কারখানার দূষিত জল বের করার উদ্যোগ নিলেন প্রশাসন!শিল্প শহর হলদিয়া বিভিন্ন কারখানা গড়ে উঠেছে পরিকল্পনাহীনভাবে কোথাও জলাশায়ের উপরে কোথাও নিকাশি বন্ধ করে রাজ্য সড়ক এবং জাতীয় সড়কের ধারেই এই নির্মাণ কাজ হয়েছে। আর তার ফলে অল্প বৃ…
কারখানার দূষিত জল বের করার উদ্যোগ নিলেন প্রশাসন!
শিল্প শহর হলদিয়া বিভিন্ন কারখানা গড়ে উঠেছে পরিকল্পনাহীনভাবে কোথাও জলাশায়ের উপরে কোথাও নিকাশি বন্ধ করে রাজ্য সড়ক এবং জাতীয় সড়কের ধারেই এই নির্মাণ কাজ হয়েছে। আর তার ফলে অল্প বৃষ্টি হলেই ডুবে যায় এলাকা। কারখানার বর্জ্য জল ওই এলাকায় জলাশয়ে মিশে এলাকায় দূষিত হয়। শিল্প শহরের বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে গ্রাম আর ওই জল প্রত্যন্ত গ্রামের ভিতরে গিয়ে পুকুর জলাশয় যেখানে মাছের ভেড়ি বা মাছ চাষ হয়েছে সেই সকল এলাকায় ওই দূষিত জল গিয়ে মাছ এবং সবজি নষ্ট হচ্ছে ওই পুকুরের জলে যারা ব্যবহার করছে তাদের স্কিনের রোগ হচ্ছে বলে অভিযোগ। ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শিল্পশহর হলদিয়া ১৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় বেশ কয়েক দিন ধরে জলমগ্ন অবস্থায় ওই এলাকার মানুষ রয়েছেন । পৌর প্রশাসক, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ এবং পুলিশ প্রশাসনকে জানিও কোন কাজ হয়নি অবশেষে আজ দুপুরে পুলিশ এবং পৌরসভার আধিকারিকদের উপস্থিতিতে বাঁধ কেটে দেওয়া হল। এই জল প্রায় ২২টা মৌজার উপর দিয়ে নদীতে প্রবাহিত হবে। আর ওই ২২ টি মোজায় জলাশয় রয়েছে। সেই সকল পুকুরে যারা ব্যবহার করে তাদের স্কিনের কি অবস্থা হবে সে কথা বুঝলেন না পৌরসভার আধিকারিকরা। ঘটনা ঘটেছে ১৫ নম্বর এবং ১৬ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন আদানি উইলমার,গকুল কারখানার পিছনেই গেঁওয়াডাবের রাস্তা আজকে কেঁটে দিয়ে সেই দূষিত জল বের করার উদ্যোগ নিলেন।
এলাকার মানুষের দাবি ১৫ নম্বর ওয়ার্ড বিভিন্ন কলকারখানা গড়ে উঠেছে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ এবং পরিবেশ দূষণ ছাড়পত্র নিয়ে ওই কারখানাগুলো যদি গড়ে তোলে তাহলে কেনই বা জলাশয় বন্ধ করলো দ্বিতীয় এই গ্রামের এই রাস্তা কাটলে প্রায় বাইশটা মৌজার ওই দূষিত জল কিন্তু প্রভাবিত হবে তার ফলেই নষ্ট হবে মাছ সবজি এবং এলাকার মানুষের স্কিনের রোগ বেড়ে যাবে। সে কথা না ভেবে এই রাস্তা কেটে দেওয়া হলো। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন এলাকার মানুষ কিন্তু পুলিশ প্রশাসন ওই এলাকায় ঘিরে জোর করে রাস্তা কেটেছে বলে ওই এলাকার মানুষেরা দাবি করলেন।
No comments