নাগমা মাতার মন্দির ঘিরে ভক্তদের আনাগোনা!
কুকঁড়াহাটিতে রয়েছে নাগ মাতার মন্দির। মন্দির ঘিরে প্রতিদিন নিত্য পূজা অনুষ্ঠিত হয় ভক্তদের আনাগোনা থাকে প্রত্যহ। কুকড়াহাটি নামের উৎস নিয়ে বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন মত রয়েছে। তবে এ সম্পর্ক…
নাগমা মাতার মন্দির ঘিরে ভক্তদের আনাগোনা!
কুকঁড়াহাটিতে রয়েছে নাগ মাতার মন্দির। মন্দির ঘিরে প্রতিদিন নিত্য পূজা অনুষ্ঠিত হয় ভক্তদের আনাগোনা থাকে প্রত্যহ। কুকড়াহাটি নামের উৎস নিয়ে বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন মত রয়েছে। তবে এ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য আর পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হয় কুকড়া শব্দটি কুকুর বা কক্কুর শব্দের অপভ্রংশ থেকে এসেছে যা সম্ভবত এই অঞ্চলে কুকুরের আধিপত্য ছিল খুব বেশি সে কারণেই হতে পারে। হাটি শব্দটি হাট বা বাজার থেকে এসেছে। তবে নাগমাতার মন্দিরে পুরোহিত মধুসূদন চক্রবর্তী বলেন পুরানে রয়েছে বেহুলা লক্ষিন্দর যখন কলার মান্দাশে করে ভেসে আসেন ঠিক সেই সময়। এই এলাকা কুকুরের দাপট ছিল প্রচুর কলার মান্দাস নদীর কাছে আসতেই কুকুরে গিয়ে ওই মান্দাসে টানাটানি করেছিল সেই থেকে কুকড়াহাটি নামকরণ হয়েছে বলে জানা যায়। তবে বেহুলা লক্ষিন্দর যখন কলার মান্দাসে ভেসে আসেন ঠিক সেই সময় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় কলার মান্দাস ঠেকে ছিল। কুকড়াহাটির পর মাধব ঘাট এবং তারপর ধোপানিঘাট নামে আমরা জানতে পারি। ধোপানির ঘাট রয়েছে তমলুক পুলিশ স্টেশনের কাছাকাছি। কুকড়াহাটি নাগমাথা মন্দিরের বিশেষ ইতিহাস রয়েছে, এই মন্দিরে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রয়েছেন বন্ধু গোষ্ঠী। শুধু কুকড়াহাটিতে নাগ মাথার মন্দির নয় পাশাপাশি রয়েছে জোড়া দক্ষিণেশ্বরের শিব মন্দির। সেখানে চৈত্র সংক্রান্তি থেকে চলে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে মেলা পূজা পার্বণ এবং তারই অদূরেই পুকুরের উপরে রয়েছে নাগমাতার মন্দির। তবে এই নিয়ে বিস্তারিতভাবে বললেন মন্দিরের পুরোহিত মধুসূদন চক্রবর্তী... তিনি বলেন এই মন্দির প্রায় ৩৪ বছর অতিক্রান্ত হতে চলল। এই মন্দিরের বিভিন্ন মানুষ দান সামগ্রী দিয়েই মন্দির তৈরি হয়েছে। এই মন্দিরে যে যা মানত করেন তার মনবাঞ্ছা পূরণ হয়। সেজন্যই তারা মানত করেন এবং তারপরে তারা ঘোটা করে পূজা দিয়ে যান।
No comments