Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ভেন্ডারে মৃত যুবক, দীঘা থেকে ছুটল ট্রেন!

ভেন্ডারে মৃত যুবক, দীঘা থেকে ছুটল ট্রেন! নজরদারির অভাবে কামরার মধ্যে যাত্রীর মৃতদেহ নিয়ে একের পর এক স্টেশন পার করে ছুটল যাত্রীবাহী লোকাল ট্রেন। বৃহস্পতিবার সকালে দিনের প্রথম ডাউন দীঘা-পাঁশকুড়া লোকালের ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। নজরদ…

 


ভেন্ডারে মৃত যুবক, দীঘা থেকে ছুটল ট্রেন! 

নজরদারির অভাবে কামরার মধ্যে যাত্রীর মৃতদেহ নিয়ে একের পর এক স্টেশন পার করে ছুটল যাত্রীবাহী লোকাল ট্রেন। বৃহস্পতিবার সকালে দিনের প্রথম ডাউন দীঘা-পাঁশকুড়া লোকালের ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। 

নজরদারির অভাবে কামরার মধ্যে যাত্রীর মৃতদেহ নিয়ে একের পর এক স্টেশন পার করে ছুটল যাত্রীবাহী লোকাল ট্রেন। বৃহস্পতিবার সকালে দিনের প্রথম ডাউন দীঘা-পাঁশকুড়া লোকালের ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। সকাল ৫টা ৪৫মিনিটে দীঘা থেকে ওই লোকাল ট্রেন ছাড়ে। দেশপ্রাণ স্টেশনে ট্রেন ঢোকার সময় রেল কর্মীদের নজরে পড়ে, পিছন থেকে ৩নম্বর ভেন্ডার কামরায় একটি দেহ পড়ে রয়েছে। রেলের পক্ষ থেকে তমলুক স্টেশনে ফোন করে ওই খবর জানানো হয়। তারপর লবণ সত্যাগ্রহ স্মারক, নন্দকুমার স্টেশন পেরিয়ে তমলুক স্টেশনে ট্রেন ঢোকার পর প্রায় ৩৫বছর বয়সি অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের দেহ উদ্ধার করা হয়। সকাল ৮টা ৫মিনিটে অজ্ঞাত পরিচয় ওই যুবকের দেহ তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা ১৫মিনিটে পাঁশকুড়া থেকে একটি লোকাল ছেড়ে দীঘা স্টেশনে যায়। ওই রেক দীঘায় পৌঁছনোর পর সেখানেই রাতে থাকে। পরদিন সকাল ৫টা ৪৫মিনিটে দীঘা থেকে পাঁশকুড়ার উদ্দেশে ছাড়ে। রাতে ভেন্ডার কামরার মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয় ওই যাত্রীর দেহ কামরায় মধ্যে পড়েছিল বলে অনেকেই অনুমান করছেন। ঘটনাটি রেলকর্মীদের নজর এড়িয়ে যায়। সকালে ট্রেনটি পাঁশকুড়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। ভোরে ওই ট্রেনে যাত্রী সংখ্যা কম থাকে। ভেন্ডার কামরায় লোকজন একেবারে কম থাকে। ওই কামরার মধ্যে দু’-একজন থাকলেও তাঁরা মৃত যাত্রীকে মদ্যপ ও সংজ্ঞাহীন সন্দেহ করে গুরুত্ব দেননি। দেশপ্রাণ স্টেশনে ট্রেন ঢোকার পর বিষয়টি রেল কর্মীদের নজরে আসে।  তমলুকের স্টেশন ম্যানেজারকে ফোন করে দেহ নামানোর জন্য বলা হয়। সেইমতো তমলুকে দেহ নামিয়ে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

হলদিয়া জিআরপি ওসি জিয়াউল হক বলেন, সকালের ওই ট্রেনে ভেন্ডার কামরার মধ্যে এক ভবঘুরে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে বলে আমরা খবর পাই। এরপর তাঁকে তমলুক স্টেশনে নামানো হয়। সেখান থেকে তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দীঘা জিআরপি ওসি বুদ্ধদেব কুণ্ডু বলেন, রাতে রেক চেকিং হয়। তাই রাতে ভেন্ডার কামরার মধ্যে থাকার বিষয়টি ঠিক নয়। সকালে ট্রেন ছাড়ার সময় তিনি ট্রেনে চড়েছেন বলে আমাদের ধারণা। 

ওই ট্রেনের যাত্রী সুজলপুরের বাসিন্দা অমিতাভ প্রধান বলেন, ভেন্ডার কামরার মধ্যেই ৩৫-৩৬বছর বয়সি এক যুবক বেহুঁশ অবস্থায় পড়েছিল। আমাদের ধারণা ছিল, মদ খেয়ে পড়ে রয়েছে। এনিয়ে ভেন্ডার কামরায় থাকা যাত্রীদের মধ্যে আলোচনা চলছিল। কিন্তু, ডাকাডাকির পর কোনও সাড়া না পাওয়ায় আমাদের সন্দেহ হয়। দেশপ্রাণ স্টেশনে রেল কর্মীদের নজরে বিষয়টি আনা হয়। তারপর তমলুকে নামানো হয়। মৃত অবস্থায় কামরার মধ্যে দেহটি পড়েছিল।

তমলুকের স্টেশন ম্যানেজার সন্তোষকুমার বর্নওয়াল বলেন, ট্রেনের ম঩ধ্যে একজন সংজ্ঞাহীন রয়েছে বলে আমরা খবর পাই। সকাল ৭টা ৪০মিনিট নাগাদ ওই লোকাল তমলুকে আসার পর আমরা তাকে উদ্ধার করি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

No comments