Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

দুর্গাচক নীলকণ্ঠ ও রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের রাস উৎসবে গ্রামীণ মহামিলন মেলা!

দুর্গাচক নীলকণ্ঠ ও রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের রাস উৎসবে গ্রামীণ মহামিলন মেলা!হলদিয়ার দুর্গাচকে নীলকণ্ঠ ও রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের রাস উৎসবে মানুষের মহামিলন মেলা। দুর্গাচকের প্রিয়ংবদা হাউজিং সংলগ্ন নীলকন্ঠ ও রাধাকৃষ্ণের জোড়া মন্দির প্রাঙ্গণে ৩র…

 




দুর্গাচক নীলকণ্ঠ ও রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের রাস উৎসবে গ্রামীণ মহামিলন মেলা!

হলদিয়ার দুর্গাচকে নীলকণ্ঠ ও রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের রাস উৎসবে মানুষের মহামিলন মেলা। দুর্গাচকের প্রিয়ংবদা হাউজিং সংলগ্ন নীলকন্ঠ ও রাধাকৃষ্ণের জোড়া মন্দির প্রাঙ্গণে ৩রা নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে শ্রীকৃষ্ণের বিভিন্ন লীলা বারা বারি ও রাস উৎসব। এলাকার মানুষের সহযোগিতায় চতুর্থ বছর এই মহামিলন মেলা। রাস উৎসব কে কেন্দ্র করে এই মেলায় আলোর রোশনায় মন্দির প্রাঙ্গণ ভরে উঠেছে ছোট ছোট শিশুদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন খেলনা নাগরদোলা থেকে টয় ট্রেন আট থেকে আশি সকলেই মেতে উঠেছে রাস পূর্ণিমা থেকে শুরু হয়েছে রাসের মেলা। রাস উৎসব কে কেন্দ্র করে আগামী ৯ নভেম্বর থাকছে বিশেষ মহা প্রসাদ গ্রহণের ব্যবস্থা তার জন্যই এলাকার মানুষ মন্দির প্রাঙ্গণে এসে নিজেদের স্বার্থ মত ভোগ প্রসাদের জন্য দান সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন  মন্দির কমিটির নিকটে।  সূত্রে জানা যায়, রাস উৎসব শুরু থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়েছে। প্রত্যেকদিন থাকছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক লোকো শিল্পী যাত্রা অনুষ্ঠান। কমিটির সম্পাদক উত্তম  দাস অধিকারী বলেন আগামী ৯ নভেম্বর সকাল থেকে প্রায় সন্ধে পর্যন্ত মহাভোগ প্রসাদের জন্য দীর্ঘ লাইন পড়ে। ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে সব ধর্মের মানুষের এক মিলনস্থল হয়ে ওঠে মন্দির প্রাঙ্গণ। কোথাও কোনও হুড়োহুড়ি কিংবা বিরক্তির লেশমাত্র নেই। শৃঙ্খলা মেনে মুখে হাসি নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে থাকেন সবাই। মাটিতে বসেই রাধাকৃষ্ণের পুজোর প্রসাদ খান মানুষজন। ভক্তজনের স্বতঃস্ফূর্ত আবেগ এবং উৎসাহ সত্যিই নজর কেড়েছে। জোড়া মন্দিরের রাস উৎসবের শেষদিন হয়ে উঠে আনন্দোৎসবের মহাপ্রাঙ্গণ। 

মন্দির কমিটি জানিয়েছে, সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সাহায্য নিয়েই প্রধানত এই মহাভোগ প্রসাদের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বহু মানুষ এজন্য মন্দিরের দান বাক্সে নিজেদের সাধ্যমতো সাহায্য করেন। বছরের অন্যান্য সময়ে প্রতিদিন দুপুরে মন্দিরে ভোগ প্রসাদের ব্যবস্থা থাকে। মন্দিরের প্রসাদ পার্সেল করেও বহু মানুষ বাড়ি নিয়ে যান। শিল্পশহরের প্রাণকেন্দ্রে হলেও গত ৩রা নভেম্বর থেকে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে রাস উৎসবে অনুষ্ঠান এবং মেলায় গ্রামীণ লোকসংস্কৃতির নানাদিক তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন উদ্যোক্তারা। রাস উৎসবের মধ্য দিয়ে কুমারচকের বাসিন্দরা তাঁদের হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরেন। এই রাস উৎসব ও মেলা হলদিয়া শিল্পশহরে হারিয়ে যাওয়া গ্রামগুলির উদ্বাস্তুদের মিলনের আঙ্গিনা হয়ে উঠেছে প্রতিবছর। কুমারচকে নীলকণ্ঠ ও রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের রাস উৎসবের এবার চতুর্থ বর্ষে লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হবে। মন্দির কমিটির সভাপতি শত্রুজিৎ দাস, সম্পাদক উত্তম দাসঅধিকারী এবং সহ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ দাসঅধিকারী, কোষাধ্যক্ষ শ্রী শ্যামাপদ ভূঁইয়া বলেন, হলদিয়া শহরে রাস উৎসবের নতুন ধারা তৈরি করতে চাইছি। হারিয়ে যাওয়া রীতিনীতির সঙ্গে আজকের সংস্কৃতির মেলবন্ধন করতে চাই।

 

No comments