৩৪তম বেঙ্গল কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের হলদিয়া জোনের বার্ষিক সাধারণ সভা!বেঙ্গল কেমিস্ট্রি এণ্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ৩৪ তম বার্ষিক সাধারণ সভা হলদিয়া জোনাল কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নিলেন ওষুধের দাম কমাতে আন্দোলনে নামছ…
৩৪তম বেঙ্গল কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের হলদিয়া জোনের বার্ষিক সাধারণ সভা!
বেঙ্গল কেমিস্ট্রি এণ্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ৩৪ তম বার্ষিক সাধারণ সভা হলদিয়া জোনাল কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নিলেন ওষুধের দাম কমাতে আন্দোলনে নামছে বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যাণ্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
https://youtu.be/tyu4fmiVu6U
জেলা থেকে রাজ্য, শেষে দিল্লিতে গিয়ে এই আন্দোলন সংগঠিত করা হবে । এছাড়া সরকার যে ওষুধগুলি বাজেয়াপ্ত করছে সেই ঔষধ গুলি যাতে দোকানে না থাকে সেগুলিও লিস্ট আকারে প্রতিটি দোকানে ঝোলানো থাকছে এবং যে স্টকগুলি রয়েছে সেই স্টকগুলি একত্রিত করে রিটেলারের মাধ্যমে ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ভারত সরকারের কাছে সেজন্য জোরালো দাবি জানানো হবে । চৈতন্যপুরে আয়োজিত সংস্থার হলদিয়া জোনের বার্ষিক সাধারণ সভায় এমনই সিদ্ধান্ত ঘোষিত হয়েছে । সেই সঙ্গে হলদিয়া সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে সাধারণের রাত্রিকালীন ওষুধ পেতে নাইট সার্ভিস চালু করার হবে বলে তারা জানিয়েছেন । সংস্থার অন্তর্ভুক্ত ওষুধ দোকানদার সদস্যরা পালা করে সেই সার্ভিস দেবেন বলে জানানো হয়েছে । রাজ্যের বিভিন্ন ওষুধ বিক্রেতা, দোকানদারদের নিয়ে ১৯২১ সালের ৯ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে পথ চলা শুরু করে বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যাণ্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন । সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে ওষুধ সরবরাহ করতে ইতিমধ্যে এই সংগঠনের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে । পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় রয়েছে ১৩ টি জোন । এই জেলায় সদস্য রয়েছেন ৩২০০ জন । ওষুধ বিক্রির পাশাপাশি বিনা খরচে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির সহ বিভিন্ন সামজ কল্যাণ মূলক কাজ করে থাকে এই সংস্থা । সংস্থার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক সুমন পন্ডা জানিয়েছেন,"ভারত সরকার যে ওষুধ নিস্তব নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন সে ঔষুধগুলো যাতে বাজারে বিক্রি না হয় সেজন্য আমরা সদস্যদের সজাগ রাখার চেষ্টা করছি। সাধারণ মানুষের যাতে সঠিক ওষুধ পান সেজন্য আমরা আমাদের পরিষেবা দিতে দায়বদ্ধ । পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির ফিন্যান্স সম্পাদক ও রাজ্য কমিটির সদস্য সুশোভন দাস বলেন সরকার থেকে প্রতি মাসে একটি করে সার্কুলার আছে কোন ওষুধগুলি স্ট্যান্ডার্ড এবং ননস্ট্যান্ডার্ড সেই লিস্ট গুলো আমরা আমাদের জন এলাকায় জেলায় পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি যাতে সাধারণ মানুষ ওই ওষুধগুলো না কেনেন। কোভিড আসছে আর তার জন্য কোভিড কালে কিভাবে মানুষকে পরিষেবা দেওয়া যায় তার জন্য জানালেন" সংস্থার হলদিয়া জোনের সম্পাদক অমলেন্দু পন্ডা জানিয়েছেন,"সাধারণ মানুষের রাত্রিকালীন ওষুধ পাওয়ার কথা মাথায় রেখে আমরা ইতিমধ্যে হলদিয়া জোনে ৪ টি নাইট সার্ভিস চালু করেছি । আগামী দিনে আরও ৬ টি ওষুধ দোকানে নাইট সার্ভিস চালু করা হচ্ছে ।" জানা গিয়েছে, রাত্রি দশ'টা থেকে পরদিন সকাল ছ'টা পর্যন্ত ওষুধ দোকানগুলিতে চালু থাকছে এই নাইট সার্ভিস । সংগঠনের অন্যতম সদস্য আলোক রঞ্জন দাস জানিয়েছেন,"মানুষকে পরিষেবা দিতে আমাদের এই নতুন উদ্যোগ । এই কমিটির সদস্য শংকর অধিকারী বলেন রাত্রিকালীন পরিষেবা বিশেষ করে গ্রাম বাংলা মানুষ বহু উপকৃত হবে। কমিটির অন্যতম সদস্য বিমল পাত্র বলেন মানুষ উপকৃত হলে আমরা খুশি ।"
No comments