সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন হাঙ্গেরির লাজলো ক্রাসনাহোরকাই
সাহিত্যে নোবেল পাচ্ছেন হাঙ্গেরির সাহিত্যিক লাজলো ক্রাসনাহোরকাই। দ্য রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস জানিয়েছে, লাজলোর ‘মনোমুগ্ধকর ও দূরদর্শী সাহিত্য, যা বিশ্ব…
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন হাঙ্গেরির লাজলো ক্রাসনাহোরকাই
সাহিত্যে নোবেল পাচ্ছেন হাঙ্গেরির সাহিত্যিক লাজলো ক্রাসনাহোরকাই। দ্য রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস জানিয়েছে, লাজলোর ‘মনোমুগ্ধকর ও দূরদর্শী সাহিত্য, যা বিশ্বের এই ভয়াবহ সময়েও শিল্পের পুনর্জাগরণকে নিশ্চিত করে’ –এর জন্য তাঁকে ২০২৫ সালের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
সাহিত্যে নোবেল পাচ্ছেন হাঙ্গেরির সাহিত্যিক লাজলো ক্রাসনাহোরকাই। দ্য রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস জানিয়েছে, লাজলোর ‘মনোমুগ্ধকর ও দূরদর্শী সাহিত্য, যা বিশ্বের এই ভয়াবহ সময়েও শিল্পের পুনর্জাগরণকে নিশ্চিত করে’ –এর জন্য তাঁকে ২০২৫ সালের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
১৯৫৪ সালের রোমানিয়ান সীমান্তের কাছে একটি ছোট শহরে জন্মগ্রহণ করেন লাজলো। ১৯৮৫ সালে তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘সাতানতানগো’ প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই গোটা হাঙ্গেরিজুড়ে সাড়া পড়ে যায়। হাঙ্গেরির সামাজিক অস্থিরতার পটভূমিতে লেখা তাঁর শেষ উপন্যাস ‘হারশট ০৭৭৬৯’ সমসাময়িক জার্মান সাহিত্যে একটি মাইলস্টোন বলে বিবেচনা করা হয়। গত বছর প্রকাশ পাওয়া এই উপন্যাসটির ৪০০ পাতার গোটাটাই একটা বাক্য। ২০০৩ সালে প্রকাশ পাওয়া ‘আ মাউন্টেন টু দ্য নর্থ, আ লেক টু দ্য সাউথ, পাথস টু দ্য ওয়েস্ট, আ রিভার টু দ্য ইস্ট’ এবং ‘সেইওবো দেয়ার ব্লো’ লাজলোর অন্যতম সেরা সাহিত্যকর্ম হিসেবে বিবেচিত হয়। লাজলোর সাহিত্যকর্মে পরাবাস্তবতা, নৈরাশ্য ও সভ্যতার পতনের আভাস থাকে। তাঁর বাক্যরীতি জটিল ও দীর্ঘ, যা পাঠককে ধীরে ধীরে গ্রাস করে ফেলে। মনস্তত্ত্ব ছিন্নভিন্ন হয়ে পাঠকের পৃথিবী এক ক্লান্ত, অবক্ষয়িত রূপ নেয়। তবে ধ্বংসের কিনারায় দাঁড়িয়ে মানবতার কথা বলেন লাজলো। উল্লেখ্য, তাঁর উপন্যাস ‘সাতানতানগো’ এবং ‘দ্য মেলানকলি অব রেজিস্ট্যান্স’ নিয়ে সিনেমা তৈরি করেছেন তাঁরই দেশের বিখ্যাত পরিচালক বেলা তার।
No comments