অ্যাডভান্স সোসাইটি ফর হেডমাস্টার অ্যান্ড হেড মিস্ট্রেস পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটি ২য় ত্রি বার্ষিক সম্মেলন
অ্যাডভান্স সোসাইটি ফর হেডমাস্টার অ্যান্ড হেড মিস্ট্রেস পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটি ২য় ত্রি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় …
অ্যাডভান্স সোসাইটি ফর হেডমাস্টার অ্যান্ড হেড মিস্ট্রেস পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটি ২য় ত্রি বার্ষিক সম্মেলন
অ্যাডভান্স সোসাইটি ফর হেডমাস্টার অ্যান্ড হেড মিস্ট্রেস পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটি ২য় ত্রি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় হলদিয়া গভমেন্ট বিবেকানন্দ বিদ্যাভবনে তাদের প্রায় ১৫ দফা দাবি নিয়ে আজ সম্মেলনে আলোচনা হয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রাজ্য কমিটির সম্পাদক চন্দন কুমার মাইতি, রাজ্য সভাপতি হরিদাস ঘটক, জেলা সম্পাদক মৃন্ময় মাজী ছিলেন জেলার বিভিন্ন মহকুমার সম্পাদক সভাপতি, ছিলেন হলদিয়া মহকুমার সম্পাদক পরেশ চন্দ্র দাস স্নেহাশীষ আচার্য সম্পাদক ও সভাপতি।
মিড ডে মিল সহ কিছু সরকারি প্রকল্প থেকে অব্যাহতি চেয়ে বিকাশ ভবনে চিঠি দিয়েছিলেন প্রধানশিক্ষকরা। স্বল্প বরাদ্দে পড়ুয়াদের মুখে গ্রাস তুলে দেওয়ার মতো গুরুদায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছেন, এই ছিল দাবি। তা নিয়ে রাজ্যের তরফে এখনও কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি। এর মধ্যেই এবার প্রধান শিক্ষকদের বাড়তি ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করার সরকারি অর্ডার কার্যকর করার নির্দেশ এলো একাধিক জেলা থেকে। একই সঙ্গে প্রধান শিক্ষকদের ফিরিয়ে দিতে হবে বেতনের বাড়তি টাকাও। সূত্রের দাবি, সেই পরিমাণ প্রায় লাখখানেক। এর ফলে বহু প্রধান শিক্ষককে কার্যত সহ শিক্ষকদের বেতনে কাজ করতে হবে। এই নির্দেশের জেরে প্রধান শিক্ষকদের অসন্তোষের আগুনে ঘি পড়েছে। দাবি তো মিটলই না। উল্টে নয়া নির্দেশের খাঁড়া।
রোপা ২০০৯ অনুযায়ী, প্রধান শিক্ষকদের বাড়তি ৩ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট দিয়ে পে ফিক্সেশন করা হত। ২০১৯ সালের রোপা অনুযায়ী সেই নিয়ম কিছুটা পাল্টে, ইনক্রিমেন্টের পরবর্তী ধাপে তুলে তাঁদের পে ফিক্সেশন করা হয়েছে। গত বছরের ২ মে একটি অর্ডার জারি করা হয়। তাতে ১০ বছর সন্তোষজনক চাকরির জন্য প্রধান শিক্ষকদের প্রাপ্য ইনক্রিমেন্টটি ফিরিয়ে আনা হয়। এই ইনক্রিমেন্ট সহ-শিক্ষকরা পান। তবে, সহ-শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক হওয়ার পরে তাঁদের এই ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হচ্ছিল না। সেটি ফিরিয়ে আনার সঙ্গে সঙ্গে প্রধান শিক্ষক হওয়ার যে ইনক্রিমেন্ট, সেটিকে বাদ রাখা হয়। তবে, এই অর্ডারের পরে সবকিছু চুপচাপই ছিল। তবে, দু’-একদিনের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলার ডিআইদের দু’টি অর্ডারে ঝড় উঠেছে। তাতে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নিযুক্ত প্রধান শিক্ষকদের প্রাপ্ত ইনক্রিমেন্টটি তো বাতিল হবেই, তাঁদের এই বেতনবৃদ্ধির জেরে বাড়তি টাকাও ফেরাতে হবে। একটি প্রধান শিক্ষক সংগঠনের নেতা চন্দন কুমার মাইতির দাবি, এর পরিমাণ প্রায় এক লক্ষ টাকা। কারও ক্ষেত্রে বেশিও হতে পারে। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের চাপ সামাল দিয়ে স্কুল চালানো প্রধান শিক্ষকরা আর কীসের আশায় চাকরিতে আসবেন, প্রশ্ন তাঁর এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে আমরা শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি। পূর্বে নেওয়া আর্থিক সুবিধা পরবর্তীকালে জারি কোনও নির্দেশিকা দিয়ে তো বাতিল করা যায় না। স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রতিনিধি বলেন, একই বেতনে অনেক বেশি চাপ নিয়ে কাজ করতে কেউ রাজি হবেন না। অনেকেই চাইবেন সহ শিক্ষকের চাকরিতে ফিরে যেতে। তবে, বর্তমান নিয়মে সেটাও সম্ভব নয়। প্রসঙ্গত, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষকরা সহ শিক্ষকদের তুলনায় মাসিক ৫০০ টাকা বেশি পান বেতনের সঙ্গে। মাধ্যমিক বা উচ্চ প্রাথমিক স্তরের প্রধান শিক্ষকদের ক্ষেত্রে সহ শিক্ষকদের সঙ্গে সেই ফারাকটুকুও নেই। তাই তাঁদের বেতন তো সহ শিক্ষকদের সমান হবেই, অনেকের ক্ষেত্রে তা কমেও যেতে পারে। কারণ, সিনিয়রিটির জেরে অনেক সহ শিক্ষকই বেতনের নিরিখে প্রধান শিক্ষকদের ছাপিয়ে যেতে পারেন।
পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, প্রধান শিক্ষকদের অনেক চাপ নিয়ে কাজ করতে হয়। তাই তাঁদের বাড়তি ইনক্রিমেন্টের দাবি ন্যয্য। তবে, সরকারি অর্ডারও আপাতত মানতে হবে। তার পরে সরকারের কাছে এই অর্ডার বাতিল করার বা ইনক্রিমেন্ট ফেরত দেওয়ার দাবি জানানো হবে।

No comments