রাজ্যের দুর্গোৎসবের থিমের নজর কাড়বে হলদিয়া দুর্গোৎসব কমিটির থিম 'আবহমান'-সুদীপ্তন শেঠ
হলদিয়া দুর্গোৎসব কমিটির পুজো ঘিরে একমাস আগে থেকেই 'হাইপ' তৈরি হয়েছে বন্দর শহরে। ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন https://youtu.be/TfxPgFy…
রাজ্যের দুর্গোৎসবের থিমের নজর কাড়বে হলদিয়া দুর্গোৎসব কমিটির থিম 'আবহমান'-সুদীপ্তন শেঠ
হলদিয়া দুর্গোৎসব কমিটির পুজো ঘিরে একমাস আগে থেকেই 'হাইপ' তৈরি হয়েছে বন্দর শহরে।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
https://youtu.be/TfxPgFyRsP0
বিশাল বহরের পুজো মণ্ডপ ঘিরে মানুষের উৎসাহের শেষ নেই। গত কয়েক বছরের সমস্ত রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে এবারের পুজোর লোক সমাগম, আশা পুজো কমিটির। হলদিয়া দুর্গোৎসব কমিটি আয়োজিত পুজোর স্থান পরিচিতিই এখন হলদিয়ার ক্ষুদিরামনগরের বাসিন্দাদের বাড়ির ঠিকানা চেনাতে সাহায্য করছে। এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে শিল্প শহরের এই পুজো। এখানকার ভিড় এড়াতে গত কয়েক বছর এই মণ্ডপে ভোররাতে পুজো দেখতে আসার চল হয়েছে। এবার হলদিয়া দুর্গোৎসব কমিটির পুজোর থিম 'আবহমান'-এর বৈচিত্র ও বৈভব সবাইকে টেক্কা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আসলে পুজো মণ্ডপে এবার আবহমান বাংলার বৈশিষ্ট্য ও বৈচিত্রকে দর্শনার্থীদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে। প্রতিমা আসছে মেদিনীপুরের বালিচক থেকে। গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষের কুঁড়েঘর, মাটির চারচালা থেকে জমিদার বাড়ি বা রাজপ্রাসাদেও পুজোর আনন্দ উৎসব কীভাবে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে, সেই অনুভূতিকেই বাস্তবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন মণ্ডপ শিল্পী। শিল্পী তপন শেঠ বর্তমানে মুম্বাইয়ের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নামী আর্ট ডিরেক্টর হিসেবে পরিচিত। হলদিয়ার যুবক এবার হলদিয়াতেই তাঁর শিল্পকাজ ও ভাবনার চমক দেখাতে উদগ্রীব। বিশাল এলাকা নিয়ে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। প্রায় ৯০ দিনের মাথায় এই মন্ডপের কাজ সমাপ্ত হবে বর্তমান কাজ করছে ৮৫ জন শিল্পী । রাজবাড়ির আদলে তৈরি হয়েছে প্রসাদোপম মণ্ডপ। তার পাশে গ্রাম বাংলা। মণ্ডপের সামনে তৈরি হচ্ছে রাজকীয় এক উদ্যান। বড় আকারের প্রমাণ সাইজের পামগাছ আনা হয়েছে। রোদ উঠতেই জোরকদমে চলছে রঙের কাজ। হলদিয়া দুর্গোৎসব কমিটির পুজোর প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রাক্তন সাংসদ ও আইকেয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান লক্ষ্মণ শেঠ। শুধু পুজো নয়, তিনি একে উৎসবের চেহারা দিয়েছেন। এবছর সেই উৎসব বৃহৎ এক মিলনমেলা হয়ে উঠবে, একথা জানিয়েছেন পুজোর অন্যতম ৩ (তিন) কর্মকর্তা আশিস লাহিড়ি ও প্রণব দাস এবং সুদর্শন মান্না। ইতিমধ্যেই ওই পুজো ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় উৎসাহীরা প্রচার শুরু করেছে। এখন থেকেই সেলফি তোলার জন্য তরুণ তরুণীরা ভিড় করছেন, কেউ রিল বানাচ্ছেন। দুর্গোৎসব কমিটির সভাপতি সুদীপ্তন শেঠ বলেন, পুজোর উদ্বোধন করবেন লক্ষ্মণ শেঠ। উদ্বোধনের বড় আকর্ষণ চিত্রাভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। পঞ্চমীতে উদ্বোধন হবে পুজোর। ওইদিন সন্ধেয় রয়েছে প্রসেনজিতের মিউজিক্যাল ট্রুপের গান। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত প্রতিদিনই চমকপ্রদ অনুষ্ঠানে টলিউড ও বলিউডের একঝাঁক শিল্পী আসবেন। ষষ্ঠীতে রয়েছে পালকি বাংলা ব্যান্ড, সপ্তমীতে ইন্দ্রনীল সেন, অষ্টমীতে সহজমা ও উৎপল ফকির, নবমীতে মুম্বাই খ্যাত কুনাল গাঞ্জাওয়ালা এবং দশমীর সন্ধে মাতাবেন জিটিভি চ্যাম্পিয়ন সঞ্চিতা ভট্টাচার্য ও অমিত গাঙ্গুলি। পুজোর বড় আকর্ষণ ৩০ ধরনের লোকশিল্পীদের নাচ ও গান গেয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।
No comments