সুতাহাটা সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের দুয়ারে স্কুল-ছাত্রীদের স্মারকলিপি প্রদান!অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার বিদ্যাসাগর জন্মগ্রহণ করেছিলেন।ভিডিও দেখতে ক্লিক করুনhttps://youtu.be/9zd06_dNAiY শিক্ষায় মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে এগিয়ে থাকে…
সুতাহাটা সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের দুয়ারে স্কুল-ছাত্রীদের স্মারকলিপি প্রদান!
অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার বিদ্যাসাগর জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
https://youtu.be/9zd06_dNAiY
শিক্ষায় মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে এগিয়ে থাকে এই জেলা। ব্রিটিশ ইংরেজদের হাত থেকে এই জেলাকে মুক্ত করার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন মাতঙ্গিনী হাজরা ইংরেজ শাসন থেকে মুক্ত করার জন্য ফাঁসির মঞ্চে জয় গান গেয়েছিলেন ক্ষুদিরাম বোস। শিল্পশহর প্রতিষ্ঠাতা সতীশ চন্দ্র সামন্ত । যেই জেলাতে স্বাধীনতা ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট স্বাধীন রাজ্যের দায়িত্বে নিয়েছিলেন ডঃ প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ। তিনি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের পঠনপাঠন ও বুনিয়াদি শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য তৈরি করেছিলেন লোক ভারতী ট্রাস্ট। ভারত সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিজের জায়গায় পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু করেছিলেন। একই ছাদের তলায় হোমিওপ্যাথি এবং এলোপ্যাথি চিকিৎসার গবেষণাগার তৈরি করেছিলেন যার উদ্বোধক বৈজ্ঞানিক ডক্টর সত্যেন্দ্রনাথ বসু এসেছিলেন । সেই জেলার স্কুলে পঠন-পাঠনের অব্যবস্থার জন্য স্কুলের ছাত্রীরা স্কুল প্রাঙ্গণ ত্যাগ করে উপস্থিত হলেন প্রশাসনের দরজায়। সূত্রে জানা যায়, এর আগেও অনেকবার জানিয়েছেন প্রশাসনকে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আজকের স্কুলের ছাত্রীরা যখন প্রশাসনের দদুয়ারে এলেন তারা তাদের বেশ কয়েক দফা দাবি সম্মোলিত স্মারকলিপি জমা দিলেন। তাদেরকে আবারো শুনতে হল দেখছি কি করা যায়। বর্তমানে রাজ্য সরকার শিক্ষার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন করেছেন। বিশেষ করে সবুজ সাথী থেকে কন্যাশ্রী এবং পঠন-পাঠনের জন্য বিভিন্ন স্কলারশিপ এর ব্যবস্থা করেছেন। সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাসে একদিন আসেন ক্লাস নেন না স্কুলের বাথরুমের চরম অবস্থায় ক্লাস নেওয়ার জন্য চক ডাস্টার পাওয়া যায় না। স্কুলের চারিপাশে জঙ্গলে ভর্তি । বিশেষ করে বর্ষার সময় বিভিন্ন পোকামাকড় সাপ যেকোনো মুহূর্তে এসে ক্লাস রুমে ঢুকে যেতে পারে, মিড ডে মিলে অব্যবস্থা মিড ডে মিলে খাওয়ারে চুল পোকা পড়েই থাকে। আজকের স্কুলের ছাত্রীরা তারা লিখিত অভিযোগ জানালেন অত্যাধুনিক শিক্ষার জন্য কম্পিউটার ব্যবস্থা করেছেন শিক্ষিকা প্রায় এক বছর হতে গেল আসেন না। শ্রেণিকক্ষে নেই বিদ্যুতিক আলো। বিশেষ করে বর্ষাকাল শীতকালে মেঘলা হয়ে থাকলে ছাত্রীরা পঠন পাঠান করতে পারেনা । স্কুলের সরস্বতী পুজোর জন্য চাঁদা নেওয়া হয় প্রীতিভোজ হয় না। আর চাঁদার টাকার কোন হিসাবে দেওয়া হয় না। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য বিভিন্ন শিল্প সংস্থা ন্যাপকিনের ব্যবস্থা করেছেন কিন্তু কেবলমাত্র পাথরবেড়িয়া বালিকা বিদ্যালয়ে কোন ন্যাপকিনের ব্যবস্থা নেই। একগুচ্ছ দাবি নিয়ে আজ সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অশোক কুমার মিত্র এর কাছে গেলেন সভাপতি আশ্বস্ত করলেন। কিন্তু ছাত্রীদের এই আবেদন কি বিফল হবে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তিনি সাফাই গাইলেন তিনি জানালেন তিনি নিয়মিত স্কুলে আসেন কিন্তু তার রুমে তিনি বসতে পারেন না ।তাকে বসতে হয় অন্য একটি রুমে। উনার আসার আগে যিনি টিআইসির দায়িত্বে ছিলেন তিনি তার আধিপত্য খাটানোর চেষ্টা করছেন ওই স্কুলে। আর সেজন্যই -ছাত্রীদের এই ধরনের সাজিয়ে তার নামে প্রশাসনের দুয়ারে এসে অভিযোগ করাচ্ছেন। যদিও প্রশাসনিক কর্তাদের এখনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি তবে আশা করা যায় শিক্ষার এই অচল ব্যবস্থা কাটিয়ে উঠবে। প্রধান শিক্ষিকার বক্তব্য শুনলে আপনারও অবাক হয়ে যাবেন।
No comments