Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

অতিবর্ষনের জেরে আসন্ন জন্মাষ্টমীর প্রাক্কালে ফুলের বাজার আকাশছোঁয়া!

অতিবর্ষনের জেরে আসন্ন জন্মাষ্টমীর প্রাক্কালে ফুলের বাজার আকাশছোঁয়া!
সংবাদদাতা-নারায়ণ চন্দ্র নায়ক :  
           আগামী পরশু ১৫ ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবস। তার পরের দিন ১৬ আগষ্ট জন্মাষ্টমী। প্রায় এক মাস পর বিশ্বকর্মা পুজো। মহালয়া শুর…

 




অতিবর্ষনের জেরে আসন্ন জন্মাষ্টমীর প্রাক্কালে ফুলের বাজার আকাশছোঁয়া!


সংবাদদাতা-নারায়ণ চন্দ্র নায়ক :  


           আগামী পরশু ১৫ ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবস। তার পরের দিন ১৬ আগষ্ট জন্মাষ্টমী। প্রায় এক মাস পর বিশ্বকর্মা পুজো। মহালয়া শুরু হতে আর মাত্র ১ মাস ৭ দিন বাকী। সব মিলিয়ে উপরোক্ত বিভিন্ন কারণে ফুলের চাহিদা বাড়ছে  লাফিয়ে লাফিয়ে। কিন্তু গত আষাঢ় থেকে একটানা  অতিবর্ষণের জেরে রাজ্যের ফুলচাষ সংশ্লিষ্ট পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর,নদীয়া,উত্তর ২৪ পরগনা,হাওড়া সহ বিভিন্ন জেলায় ফুলচাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তার জেরে আজকে রাজ্যের সর্ববৃহৎ কলকাতার মল্লিকঘাট ফুলবাজার সহ পূর্ব মেদিনীপুরের দেউলিয়া-কোলাঘাট,উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগর   প্রভৃতি জেলার ফুলবাজারগুলিতে ফুলের দাম ছিল আকাশছোঁয়া। আজকের বাজারে রজনীগন্ধার দাম ছিল সাড়ে তিনশ টাকা কেজি,বেল সাড়ে আটশ,জুঁই পৌনে ন'শ টাকা/প্রতি কেজি। ঝুরো দোপাটি ২৫০ টাকা, গাঁদা ২৮০ টাকা,অপরাজিতা-১৫০ টাকা কেজি,৩ ফুট সাইজের গাঁদা মালা-২০ টির দাম-৮০০ টাকা। পদ্ম প্রতি পিস ৭ টাকা। 

             সারা বাংলা ফুলচাষী ও ফুলব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন,দুর্গাপূজা আর মাত্র দেড় মাস বাকী। টানা দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে বৃষ্টি চলতে থাকায় গাঁদা-দোপাটি সহ বিভিন্ন ফুল ও বাহারীপাতা বাগানের মাটি নিরবচ্ছিন্নভাবে ভিজে ও স্যাঁতসেতে থাকায় অর্ধেকেরও বেশি ফুল ও বাহারী পাতার গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি পাপড়িযুক্ত ফুলের ভেতরে বৃষ্টির জল ঢুকে কিছু পাপড়ি পচে গিয়ে ফুলের গুণমান নষ্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে আসন্ন পুজো মরশুমে ফুলের সংকট অনিবার্য। 

            নারায়নবাবুর অভিযোগ,একদিকে ফুলচাষ করতে বর্তমানে রাসায়নিক সার-বীজ-কীটনাশক সহ বিভিন্ন উপকরণের দাম যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে,সে তুলনায় কৃষক ফসলের ন্যায্য দাম না পেয়ে চরম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন,অন্যদিকে অর্থকরী 'কৃষিপণ্য' হিসাবে চিহ্নিত নয়,সে কারণে চাষিরা 'শস্যবীমা'র সুযোগ থেকে বঞ্চিত। ফলে ক্ষতি হলেও বীমার সাহায্য মিলছে না ওই ফুলচাষীদের। 

সম্প্রতি এ বিষয়ে উদ্যানপালন দপ্তরের সচিবকে স্মারকলিপির মাধ্যমে দাবীও জানানো হয়েছে বলে উনি জানান। 

            সমিতির দাবী অবিলম্বে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার ওই চাষীদের পাশে দাঁড়াক। ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বন্দোবস্ত করুক। পাশাপাশি ফুলকে 'কৃষিপণ্য' হিসাবে স্বীকৃতি দিক। তা না হলে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ফুলচাষীদের আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া ছাড়া অন্য কোন উপায় থাকবে না। 






No comments