জলপ্রকল্পের বেতন চুক্তির বৈঠকে প্রশ্ন বাড়তি বেতনের টাকা দেবে কে,
নিজস্ব সংবাদদাতা, হলদিয়া: আজ, বুধবার মহিষাদলের গেঁওখালি জলপ্রকল্পের নয়া বেতনচুক্তি নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হতে চলেছে। তবে তার আগে ওই চুক্তি নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। ওই…
জলপ্রকল্পের বেতন চুক্তির বৈঠকে প্রশ্ন বাড়তি বেতনের টাকা দেবে কে,
নিজস্ব সংবাদদাতা, হলদিয়া: আজ, বুধবার মহিষাদলের গেঁওখালি জলপ্রকল্পের নয়া বেতনচুক্তি নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হতে চলেছে। তবে তার আগে ওই চুক্তি নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। ওই প্রকল্প পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা হলদিয়া ওয়াটার সার্ভিস চুক্তির অর্থনৈতিক দায় এবং সময়কাল নিয়ে শ্রমদপ্তরের কাছে একাধিক প্রশ্ন তুলেছে। পাশাপাশি বাড়তি ৫০-৫৫ জন শ্রমিকের বোঝা বইতে হচ্ছে বলেও শ্রম দপ্তরকে সমস্যার কথা জানিয়েছে ওই সংস্থা। গেঁওখালি জলপ্রকল্প হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সম্পদ। ২০১৯ সালে ওই প্রকল্প পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় হলদিয়া ওয়াটার সার্ভিসকে। ওই জলপ্রকল্পের ওপর নির্ভর করে হলদিয়ার শিল্প সংস্থাগুলি এবং পুরসভা। ২০০৮ সালে ওই প্রকল্প পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় টাটাদের সাবসিডিয়ারি সংস্থা জুসকো'কে। ওই সময় থেকেই জলপ্রকল্পের বেতনচুক্তির মেয়াদ ৫ বছরের হয়ে আসছিল। পরে ২০২১ সালে এসে ওই মেয়াদ কমিয়ে ৩ বছরের করা হয়। এবার ফের সেই মেয়াদ ৫ বছরের করা হবে বলে জানা গিয়েছে। শ্রমিকদের বক্তব্য, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে পুরনো বেতনচুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। প্রায় দু'বছর ধরে নতুন বেতনচুক্তির দাবিতে জলপ্রকল্পের শ্রমিকরা আন্দোলন করছেন। একাধিকবার আলোচনার পরও কোনও সমাধানসূত্র বেরয়নি। সেজন্য গেট ঘেরাও করে আন্দোলনের পথ নিয়েছেন বলে দাবি শ্রমিকদের। হলদিয়া ওয়াটার সার্ভিসের অভিযোগ, বেতন বাড়ানোর নাম করে শ্রমিকদের একাংশ গেট ঘেরাও করে বার বার গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে। তারা সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে দিনের পর দিন অভব্যতা করছে, রীতিমতো গুণ্ডামি করছে।
ওয়াটার সার্ভিসের চিফ অপারেটিং অফিসার নিখিল মোহন্তর দাবি, ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৫ বছর মেয়াদের বেতনচুক্তি হয়েছিল জুসকোর সঙ্গে। সেসময় বেতনচুক্তির আর্থিক দায়ভার আংশিক নেওয়ার জন্য হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে বিল দিয়েছিল জুসকো। পরে ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত আবারও ৫বছরের চুক্তি হয় পাঠক ইঞ্জিনিয়ারিং নামে একটি সংস্থার সঙ্গে। নিখিলবানুর দাবি, পুরনো ধারাবাহিকতা ভেঙে তাদের ওপর ৩ বছরের চুক্তি করতে বাধ্য করা হয়। ওই সময় নতুন সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ায় অভিজ্ঞতা ছিল না। এই তথ্য হলদিয়ার ডেপুটি লেবার কমিশনারের কাছে তুলে ধরে
হলদিয়া ওয়াটার সার্ভিস জানিয়েছে, তাদের সংস্থায় এই মুহূর্তে ২১০জন শ্রমিক কাজ করেন। তাদের প্রয়োজন ১৬০জন। বাড়তি শ্রমিকের অর্থনৈতিক বোঝা বইতে হচ্ছে। অবসরের বয়স পেরনোর পরও কাউকে বাদ দেওয়া যাচ্ছে না। ওই শ্রমিকরা মিনিমাম ওয়েজেসের কয়েকগুণ বেশি বেতন পাচ্ছেন। এদের গড় বেতন ২৭ হাজার টাকার ওপর। এরা সিংহভাগই আনস্কিলড। তাছাড়া, হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে বার বার বলার পরও তারা বেতনচুক্তির জন্য কোনও দায় নিতে চায় না। এই বোঝা বইতে হচ্ছে হলদিয়া ওয়াটারকেই। ওই সংস্থা বেতন বাড়াতে রাজি। তবে এইচডিএকে বেতন বৃদ্ধির কারণে বাড়তি বোঝার ৬৫ শতাংশ দায় নিতে হবে বলে প্রস্তাব দিয়েছে এইচডিএকে।
No comments