রাজ্যের ১৮ টি প্রকল্প শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে? সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারীকের অফিসে পরিণত হয়েছে স্কুলগুলি!হলদিয়ায় প্রধান শিক্ষকদের জেলা সম্মেলন দাবি করেছেন সংগঠনের নেতৃত্ববৃন্দ।স্কুলগুলিতে শিক্ষা বহির্ভূত কাজের চাপে স্বাভাবিক পঠনপাঠন ব্যাহ…
রাজ্যের ১৮ টি প্রকল্প শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে? সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারীকের অফিসে পরিণত হয়েছে স্কুলগুলি!
হলদিয়ায় প্রধান শিক্ষকদের জেলা সম্মেলন দাবি করেছেন সংগঠনের নেতৃত্ববৃন্দ।স্কুলগুলিতে শিক্ষা বহির্ভূত কাজের চাপে স্বাভাবিক পঠনপাঠন ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন প্রধান শিক্ষকরা। অন্যদিকে, শিক্ষকের অভাবেও সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলে পঠনপাঠন ব্যাহত হচ্ছে। এরফলে দিন দিন স্কুলগুলিতে পড়ুয়ার সংখ্যা কমছে। বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রকল্পের সুযোগ সুবিধে নেওয়ার পর বহু পড়ুয়া আর স্কুলমুখী হচ্ছে না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান শিক্ষকরা। হলদিয়ায় প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স এন্ড হেডমিস্ট্রেসেস-র পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন একই সঙ্গে ওই সংগঠনের ষষ্ঠ বার্ষিক সাধারণ সভা ও দ্বিতীয় ত্রিবার্ষিক সম্মেলন আয়োজিত হয়। রানীচকে হলদিয়া গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড বিবেকানন্দ বিদ্যাভবন স্কুলের অডিটোরিয়ামে ওই সম্মেলনে জেলার হলদিয়া, তমলুক, কাঁথি ও এগরা চার মহকুমার দু'শতাধিক প্রধান শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি হরিদাস ঘটক, রাজ্য সম্পাদক চন্দন কুমার মাইতি, জেলা সম্পাদক মৃন্ময় মাজি সহ জেলার মহকুমা সম্পাদকরা। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি বলেন, এই প্ল্যাটফর্ম দাবিদাওয়া পূরণের জন্য নয়, প্রধানত স্কুল শিক্ষার পরিকাঠামো ও মানোন্নয়ন নিয়ে চর্চা ও অগ্রগতির জন্য তৈরি হয়েছে। স্কুলগুলিকে রাজ্য সরকারের ১৮টি শিক্ষা প্রকল্প চলে, নিয়মিত সমস্ত দপ্তরকে বিভিন্ন তথ্য যোগান দিতে হয়, এজন্য পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। এজন্য প্রত্যেক স্কুলে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করা দরকার। প্রধান শিক্ষকদের উপর চাপ কমাতে স্কুল ওয়েলফেয়ার অফিসার নিয়োগের দাবি করেন তাঁরা। সম্মেলনের আয়োজন করেছে সংগঠনের হলদিয়া মহকুমা শাখা। শাখার সম্পাদক পরেশচন্দ্র দাস বলেন, প্রধান শিক্ষকদের উপর চাপ কমিয়ে তাঁদের পঠনপাঠনের মানোন্নয়নের দিকে গুরুত্ব দেওয়া দরকার। এজন্য রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে এই সংগঠন। স্কুলের বিদ্যুত বিল সরকারি অফিসের মতো সরকারিভাবে মেটানোর দাবি করেন তাঁরা। এছাড়া প্রধানশিক্ষকদের ওয়েস্টবেঙ্গল হেল্থ স্কিমের আওতায় আনার দাবি করেছেন।
No comments