ইতিহাসের পাতায় অখন্ড মেদিনীপুর সমন্বয় সংস্থা গড়ে উঠেছে সম্মানিত করছে অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার কৃতি সন্তানদের!স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন মেদিনীপুরের কিশোর বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর আত্মত্যাগ ,গান্ধী বুড়ি মাতঙ্গিনী হ…
ইতিহাসের পাতায় অখন্ড মেদিনীপুর সমন্বয় সংস্থা গড়ে উঠেছে সম্মানিত করছে অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার কৃতি সন্তানদের!
স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন মেদিনীপুরের কিশোর বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর আত্মত্যাগ ,গান্ধী বুড়ি মাতঙ্গিনী হাজরা জাতীয় পতাকা বুকে ধরে ইংরেজের গুলিতে গুলিবিদ্ধ , বাংলার বর্ণ পরিচয় এর স্রষ্টা বিদ্যাসাগর। সেই জেলাকে রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় পরিচিতি দিতে গেলে তাদেরকে মেদিনীপুরা বলা হত। মেদিনীপুর এখন তিনটি জেলায় বিভক্ত। মেদিনীপুরের বর্তমানে কৃতি সন্তানগণ এখন সারা ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ কাজে যুক্ত কিন্তু তবুও অবহেলিত মেদিনীপুর। মেদিনীপুর বাসীদের অক্লান্তিক প্রচেষ্টায় রাজ্যের রাজধানী কলিকাতা শ্যাম বাজার পাঁচ মাথার মোড়ে মাথা উঁচু করে বিরাজমান মেদিনীপুর সমন্বয় সংস্থা। ইতিমধ্যে মেদিনীপুর সংস্থা তাদের মডেল হিসেবে ভারতের স্মরণীয় ও বরণীয়, মেদিনীপুরের স্মরণীয় ও বরণীয়, বাংলার স্মরণীয় বরণীয় প্রকাশিত করেছে। মেদিনীপুরের ঐতিহ্য বহন করছেন রাজ্যের রাজধানীতে বর্তমানে অখন্ড মেদিনীপুর বাসীদের সমন্বয় সংস্থা।
প্রসঙ্গত, এটি 'প্রবাসী মেদিনীপুর' এবং অখন্ড মেদিনীপুর বাসীদের সমন্বয় সংস্থা। এই সংস্থা আমাদের পরস্পরের মধ্যে যোগসূত্র এবং পরস্পরকে বিভিন্নভাবে সাহায্য ও পরামর্শ দানের মাধ্যম।অধ্যাবসায়, সততা, বুদ্ধিমত্তা, নির্ভীকতা, জেদ-এই সব গুণ আমরা দেখেছি মানবতার মূর্ত প্রতীক । বর্তমানে সংস্থার কোষাধ্যক্ষ অমীয় কুমার মাইতি বলেন আমাদের মেদিনীপুরেই জন্মেছেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর , বিপ্লবী ক্ষুদিরাম, শহীদ মাতঙ্গিনী, দেশপ্রাণ বীরেন্দ্রনাথ শাসমল, সতীশ সামন্ত, সুশীল কুমার ধাড়া, কুমার চন্দ্র জানা, অজয় কুমার মুখোপাধ্যায়। এছাড়াও এই মেদিনীপুরেই সারা ভারতবর্ষের কৃষি ,মৎস্য, কারিগরি শিক্ষা, একই ছাতার তলায় হোমিওপ্যাথি এবং এ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার গবেষণা তৈরি যার উদ্বোধন করেছিলেন বৈজ্ঞানিক ডক্টর সত্যেন্দ্রনাথ বসু। এক ফসল, থেকে তেফসলা ধানের চাষের প্রথম পরীক্ষামূলক করেছিলেন, অভিভক্ত মেদিনীপুর জেলার সুতাহাটা থানা অন্তর্গত বাড় বাসুদেবপুর গ্রামে রাজ্যের রাজধানী কলিকাতা ছেড়ে এসে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী শিক্ষাবিদ রাজ্যের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ডঃ প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ এই জেলায় বসবাস করতেন, মহিষাদলের জন্মগ্রহণ করেছেন সূর্যকান্ত ত্রিপাঠী (নিরালা) তিনি গল্প উপন্যাসিক প্রবন্ধিক বিশেষ করে হিন্দী ভাষা কবি হিসেবে পরিচিত, ইতিহাসবিদ অমলেশ ত্রিপাঠী,তাদেরকে ভুললে চলবে না, আমরা তাদেরই উত্তরসূরী।
মেদিনীপুর সমন্বয় সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক প্রণবেশ জানা বলেন,আমরা যারা নিজেদের বিভিন্ন কাজে সাফল্যের সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি, তাদের অধিকাংশকেই প্রাথমিক স্তরে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়েছে। আমাদের অনেকেরই ভাগ্যে জুটেছে বিড়ম্বনা। আমাদের এই সংস্থা জীবনে এগিয়ে চলার পথে বিভিন্ন পর্যায়ে প্রতিকূলতা দূর করতে যথাসাধ্য সাহায্য করতে বদ্ধ পরিকর।২০১১ সালের ২০ আগস্ট তারিখে কলকাতায় বসবাসকারী মেদিনীপুরের বিশিষ্ট ৩৫ জন ব্যক্তি কলেজ স্কোয়ারে অবস্থিত মহাবোধি সোসাইটি হলে একত্রিত হয়ে ঐতিহ্যবাহী অবিভক্ত মেদিনীপুরে অধিবাসীদের মানসিকতা, ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা এবং একতার স্বার্থে 'মেদিনীপুর সমন্বয় সংস্থা' গঠন হয়। কলকাতা শহর ও শহরতলীতে বসবাসকারী মেদিনীপুরবাসীদের এবং অখন্ড মেদিনীপুরের অধিবাসীদের একত্রিত করতে কাজ শুরু করা হয়।
সংস্থার বর্তমান সম্পাদক রতিকান্ত মালাকার বলেন, আমাদের প্রধান কর্মসূচী - (১) কলকাতা শহরে 'মেদিনীপুর ভবন' তৈরীর প্রচেষ্টা, (২) প্রাথমিক শিক্ষায় বিদ্যাসাগরের 'মূল্যবোধমূলক পাঠের' অন্তর্ভুক্তি করণের জন্য প্রচেষ্টা, (৩) বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত মেদিনীপুর বাসীদের সঠিক বিবরণ প্রস্তুতীকরণ, (৪) বিভিন্ন কাজে আসা ব্যক্তিদের অন্তর্বতীকালীন আবাসনের জন্য 'বিদ্যাসাগর অতিথি নিবাসের' ব্যবস্থা করা, (৫) ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন প্রকারে সাহায্য ও পরামর্শ দান, (৬) অখন্ড মেদিনীপুরের সার্বিক উন্নয়নের প্রচেষ্টা।আসুন, আমরা অখন্ড মেদিনীপুরের সার্বিক উন্নয়নের দাবী আদায়ের প্রয়োজনে দলমত নির্বিশেষে একজোট হই এবং মেদিনীপুরের গৌরবময় অধ্যায়কে পুঁজি করে এগিয়ে চলার শপথ নিই।আমাদের সংস্থার উদ্দেশ্য সফল করার জন্য, এবং 'মেদিনীপুর ভবন' তৈরীতে সক্রিয় সহযোগিতার জন্য উপস্থিত সকলকে অনুরোধ জানাই। আমাদের সংস্থার উদ্দেশ্যের কথা আপনাদের বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের জানাবেন এবং তাদের 'আমাদের সাথী' হতে বলবেন।
No comments