সাইবার প্রতারণার শিকার হলদিয়া, মহিষাদলের মহিলা ও যুবক, চাঞ্চল্য সাইবার প্রতারণার খপ্পরে পড়ে ফের কয়েক লক্ষ টাকা খোয়ালেন হলদিয়ার এক মহিলা এবং মহিষাদলের এক যুবক। দু›টি ঘটনায় সাত লক্ষ টাকার বেশি হাতিয়েছে প্রতারকরা। ওই মহিলা প্রলোভনে …
সাইবার প্রতারণার শিকার হলদিয়া, মহিষাদলের মহিলা ও যুবক, চাঞ্চল্য
সাইবার প্রতারণার খপ্পরে পড়ে ফের কয়েক লক্ষ টাকা খোয়ালেন হলদিয়ার এক মহিলা এবং মহিষাদলের এক যুবক। দু›টি ঘটনায় সাত লক্ষ টাকার বেশি হাতিয়েছে প্রতারকরা। ওই মহিলা প্রলোভনে পা দিয়েই কয়েক লক্ষ টাকা খুইয়েছেন বলে তদন্তকারী পুলিস আধিকারিকদের বক্তব্য। হলদিয়া ও মহিষাদল থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কয়েকদিন আগেই সাইবার হানায় হলদিয়া ও মহিষাদলের দু›জনের টাকা গায়েব হয়েছে বলে অভিযোগ।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিষাদলের মলুবসানের বাসিন্দা মোশারফ হোসেনের স্টেট ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে দু›দফায় ৮২ হাজার টাকা গায়েব হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। কিছুদিন আগে ওই ব্যক্তি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ৬৪ হাজার টাকা ঋণ নেন। এরপর ঋণের টাকা সুদ সহ ফেরতও দিয়ে দেন। অভিযোগ, তা সত্ত্বেও ২২০০ টাকা চার্জ কেটে নেয় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। এরপরই ওই ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ড বিভাগের নাম করে মোশারফবাবুর কাছে ফোন আসে। অজ্ঞাত পরিচয় ওই ব্যক্তি মোশারফবাবুর সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে তাঁর বিশ্বাস অর্জন করে। এরপর ওই অজ্ঞাত পরিচয়কে ব্যক্তিকে মোশারফবাবু তাঁর ক্রেডিট কার্ডের নম্বর সহ ওটিপি শেয়ার করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই মোশারফবাবুর অ্যাকাউন্ট থেকে পর পর ৬৬ হাজার ও ১৬ হাজার টাকা কেটে নেওয়ার মেসেজ আসে। তিনি ব্যাঙ্কে ফোন করে জানতে পারেন সেখানকার কোনও কর্মী ফোন করেননি।
অন্যদিকে, হলদিয়ার হাতিবেড়িয়ার এক মহিলা অনলাইন গেমের প্রলোভনে পড়ে ৬ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা খুইয়েছেন। ওই মহিলা প্রথমে ফেসবুকের একটি লিঙ্ক পেয়ে অনলাইন গেমের মাধ্যমে আয়ের ফাঁদে পড়েন। প্রথমে সাইবার প্রতারকরা তাঁকে সহজ টাস্ক দিয়ে আয়ের উপায় বাতলে দেয়। তিনি মাত্র ৫০ টাকা বিনিয়োগ করে তার কয়েকগুণ টাকা ফেরত পান। এভাবে তাঁকে টেলিগ্রামের মাধ্যমে একটি ‹ভিআইপি টাস্ক› গ্রুপে যুক্ত করা হয়। সেখানে খেলায় মেতে ওঠার সময় টাকা বিনিয়োগ শুরু করেন মহিলা। ‹টাস্ক› যত কঠিন হতে থাকে, টাকার বিনিয়োগের অঙ্কও বাড়তে থাকে। এরপর একসময় টাকা ফেরত চাইতেই মহিলাকে ‹মিসটেক› করেছেন বলা হয়। এজন্য তাঁর অ্যাকাউন্ট ‹ফ্রিজ› করে দিয়ে গেমের অ্যাডমিন আরও টাকা বিনিয়োগ করার জন্য চাপ দিতে থাকে। তা না হলে কোনও টাকাই ফেরত পাবে না জানিয়ে দেওয়া হয়। বিপাকে পড়ে ওই মহিলা হলদিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্তকারী পুলিস আধিকারিক বলেন, বাড়তি আয়ের নেশায় অনেকেই সাইবার প্রতারণার খপ্পরে পড়ে টাকা খুইয়েছেন। পুলিস ওই ঘটনায় তদন্ত করছে। হলদিয়ার চাকরিজীবী বহু মানুষ এবং তাঁদের পরিবারের লোকজন সাইবার প্রতারণার ফাঁদে পড়ছেন।
No comments