Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

গ্রামের মেয়ে অরিত্রিকা লক্ষ মানুষের মন জয় করছে

গ্রামের মেয়ে অরিত্রিকা লক্ষ মানুষের মন জয় করছে!এই ছোট ড্রাম বাদকে চেনেন ! অরিত্রিকা মাইতি ! বাড়ি হলদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, দেউলপোতা গ্রামে।যে কিনা এখন জি বাংলা সোনারে । দশ বৎসরের অরিত্রিকা এখন ড্রামস সাথে আরও ৮ টা ইনস্ট্রুমেন্ট …

 



গ্রামের মেয়ে অরিত্রিকা লক্ষ মানুষের মন জয় করছে!

এই ছোট ড্রাম বাদকে চেনেন ! অরিত্রিকা মাইতি ! বাড়ি হলদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, দেউলপোতা গ্রামে।যে কিনা এখন জি বাংলা সোনারে । দশ বৎসরের অরিত্রিকা এখন ড্রামস সাথে আরও ৮ টা ইনস্ট্রুমেন্ট বাজিয়ে সবার মন জয় করে চলেছে। এর আগে দাদাগিরির মঞ্চে সৌরভ গাঙ্গুলীর সামনে সাবলীল ভাবে ড্রাম বাজিয়ে রীতিমতো তাগ লাগিয়ে দিয়েছে সকলকে।এমনকি " হামি ২" মুভিতে ছোট্ট একটা পার্ট এ ড্রাম বাজিয়েছে। স্বাভাবতই চমকে গিয়েছিলেন পরিচিত মহলের সকলেই। ছোট থেকেই অরিত্রিকার ড্রাম সহ বিভিন্ন ইনস্ট্রুমেন্ট বাজাত। যা রীতিমতো অবাক করে রেখেছিল সবাই কে। চলুন না আজ বরং সেই ছোট প্রতিভার কথাই আপনাদের সামনে তুলে ধরি।২০১৫ সালে, ৪ঠা মে - পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার দেউলপোতা গ্রামে জন্ম অরিত্রিকা মাইতির। বাবা অতনু মাইতি একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করেন। এবং মা রুম্পা মহাপা মাইতি প্রাইভেট স্কুলের শিক্ষিকা।অরিত্রিকা দিল্লির দৌলত রাম পাবলিক সিনিয়র সেকেন্ডারী স্কুল প্রাইভেট স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে পাঠরত।অতনু মাইতি নিজের কর্মসূত্রে মাত্র ৩ মাস বয়সেই অরিত্রিকাকে নিয়ে দিল্লিতে চলে যান। মেয়ে হওয়াতে ভীষণ খুশি হয়েছিল অতনু এবং তার স্ত্রী।তাই তারা দুইজনেই ভাবলেন, তাদের এই মেয়েকে এমন কিছু শিখবেন যেটা তুলনামূলক ভাবে মেয়েরা করে না।স্বাভাবিক ভাবেই বেশিরভাগ মেয়েরাই যেমন পড়াশুনার পাশাপাশি নাচ , গান কিংবা অভিনয় এইসব নিয়েই বেশি এগিয়ে যেতে চায়। সেই দিক থেকে অরিত্রিকা পড়াশুনার পাশাপাশি অন্যদের থেকে একটু আলাদা দিকে এগিয়ে যাবে।

অরিত্রিকার বাবা বলেন,বাচ্ছাদের মোবাইল না দিয়ে ইনস্ট্রুমেন্ট কিনে দিন, তাদের যেদিকে প্রতিভা আছে সেই দিকেই তাদের এগিয়ে নিয়ে যান। বাচ্চা দের ভবিষ্যৎ সুন্দর হবে। অরিত্রিকা মা বলেন মেয়েকে অন্যান্য মেয়েদের থেকে নতুনত্ব কিছু শেখানোর পরিকল্পনা ছিল  ছোট থেকেই। আর সেজন্যই আমরা প্রথমে  ড্রাম কিনে দিয়েছিলাম কিন্তু কিছুদিন পরে তার একটা পা ভেঙে যায় তাতে অনেকটাই অসুবিধা হয়ে যায় কিন্তু ধীরে ধীরে সুস্থ হতেই পড়াশোনার সাথে সাথেই ড্রাম বাজানো প্র্যাকটিস করতে শুরু করে। অরিত্রিকার দাদু এবং ঠাকুমা অরিত্রিকার এই সাফল্যে খুব খুশি। স্টেজ অনুষ্ঠান করে তার নিজের গ্রামের প্রত্যন্ত নিজের গ্রামের একটি ক্লাবে ক্লাবে তার প্রথম প্রোগ্রামের সাফল্য তুলে এনে দিয়েছিল আজ অরিত্রিকা লক্ষ লক্ষ মানুষের ড্রাম বাজিয়ে মন জয় করে ফেলেছে। 

No comments