পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় ঋণের দায়ে জর্জরিত গোলাপচাষীর আত্মহত্যা। ঋণগ্রস্ত ফুলচাষীদের ঋন মুকুব সহ সহজ শর্তে ঋন প্রদানের দাবীতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ফুলচাষী ফুলব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে স্মারকলিপ! সংবাদদাতা-নারা…
পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় ঋণের দায়ে জর্জরিত গোলাপচাষীর আত্মহত্যা।
ঋণগ্রস্ত ফুলচাষীদের ঋন মুকুব সহ সহজ শর্তে ঋন প্রদানের দাবীতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ফুলচাষী ফুলব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে স্মারকলিপ!
সংবাদদাতা-নারায়ন চন্দ্র নায়ক।পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ফুলচাষের মানচিত্রে পাঁশকুড়া ব্লক এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রয়েছে। ব্লকের মাইশোরা গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব ও পশ্চিম গুড়তলা,পারলঙ্কা,মাইশোরা,রাজশহর সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম গোলাপচাষের জন্য বিখ্যাত। ফুল কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক 'অর্থকরী ফসল' হিসেবে স্বীকৃত না হওয়ার কারণে চাষীরা পায় না সরকারী ঋণের সুযোগ। সেজন্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে চাষের ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ বা 'ফসল বীমা'র সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় ফুলচাষীরা। সেজন্য ওই অর্থকরী ফসল চাষ করবার জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ফুলচাষীদের সরকারী ঋনের উপর নির্ভর না করে বেসরকারী ঋন বা মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা ধার করতে হয়। করোনা পরিস্থিতির পর থেকে কয়েক বছর এলাকার ফুলচাষীরা কংসাবতী সৃষ্ট বিধ্বংসী বন্যা সহ নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে ভীষণভাবে ক্ষতির মুখে পড়ছেন। ফলস্বরূপ চাষের জন্যে নেওয়া ঋন সময়মত শোধ করতে পারছেন না অনেকেই। সে কারণে যে ভুঁইফোর সংস্থাগুলির লোকজনেরা চাষীদের ঋণ দিয়েছিল,সেই টাকা আদায়ের লক্ষ্যে ফুলচাষীদের নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। গতকাল পশ্চিম গুড়তলা গ্রামের ফুলচাষী সঙ্গীতা প্রামানিক(বয়স ২৭)কে পাওনাদার এসে চাপ সৃষ্টি করার পর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এরকমই বহু চাষী ঋণ পরিশোধ করতে না পারার কারণে বর্তমানে ঘরছাড়া। বাগানে ফুল ফুটে রয়েছে। তোলার কেউ নেই।
উপরোক্ত ভয়াবহ পরিস্থিতি নিরসনে ওই ঋণগ্রস্ত কৃষকদের ঋণ মুকুব সহ চড়া সুদের কারবারীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও ফুলচাষীদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের দাবীতে আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ফুলচাষী ও ফুলব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে মূখ্যমন্ত্রী,কৃষিমন্ত্রী উদ্যানপালন দপ্তরের মন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ন চন্দ্র নায়ক বলেন,অতি সত্বর উপরিউক্ত বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে আরও অনেক ফুলচাষী আত্মহত্যার পথে যেতে বাধ্য হবেন।
No comments