতীয় মজদুর সংঘ রাজ্য সভাপতি প্রদীপ বিজলী বলেন আমরা সতী সামন্তর চ্যারিটিবল ট্রাস্টের উদ্যোগে গ্রামের পিছিয়ে পড়া মানুষজনদের স্বনির্ভর করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করব এবং আজকের সতীশ বাবুর জন্মদিনে হলদিয়া এঙ্কারেজ ক্যাম্প থেকে বিশাল মিছিল এই মিছিলে আবাল বৃদ্ধ বনিতা এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ সকলকে আমি আমাদের দলের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানাই।
No comments