এস আই আর শুরু হয়েছে হলদিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে রঘুনাথচক এলাকায় প্রায় ৪১ জন বাসিন্দার ২০০২ সালে ভোটার লিস্টের নাম নেই আতঙ্কে ভোটার!
হলদিয়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রঘুনাথচক এলাকায় ৪১জন বাসিন্দার ২০০২সালের ভোটার তালিকায় না…
এস আই আর শুরু হয়েছে হলদিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে রঘুনাথচক এলাকায় প্রায় ৪১ জন বাসিন্দার ২০০২ সালে ভোটার লিস্টের নাম নেই আতঙ্কে ভোটার!
হলদিয়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রঘুনাথচক এলাকায় ৪১জন বাসিন্দার ২০০২সালের ভোটার তালিকায় নাম নেই। এঘটনায় ঘুম ছুটেছে উদ্বাস্তু এলাকার ওই পরিবারগুলির। স্পেশাল ইন্টেন্সিভ রিভিশন বা এসআইআর শুরু হতেই বিষয়টি নজরে এসেছে ওই বাসিন্দাদের। পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪৬ নম্বর বুথের বাসিন্দা ওই পরিবারগুলি। এসআইআর-এর ফর্ম পূরণ করতে গিয়ে কার্যত মাথায় হাত পড়েছে রঘুনাথচকের দাস, মাইতি, রাউল, বেরা, খাঁড়া পদবির ১৫-১৬টি পরিবারে। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় দেখা গিয়েছে, একই পরিবারের দাদা'র নাম নেই, অথচ ভাইয়ের নাম রয়েছে। বিশেষ করে বয়স্কদের নাম তালিকা থেকে উধাও। কীভাবে ওই নাম উড়ে গেল তা নিয়ে বিস্মিত পরিবারগুলি। ২০২৫ সালের ভোটার তালিকা অনুযায়ী ওই বাসিন্দারা প্রত্যেকেই তাঁদের ছবি সহ ইনিউমারেশন ফর্ম হাতে পেয়েছেন ১০-১২দিন আগে। এরপর ফর্ম পূরণ করতে গিয়ে বিভ্রাট শুরু হয়েছে। স্বপন মাইতি, নীরেশ রাউল, প্রবীর মাইতি, বাসন্তী মাইতিরা ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম দেখতে না পেয়ে হতাশ। কোথায় যাবেন, কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। এদিকে ওই বুথের বিএলও পাড়ার অন্যদের ইনিউমারেশন ফর্ম সংগ্রহ করছেন, কিন্তু তাঁদের ফর্ম জমা না নেওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন ওই বাসিন্দারা। উদ্বিগ্ন বাসিন্দারা স্থানীয় বিধায়ককে এনিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। রঘুনাথচকের স্থানীয় বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী মনোরঞ্জন জানা বলেন, ওই বুথে তৃণমূলের এসআইআর সহায়তা কেন্দ্রে এসে দিন চারেক আগে ওই বাসিন্দারা সমস্যার কথা জানান। এরকম একের পর এক অভিযোগ আসতে থাকে। বুথে এখনও পর্যন্ত ৪১ জনের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নেই বলে খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এদের মধ্যে ১৪জন মহিলা রয়েছেন। ২০০২ সালে রঘুনাথচকের বুথ নম্বর ছিল ১৭৯। ২০২৫ সালে ওই বুথের নম্বর পরিবর্তন হয়ে ১৪৬ হয়েছে। এঁরা নাম না থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। স্থানীয়দের আশঙ্কা, উদ্বাস্তু বাসিন্দা হওয়ার কারণে এঁদের অনেকের নাম উধাও হয়ে গিয়ে থাকতে পারে। আগে অন্য বুথে ছিল, পরে নাম স্থানান্তর করতে গিয়ে ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারেন। এই যুক্তি মানতে নারাজ এমসিপিআই কারখানার লজিস্টিকস বিভাগের কর্মী স্বপন মাইতি বা বন্দর কর্মী প্রবীর মাইতি। তাঁদের বক্তব্য, ২০০২সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত রঘুনাথচক বুথেই ভোট দিয়ে আসছি। তাহলে কীভাবে আমাদের নাম রাতারাতি উধাও হয়ে গেল? প্রবীর মাইতি বলেন, আমার পরিবারের নাম নেই, অথচ ভাইয়ের পরিবারের নাম রয়েছে। আমরা একইসঙ্গে থাকি, কীভাবে সম্ভব এটা? তাঁদের আশঙ্কা, এঘটনার পিছনে কোনও কারসাজি থাকতে পারে। ভোটার তালিকা থেকে ৪১জনের নাম বাদ পড়ায় সরব হয়েছেন বিধায়ক তাপসী মণ্ডলও। তিনি বলেন, ওই বাসিন্দারা নাম না থাকায় ভয় পেয়েছেন। এনিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। এসআইআর-এর জন্য প্রয়োজনীয় ১১টি প্রমাণপত্রের যেকোনও একটি যোগাড় করে রাখতে পরামর্শ দিয়েছি। কিন্তু কীভাবে ওই নামগুলি বাদ পড়ল সেটাই প্রশ্ন। ১৪৬ নম্বর বুথের বিএলও অনন্ত মণ্ডল বলেন, ৪১জনের নাম না থাকার বিষয়টি নজরে রয়েছে। এদের মধ্যে সিংহভাগের মায়ের সূত্র ধরে নাম তোলা হবে। চিন্তার কোনও কারণ নেই। বাকি বয়স্ক ৬-৭জনকে ১০জানুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশের পর শুনানিতে যেতে হবে। সুতাহাটার বিডিও সৌমিত্র মুদলি পুরসভার একাংশের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি বলেন, ওই বাসিন্দাদের বিষয়টি নজরে এসেছে। ভয়ের কোনও কারণ নেই। শুনানির সময় জন্ম শংসাপত্র বা অন্য কোনও প্রামাণ্য নথি দেখালেই হবে।
No comments