স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার লাগানোর নির্দেশ সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার সহ গ্রাহকদের বিভিন্ন দাবীতে তমলুকে বিদ্যুৎ দপ্তরের রিজিওনাল ম্যানেজারের নিকট ডেপুটেশন

সমস্ত শ্রেণীর বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ক্ষেত্রে স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার লাগানোর নির্দেশ সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার সহ গ্রাহকদের বিভিন্ন দাবীতে তমলুকে বিদ্যুৎ দপ্তরের রিজিওনাল ম্যানেজারের নিকট ডেপুটেশন 'অ্যাবেকা'র।সংবাদদাতা-নারায়…

 

  সমস্ত শ্রেণীর বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ক্ষেত্রে স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার লাগানোর নির্দেশ সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার সহ গ্রাহকদের বিভিন্ন দাবীতে তমলুকে বিদ্যুৎ দপ্তরের রিজিওনাল ম্যানেজারের নিকট ডেপুটেশন 'অ্যাবেকা'র।

সংবাদদাতা-নারায়ণ চন্দ্র নায়ক: অবশেষে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের লাগাতর আন্দোলনের চাপে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যুৎ দপ্তর গৃহস্থ গ্রাহকের বাড়িতে স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার লাগানো থেকে বিরত থাকবে বলে গত ৯ জুন এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছিল। নবান্নের জারি করা ওই নির্দেশকে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সংগঠন "অল বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন"(অ্যাবেকা) তাদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা বিদ্যুৎ গ্রাহকদের আন্দোলনের 'আংশিক জয়' বলে অভিহিত করেছিল। ইতিমধ্যে গতকাল রাজ্য বিধানসভার মুখ্যমন্ত্রী ও বিদ্যুৎমন্ত্রী কোনভাবেই স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার লাগানো হবে না বলে ঘোষণা করেছেন। 

         পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক সমস্ত শ্রেণীর বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ক্ষেত্রে স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার লাগানোর নির্দেশ সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার সহ গ্রাহকদের ১৫ দফা দাবীতে আজ অ্যাবেকা'র পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির পক্ষ থেকে তমলুকে বিদ্যুৎ দপ্তরের রিজিওনাল ম্যানেজার শুভেন্দু বরকে ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি দেওয়া হয়। প্রতিনিধিদলে ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি প্রদীপ দাস,সম্পাদক শংকর মালাকার,অফিস সম্পাদক  নারায়ণ চন্দ্র নায়ক প্রমূখ। রিজিওনাল ম্যানেজার জেলার দাবীগুলি কার্যকর করার পাশাপাশি রাজ্যগত  দাবীগুলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে বলে আশ্বাস দেন। 

নারায়ন চন্দ্র নায়ক বলেন,অবিলম্বে স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার লাগানোর নির্দেশ সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করতে হবে। তা নাহলে গ্রাহকদের নিয়ে আমরা ফের বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব। আগামী ১৯ শে জুন কলকাতায় রাজ্য কমিটির বর্ধিত সভা ডাকা হয়েছে। ওই সভা থেকেই এ বিষয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। 

          প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ আইনে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার লাগানো বাধ্যতামূলক না হলেও কেন্দ্রীয় ওই প্রকল্পে রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ দপ্তরের উদ্যোগে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়/জেলায় ক্ষুদ্র শিল্প ও কৃষি বিদ্যুৎ গ্রাহকদের পর গৃহস্থ বাড়িতে স্মার্ট প্রিপেড মিটার লাগানো শুরু করেছিল। তার পর দেখা যায়, পূর্বে গৃহস্থ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মাসে বিদ্যুৎ বাবদ যে খরচ দিতে হতো,তার দ্বিগুন থেকে তিনগুণ পর্যন্ত বর্ধিত খরচ হচ্ছে। সে কারণে উত্তর ২৪ পরগনা,মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা,বর্ধমান সহ যে যে জেলায় ওই স্মার্ট প্রিপেইড মিটার লাগানো হয়েছে,সেই এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা স্মার্ট প্রিপেড মিটার খুলে নেওয়ার দাবীতে অবরোধ/বিদ্যুৎ দপ্তরে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিল। সে কারণে রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর উপরোক্ত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন।