চলতি নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ঝুরো ফুলের ব্যাপক ক্ষতি! সংবাদদাতা-নারায়ন চন্দ্র নায়ক :পদ্ম ছাড়া সমস্ত ফুলের যোগানে ঘাটতি।লক্ষীপূজোয় ফুলের দামবৃদ্ধির সম্ভবনা। সাম্প্রতিক নিম্নচাপের বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলার ফুল…
চলতি নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ঝুরো ফুলের ব্যাপক ক্ষতি!
সংবাদদাতা-নারায়ন চন্দ্র নায়ক :পদ্ম ছাড়া সমস্ত ফুলের যোগানে ঘাটতি।লক্ষীপূজোয় ফুলের দামবৃদ্ধির সম্ভবনা।
সাম্প্রতিক নিম্নচাপের বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলার ফুলের চাষ ভীষণভাবে আবারো একবার ক্ষতির মুখে পড়ল। পদ্ম ছাড়া সমস্ত রকম ফুল চলতি বছরের বর্ষা মরশুমে বারে বারে ক্ষতির মুখে পড়েছে। মূলতঃ দোপাটি-গাঁদা-অপরাজিতা-রজনীগন্ধা সহ বিভিন্ন ধরনের পাপড়িযুক্ত ঝুরো ফুলের মধ্যে বৃষ্টির জল ঢুকে গিয়ে পাপড়ি পচে ফুলের গুণমান নষ্ট হচ্ছে। ওই ফুলে দাগ এসে যাওয়ার কারণে ওই ফুল বিক্রি হচ্ছে না। বাইরের জেলা বা রাজ্যেও তা পাঠানো সম্ভবও হচ্ছে না। এমনকি লক্ষীপূজার সময় ব্যাপক পরিমাণ ফুলের চাহিদা মেটানোর জন্য ওই ধরনের ফুল হিমঘরেও রাখতে পারছে না চাষী-ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও খানিকটা রোদ্দুর বেরোলে নরম প্রকৃতির ওই ফুল গাছগুলি মরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে কারণে লক্ষীপুজোয় বিপুল চাহিদা পূরণে ফুলের যোগানের সংকট দেখা দেবে। স্বভাবতই দাম বাড়বে।
সারা বাংলা ফুলচাষী ও ফুলব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন,দুর্গাপূজার দিনগুলিতে রাজ্যে পদ্মফুল ছাড়া সমস্ত ফুলেরই দাম ছিল বেশ চড়া। পদ্মের দাম গড়ে ১০ টাকা প্রতি পিস থাকলেও ঝুরো লাল গাঁদা ৮০-৯০ টাকা,হলুদ গাঁদা ১৩০-১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তিন ফুট সাইজের লম্বা লাল গাঁদা ফুলের এক একটি মালা বিক্রি হয়েছে ১৫-১৮ টাকা। ওই একই সাইজের হলুদ এক একটি মালা বিক্রি হয়েছে ২৫-৩০ টাকা। অন্যদিকে দোপাটি ঝুরো প্রতি দাম ছিল ৭০ টাকা, অপরাজিতা দাম ছিল ২০০-২৫০ টাকা প্রতি কেজি। এক কিলো রজনীগন্ধার দাম ছিল ৬০০-৭০০ টাকা। হাজার জবার কুঁড়ির দাম ছিল ৫০০ টাকা। সব মিলিয়ে দূর্গাপূজায় ওই ফুলগুলোর দাম ছিল অনেকটাই বেশি। ফের নিম্নচাপের জেরে পাপড়িযুক্ত বিভিন্ন ঝুরো ফুলের ভীষণ ক্ষতি হল। সে কারণে লক্ষীপূজায় ঝুরো ফুলের সংকট দেখা দেবে। ফলস্বরূপ দামও বাড়বে।
No comments