Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

হু হু করে বাড়ছে সুবর্নরেখা ও কংসাবতীর জলস্তর,দুই মেদিনীপুর জেলার বিস্তৃীর্ন এলাকায় বন্যাতঙ্ক

হু হু করে বাড়ছে সুবর্নরেখা ও কংসাবতীর জলস্তর,দুই মেদিনীপুর জেলার বিস্তৃীর্ন এলাকায় বন্যাতঙ্ক
গত এক বছরেও ব্যারেজ ও নদী সংস্কারের কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় ক্ষোভ! বর্ষার পরই ব্যারেজ ও নদী সংস্কারের দাবী।সংবাদদাতা-নারায়ণ চন্দ্র নায়ক…

 




হু হু করে বাড়ছে সুবর্নরেখা ও কংসাবতীর জলস্তর,দুই মেদিনীপুর জেলার বিস্তৃীর্ন এলাকায় বন্যাতঙ্ক


গত এক বছরেও ব্যারেজ ও নদী সংস্কারের কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় ক্ষোভ!

 বর্ষার পরই ব্যারেজ ও নদী সংস্কারের দাবী।

সংবাদদাতা-নারায়ণ চন্দ্র নায়ক: গত কয়েকদিন ধরে ঝাড়খন্ড এবং দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর,বাঁকুড়া,পুরুলিয়া প্রভৃতি জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টির কারণে সুবর্নরেখা ও কাঁসাই নদীর জল পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুরের যথাক্রমে  দাঁতন,এগরা ও ডেবরা,পাঁশকুড়ায় চরম বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। ইতিমধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ব্লক সহ সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জনসাধারণকে সর্বদা সতর্ক থাকার বার্তাও দিয়েছে প্রশাসনের আধিকারিকেরা। আজ রাজ্যের মাননীয় সেচমন্ত্রী মোহনপুরে কাঁসাইয়ের অ্যানিকেত বাঁধ পরিদর্শন করে জনসাধারণের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। বলেছেন উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য উদ্ধার,ত্রাণকার্য সহ সমস্ত বিষয়ে রাজ্য ও জেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। প্রকৃতির উপর কোন হাত নেই বলে সেচমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলছেন,গত দু মাসে ১৭ বার জেলা পরিদর্শন করেছেন। 

ওই পরিপেক্ষিতে অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন,একথা ঠিক এক ধাক্কায় বিপুল পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে,রাজ্যের কয়েকটি জেলা সহ ঝাড়খণ্ডে। সে কারণে অত্যধিক পরিমাণে ব্যারেজগুলি থেকে জল ছাড়তে হয়েছে। কিন্তু যদি ব্যারেজগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করে ব্যারেজের জলধারন ক্ষমতা বাড়ানো হোত এবং পাশাপাশি নদী সংস্কার করে জল বহন ক্ষমতা বাড়ানো হোত তাহলে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে লক্ষ লক্ষ মানুষকে ফি বছর পড়তে হতো না। আমরা সেচমন্ত্রীর ১৭ বার জেলায় এসে নজরদারিকে সাধুবাদ জানিয়ে পরিষ্কারভাবে বলতে চাই,বর্ষার পরপরই রাজ্য সরকার ব্যারেজের জল ধারণ এবং নদীর জল বহন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। 

           এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য,গত বর্ষায় পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁসাই নদীবাঁধের জঁদরা-মানুর-গড়পুরুষোত্তমপুর এই তিন জায়গায় ভয়াবহ ভাঙনের ফলে জেলার পাঁশকুড়া-কোলাঘাট-শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যা প্লাবিত হয়েছিল। প্রায় লক্ষাধিক মানুষ চার মাস ধরে জলবন্দী ছিলেন। আশ্চর্যের বিষয়,গত বন্যার পর এক বছর অতিক্রান্ত হলেও কাঁসাই নদীর জল বহন করা বাড়ানোর লক্ষ্যে নদী সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেয়নি জেলা প্রশাসন ও সেচ দপ্তর। নারায়ণবাবুর অভিযোগ,নো কষ্ট পদ্ধতিতে পূর্ব মেদিনীপুরের ১৬ কিমি দীর্ঘ গঙ্গাখালি খাল দু বছর কাটার পরও এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। খাল সংস্কারের যদি এই অবস্থা হয়,নো কষ্ট পদ্ধতিতে নদী সংস্কার কি করে হবে? তবে গত এক বছরে ওই নদী সংস্কার করার কোনও পরিকল্পনাই নিতে পারে নি সেচ ও প্রশাসন দপ্তর। নারায়ণবাবুর অভিযোগ,গত এক বছরে নদী পূর্ণ সংস্কারের যদি উদ্যোগে নেওয়া হোত, তাহলে এই বর্ষাতে লক্ষ লক্ষ মানুষকে এভাবে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হতো না।  



No comments