Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বন্য পশু শিকার বন্ধে তৎপর হলো রাজ্য বন বিভাগের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা দপ্তর!

বন্য পশু শিকার বন্ধে তৎপর হলো রাজ্য বন বিভাগের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা দপ্তর!
আদিবাসীদের সেদরা পরবে(ফলহারিনী কালীপুজোয় ) উপলক্ষে বন্য পশু শিকার বন্ধে তৎপর হলো রাজ্য বন বিভাগের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা দপ্তর । লোকায়ত তিথি অনুযায়ী ২৭ শে…

 



বন্য পশু শিকার বন্ধে তৎপর হলো রাজ্য বন বিভাগের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা দপ্তর!


আদিবাসীদের সেদরা পরবে(ফলহারিনী কালীপুজোয় ) উপলক্ষে বন্য পশু শিকার বন্ধে তৎপর হলো রাজ্য বন বিভাগের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা দপ্তর । লোকায়ত তিথি অনুযায়ী ২৭ শে মে পাঁশকুড়ার ক্ষিরাইয়ের বেগুনবাড়ি গ্রামে এই সেদরা পরবের আয়োজন হয় । তার টানেই ঝাড়খন্ড, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর,পুরুলিয়া, বাঁকুড়া‌ সহ জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জায়গা থেকে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর শিকারীরা পাঁশকুড়া এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় দলে দলে বন্য পশু শিকারে ভিড় করেন । বন্যপ্রাণ শিকার বন্ধ করতে তাই আগেভাগেই প্রচারে নেমে পড়েছেন বনদপ্তরের কর্মী আধিকারিকগণ । 

     বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে প্রতি বৎসর ফলহারিণী কালীপুজোর সময় পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় মূলত পাঁশকুড়া ব্লকের ক্ষিরাই, হাউর, পাঁশকুড়া ও তার পার্শ্ববর্তী  বিভিন্ন জায়গায় প্রথাগত শিকারীদের শিকার করতে আসার প্রবণতা থাকে । এই প্রবণতা রুখতে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের থেকে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করা হয় ।  কলকাতা হাইকোর্টের আদেশ  অনুসারে বনদপ্তরের সাথে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, রেল সকলে একত্রে সার্বিকভাবে বন্যপ্রাণ শিকার বন্ধের প্রচারাভিযান করা হয় । ২৪ মে থেকে শুরু হয়েছে প্রচার অভিযান । ইতিমধ্যে বিভিন্ন রেল স্টেশনে ভিডিও রেকর্ডিং করে বন্যপ্রাণ শিকার বন্ধের প্রচার চালানো হয়েছে । লিফলেট,ব্যানার, ফেস্টুনের মাধ্যমে জানানো হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য । বাঘরোল, শেয়াল, ভাম, বাঁদর,হনুমান, গোসাপ, সাপ,ইঁদুর, কচ্ছপ, পাখি কোন কিছু বন্যপ্রাণকে শিকার তো দূরের কথা, কোনরকম বিরক্ত করা যাবে না । বাড়িতেও পোষ মানানো নিষেধ রয়েছে । ২০২২ সালের বন্যপ্রাণ নিয়ম অনুযায়ী বন্যপ্রাণ নিধনে সাত বছরের জেল, সেইসঙ্গে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে । সেজন্য বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং ,লিফলেট বিলি ইত্যাদি । শিকার রুখতে সুদূর ঝালদা, বরাবাজার, মানবাজার, আদ্রা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম প্রভৃতি রেলওয়ে স্টেশনে আগেই প্রচার চালানো হয়েছে । এবার খড়গপুর , ক্ষিরাই, হাউর, নন্দাইগাজন, নারায়ণ পাকুড়িয়া মুরাইল, ভোগপুর কোলাঘাট এবং মেচেদা স্টেশনে এবং ট্রেন গুলিতে ২৪ ঘন্টা নজরদারি চালানো হয় ।  বিভিন্ন সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকদের তরফ থেকে রেলওয়ে এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাতে নজরদারি রাখা হয় যাতে কোনরকম বন্যপ্রাণ শিকার যাতে কেউ না করতে পারে । এ ক্ষেত্রে বনদপ্তরকে সহায়তার জন্য এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা । এ বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার (ডি এফ ও) অর্ণব সেনগুপ্ত।

 

No comments