রাজ্যের সমস্ত টোটোতেই নম্বর প্লেট বাধ্যতামূলক জানালেন রাজ্য পরিবহন দপ্তর! বিনা রেজিষ্ট্রেশানে আর কোনও টোটো রাস্তায় চলতে পারবে না। এমনই কঠোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। এই রেজিষ্ট্রেশানের জন্য আবেদন করতে হবে রাজ্যের পরিবহন দফতরের ক…
রাজ্যের সমস্ত টোটোতেই নম্বর প্লেট বাধ্যতামূলক জানালেন রাজ্য পরিবহন দপ্তর!
বিনা রেজিষ্ট্রেশানে আর কোনও টোটো রাস্তায় চলতে পারবে না। এমনই কঠোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। এই রেজিষ্ট্রেশানের জন্য আবেদন করতে হবে রাজ্যের পরিবহন দফতরের কাছে। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন (Wb Toto Service) করে একথা জানিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। যে সমস্ত টোটো রাজ্য সরকারের এই নির্দেশ মানবে না এবং রেজিষ্ট্রেশান করবে না তাঁরা আর কোনও ভাবেই রাস্তায় নামাতে পারবেন না। আর এই রেজিষ্ট্রেশানের জন্য হাতে খুব বেশী সময় নেই বলেই পরিবহন দফতর সূত্রে খবর।
টোটো’র জন্য লাইসেন্সের আবেদন করতে হবে অনলাইনের মাধ্যমে। রেজিষ্ট্রেশানের জন্য পরিবহন দফতরকে দিতে হবে ১ হাজার টাকা। রেজিষ্ট্রেশান সফল হলেই একটি কিউআর কোড সহ অস্থায়ী এনরোলমেন্ট নম্বর পাবেন টোটো চালকরা। সেই কিউআর কোডটি টোটোর গায়ে লাগিয়ে রাখতে হবে। যারা এই রেজিষ্ট্রেশান করবেন না তাঁদের টোটো রাস্তায় কোনওভাবেই চলাচল করতে পারবে না বলেই পরিবহন দফতর থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, প্রত্যেক টোটোকেই পরিবহন দফতরের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। এরফলে একদিকে যেমন অনিয়ন্ত্রিত টোটো চলাচলে রাশ টানা যাবে সেই সঙ্গে রাজ্য জুড়ে কত সংখ্যক টোটো রয়েছে তার প্রকৃত হিসেব পরিবহন দফতরের কাছে চলে আসবে। প্রসঙ্গতঃ এই মুহূর্তে রাজ্যে ঠিক কত পরিমান টোটো চলাচল করে তা প্রশাসনের কোনও দফতরেরই জানা নাই। বিভিন্ন সময় টোটো’র বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে তা নথিভুক্ত করতে বা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়।
পরিবহন মন্ত্রী জানান, “আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে এই রেজিষ্ট্রেশান প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। পরিবহন দফতরের পোর্টালে গিয়ে অনলাইনে টোটো রেজিষ্ট্রেশানের জন্য আবেদন করতে হবে। যা চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত”। সূত্রের খবর এই মুহূর্তে রাজ্য জুড়ে আনুমানিক প্রায় ১৫ লক্ষেরও বেশী টোটো রয়েছে। এই পরিমান টোটো রেজিষ্ট্রেসান করলে রাজ্যের কোষাগারও যথেষ্ট সমৃদ্ধ হবে।
No comments