হঠাৎ করে চাষীদের না জানিয়ে সোয়াদিঘী খালে ক্রশবাঁধ দিয়ে দেওয়ায় কোলাঘাটে বোরো চাষ অনিশ্চয়তার সম্মুখীন সংবাদদাতা-নারায়ন চন্দ্র নায়ক :মাঠে জমে থাকা বর্ষার জল সম্পূর্ণরূপে বের না হওয়ার পূর্বেই সোয়াদিঘী খালে ক্রশবাঁধ দিয়ে দেওয়ায…
হঠাৎ করে চাষীদের না জানিয়ে সোয়াদিঘী খালে ক্রশবাঁধ দিয়ে দেওয়ায় কোলাঘাটে বোরো চাষ অনিশ্চয়তার সম্মুখীন
সংবাদদাতা-নারায়ন চন্দ্র নায়ক :মাঠে জমে থাকা বর্ষার জল সম্পূর্ণরূপে বের না হওয়ার পূর্বেই সোয়াদিঘী খালে ক্রশবাঁধ দিয়ে দেওয়ায় এখনো খাল সংলগ্ন দেড়িয়াচক গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায় মাঠে হাঁটু সমান জল। চাষিরা বীজতলা ফেলাতে না পারায় ভীষণ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। আরো অন্তত সাত দিন জল বের হওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন জানিয়ে সেচ দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে কৃষক সংগ্রাম পরিষদ।
পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন,গত বছর বর্ষার সময় কংসাবতীর নদীবাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে এলাকায় আমন চাষ হয়নি। এরপর গত বোরো মরশুমে খাল সংস্কারের কারণে বোরো মরশুমের চাষও হয়নি। চলতি বছরের বর্ষাতেও জলমগ্ন পরিস্থিতির কারণে আমন চাষ হয়নি। ফলস্বরূপ আসন্ন বোরো মরশুমের চাষ কৃষকদের করতেই হবে। সেজন্য অতি সত্বর চাষীদের বীজতলা ফেলাতে হবে। কিন্তু চাষীদের না জানিয়ে হঠাৎ করে ঠিকাদার খালের ভেতর ক্রশ বাঁধ দিয়ে দেওয়ায় চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছেন কোলাঘাট ব্লকের দেড়িয়াচক, ভোগপুর ও সাগরবাড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ১০-১২ টি গ্রামের কয়েকশো কৃষক। ইতিমধ্যে বিষয়টি সেচ দপ্তরের তমলুক সাব ডিভিশনের এসডিও'র দৃষ্টি আকর্ষণও করা হয়েছে। ওই পরিপ্রেক্ষিতে গত পরশু দপ্তরের এসডিও সৈনভ সিনহা এবং সেকসান্যাল অফিসার বিনয় মাইতি এলাকা পরিদর্শনও করেছেন। অবিলম্বে ওই ক্রশবাঁধের খানিক অংশ কেটে অন্তত আরও সাত দিন জল বের করার বন্দোবস্ত না করলে কয়েকশো কৃষক প্রায় ৫০০ বিঘা জমিতে আগামী বোরো চাষ করতেই পারবে না বলে নারায়নবাবু অভিযোগ করেন।

No comments