হলদিয়াতে সাংস্কৃত উৎসবে তস্ফূর্ত মানুষের উপস্থিতি
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শিল্প সংস্কৃতির শহর হলদিয়া। হলদিয়ায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে গত এক মাস ধরে বসন্ত উৎসব বিভিন্ন জায়গায় পালিত হয়েছে। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের উদ্…
হলদিয়াতে সাংস্কৃত উৎসবে তস্ফূর্ত মানুষের উপস্থিতি
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শিল্প সংস্কৃতির শহর হলদিয়া। হলদিয়ায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে গত এক মাস ধরে বসন্ত উৎসব বিভিন্ন জায়গায় পালিত হয়েছে। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে হলদিয়া মেলা সংহতি ময়দানে অনুষ্ঠিত হতো। তার আগেই শিল্প শহরে নজর কাড়া হলদিয়া উৎসব হলদিয়া টাউনশিপ হেলিপ্যাড ময়দানে প্রায় ১০ দিনের মেলা হতো । ২০০৭ সালের পর সেই মেলা বন্ধ হয়ে যায় । ২০১৫ সাল থেকে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ এবং হলদিয়া পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে হলদিয়া মেলা হলদিয়া রানীচক সংহতি ময়দানে অনুষ্ঠিত হতো । তার মাঝে কোভিডের সময় বন্ধ হয়ে যায় কিন্তু তারপরও আবার চালু হয় । কিন্তু ২০২২ সালে হলদিয়া পৌরসভার বোর্ড ভেঙে যায় ৫ ই সেপ্টেম্বর তারপর থেকে সেই মেলা আর হলো না । সাধারণ মানুষের দাবি ছিল হলদিয়া মেলা করার জন্য কিন্তু কে নেবে মেলার দায় । হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ বলতেন পৌরসভার উপর, পৌরসভা হলদিয়া উন্নয়ন পরিষদ, উভয়কে দোষারোপ করতে করতে দু'বছর মেলা হয়নি। এ বছর শুরুতেই মেলা করার উদ্যোগ যখন মানুষ বলেন হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন মেলা করা সম্ভব নয়। কিন্তু পরবর্তীকালে হলদিয়া সাংস্কৃতিক উৎসব হবে বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন সরকারী উদ্যোগে সেই মেলা বা উৎসব হলদিয়া দুর্গাচক কুমার চন্দ্র জানা অডিটোরিয়াম এর শুরু হয়। শুরু থেকেই বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প উৎসব প্রাঙ্গনে প্রায় কুড়িটি স্টল থাকলেও সেই স্টল কিন্তু ফাঁকা। লোকজনও সে ধরনের নেই কুমার চন্দ্র জানা অডিটোরিয়াম বেশিরভাগ সময় হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভাড়া দিয়ে থাকত বিভিন্ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হতো সে কারণেই এবারের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে ঠিক কিন্তু প্রচার না থাকার জন্য ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান মনে করেই গেটের সামনে থেকেই মানুষ ঘুরে যাচ্ছে তারা বলছে সাধারণের প্রবেশ নেই। যদিও মাইকের শব্দ আসছে। কিন্তু কাছে গিয়ে সেই অনুষ্ঠান উপভোগ করার মত অনেকেই ভয়ে যেতে পারলেন না।। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠানে কর্মীদের জন্য ঢালাও খাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। কুমার চন্দ্র জানা অডিটোরিয়ামের পিছনেই পার্ক সুন্দরভাবে আলোর রোশনায় সাজানো হয়েছে। কিন্তু যাদের জন্য অনুষ্ঠান সাধারণ মানুষের জন্য তারা কি উপভোগ করতে পেরেছেন? কতকগুলি স্কুল এসেছিলেন নিত্য গান আবৃত্তি এবং অঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য । কোটি টাকা খরচ করে যে মেলা বা উৎসব করা হলো সেই উৎসব সংহতি ময়দানে মেলা হলে আরো বেশি মানুষ উপভোগ করতে পারতেন বলে সাধারণ মানুষের দাবি। অনেকেই বলছেন হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ বর্তমান প্রাক্তন পৌরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে যে সরকারি ভাবে উৎসব করলেন উনাদেরকে নিয়েই তো হলদিয়ার মেলা করা যেত। তাহলে কেনই বা হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ ও হলদিয়া পৌরসভার উপর হলদিয়া পৌরসভার পৌর প্রশাসক ও বারবার বলতেন জনপ্রতিনিধি না থাকলে আমরা এই সরকারি অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়। কি এমন ঘটনা ঘটলো মেলা বাদ দিয়ে খেলা সংস্কৃতির উৎসব অর্থাৎ ক্লাবের বাস্তবিক অনুষ্ঠানের মতই কোটি টাকা খরচ করে এই উৎসব করা। যদিও এই উৎসবকে কটাক্ষ করেছেন ভারতীয় মজদুর সংঘ রাজ্য সভাপতি প্রদীপ বিজলী তিনি বলেন সদিচ্ছা না থাকলে মেলা করা যায় না। এর আগে যে কথাগুলি বলতেন কেবল সেগুলি বাহানা ছিল। ইতিমধ্যে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদে এবং পৌরসভার কোষাগারে টাকা বৃদ্ধি হয়েছে সেগুলোকে কিভাবে খরচ করা যায় আর তার জন্যই মেলা বন্ধ করে খেলা উৎসব শুরু করলেন হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ।
No comments