হলদিয়া বন্দরে পণ্য খালাসের সংস্থায় শ্রমিক ছাঁটাই, চাকরি হারাদের ঘরে ঘরে কান্নার রোল!কর্মস্থল থেকে ফোনে ডেকে নিয়ে এসে এক গ্লাস জল, এক কাপ চা, ও দুটো বিস্কুট খাইয়ে হলদিয়া বন্দরের একটি পণ্য হ্যান্ডলিং ও ক্লিয়ারিং সংস্থা - এ এম…
হলদিয়া বন্দরে পণ্য খালাসের সংস্থায় শ্রমিক ছাঁটাই, চাকরি হারাদের ঘরে ঘরে কান্নার রোল!
কর্মস্থল থেকে ফোনে ডেকে নিয়ে এসে এক গ্লাস জল, এক কাপ চা, ও দুটো বিস্কুট খাইয়ে হলদিয়া বন্দরের একটি পণ্য হ্যান্ডলিং ও ক্লিয়ারিং সংস্থা - এ এম এন্টারপ্রাইজের অধীনস্থ ইনফ্রা লজিস্টিকস কোম্পানির ৪৩ জন কর্মীকে এক লাইনের বক্তব্যে বলে দেওয়া হলো, "কোম্পানির অবস্থা ভাল না। কাজ নেই। কাল থেকে আর তোমাদের আসতে হবে না।"
চাকরি হারা শ্রমিকরা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, "সকাল থেকে দুপুর রোদে কাজ করছিলাম। এই কথা শুনে আমাদের মাথায় যেন বাজ পড়ার মত অবস্থা তৈরী হয়। কালকেও ওভার টাইমে কাজ করেছি। কোম্পানির কাজ নেই, একথা ঠিক নয়।"
শ্রমিক রা জানান, "গত ১১ জুন বুধবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ চিরঞ্জিতপুরে এএম এন্টারপ্রাইজ-এর অফিসে ঠান্ডা ঘরে ডেকে এনে এই কথা বলা হয়।" সংস্থার জনৈক ম্যানেজার এর বেশি কিছু শ্রমিকদের বলেননি। চাকরি হারানোর সংবাদে প্রতিটি পরিবারে কান্নার রোল পড়ে যায়। শ্রমিকরা প্রশ্ন তুলেছেন আগে থেকে কোন কিছু জানানো হয়নি - কেন তাদের চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হচ্ছে। একদিন আগেও যেই শ্রমিককে ওভারটাইমে খাটানো হয়েছে সেই শ্রমিক এই দিন দুপুরের পর থেকে কাজ হারা! এদিকে কিছু সময়ের মধ্যেই বন্দরের বিভিন্ন প্রবেশপথে শ্রমিকদের আইডেন্টিটি কার্ড লক করে দেওয়া হয় বলে শ্রমিকরা জানিয়েছেন।
এই ঘটনার পর দিশেহারা শ্রমিকরা স্থানীয় বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তাপসী মন্ডল ও আইএনটিটিইউসির জেলা কোর কমিটির সদস্য শ্যামল মাইতির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বিষয়টি দ্রুততা ও সহানুভূতির সঙ্গে দেখার জন্য অনুরোধ জানান। কিন্তু নানা কারণে বিধায়ক এখনো পর্যন্ত এই শ্রমিকদের সঙ্গে বসতে পারেননি। আগামীকাল সোমবার বিধায়কের ক্ষুদিরামনগর কার্যালয়ে একটি বৈঠক হওয়ার কথা আছে বলে শ্যামল মাইতি জানিয়েছেন। শ্যামল মাইতি জানান, "আরো 150 জনের মত তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বিষয়টি আইএনটিটিইউসি'র রাজ্য সভাপতি সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোচরে আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য বন্দরে এই সমস্ত শ্রমিকদের কোন স্বীকৃত ইউনিয়ন নেই। শ্যামল আদক তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে ঠিকা শ্রমিকদের কোন স্বীকৃত ইউনিয়ন গড়ে ওঠেনি।
No comments