জরুরি অপারেশনে বাম হাত বাদ পড়লেও চিকিৎসকদের চেষ্টায় প্রাণে বাঁচলেন প্রৌঢ়া! জরুরি অপারেশনে বাম হাত বাদ পড়লেও চিকিৎসকদের চেষ্টায় প্রাণে বাঁচলেন প্রৌঢ়া। হলদিয়া পুরসভার বালুঘাটার বাসিন্দা বাসন্তী মাইতি। হতদরিদ্র ওই মহিলার পাশে কেউ নে…
জরুরি অপারেশনে বাম হাত বাদ পড়লেও চিকিৎসকদের চেষ্টায় প্রাণে বাঁচলেন প্রৌঢ়া!
জরুরি অপারেশনে বাম হাত বাদ পড়লেও চিকিৎসকদের চেষ্টায় প্রাণে বাঁচলেন প্রৌঢ়া। হলদিয়া পুরসভার বালুঘাটার বাসিন্দা বাসন্তী মাইতি। হতদরিদ্র ওই মহিলার পাশে কেউ নেই। এক ছেলে মা অসুস্থ হওয়ার পর দেখে না বলে অভিযোগ। একদিকে দারিদ্র্য অন্যদিকে অসুস্থতা। চিকিৎসার জন্য তেমন কেউ সাহায্যই করেনি। ফলে তাঁর দুর্ঘটনার পর দীর্ঘদিন ঠিকমতো চিকিৎসা হয়নি। একসময় তাঁর বাম হাত বেঁকে যায়। কিছুদিন আগে সেই বেঁকে যাওয়া হাত থেকে হঠাৎ পুঁজ রক্ত বেরতে শুরু করে। ফিরিয়ে দেয় হাসপাতাল। হাতে গ্যাংরিন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এক সহৃদয় প্রতিবেশীর নজরে আসতেই তিনি সোজা তাঁকে চিকিৎসার জন্য হলদিয়া মেডিকেল কলেজে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন, হাড়ের মধ্যে গ্যাংরিন ছড়িয়েছে, যে কোনও সময়ে তা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেপটিসেমিয়ার কারণে প্রাণসঙ্কট হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। আইকেয়ারের হলদিয়া মেডিকেল কলেজ ও বিসি রায় হাসপাতালের চিকিৎসকরা বাসন্তীদেবীকে বাঁচাতে তাঁর বাম হাত বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। দুপুরে ঘণ্টাখানেকের অপারেশনে ওই প্রৌঢ়ার ক্ষত স্থান বাদ দেওয়া হয়। বিসি রায় হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান দীপককুমার ঝা ও সৌম্য ঘোষের নেতৃত্বে।
No comments