৭৪৮ টি জীবনদায়ী ঔষধের অস্বাভাবিক দামবৃদ্ধিরোধ,ভেজাল ঔষধ সরবরাহ বন্ধ,তাম্রলিপ্ত জেলা হাসপাতালের পরিষেবার সার্বিক উন্নতি দাবিতে ডেপুটেশন!সংবাদদাতা-নারায়ণ চন্দ্র নায়ক:৭৪৮ টি জীবনদায়ী ঔষধের অস্বাভাবিক দামবৃদ্ধিরোধ,ভেজাল ঔষধ সরবরাহ …
৭৪৮ টি জীবনদায়ী ঔষধের অস্বাভাবিক দামবৃদ্ধিরোধ,ভেজাল ঔষধ সরবরাহ বন্ধ,তাম্রলিপ্ত জেলা হাসপাতালের পরিষেবার সার্বিক উন্নতি দাবিতে ডেপুটেশন!
সংবাদদাতা-নারায়ণ চন্দ্র নায়ক:
৭৪৮ টি জীবনদায়ী ঔষধের অস্বাভাবিক দামবৃদ্ধিরোধ,ভেজাল ঔষধ সরবরাহ বন্ধ,তাম্রলিপ্ত জেলা হাসপাতালের পরিষেবার সার্বিক উন্নতি এবং
মহকুমা-ব্লক ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে পরিকাঠামো উন্নয়নের বিভিন্ন দাবীতে সারা বাংলা হাসপাতাল ও জনস্বাস্থ্য রক্ষা সংগঠনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে আজ সকালে তমলুক হাসপাতাল মোড়ে ঔষধের দামবৃদ্ধির প্রতিলিপি পুড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। প্রতিলিপিতে অগ্নিসংযোগ করেন, সংগঠনের জেলা আহ্বায়ক রামচন্দ্র সাঁতরা। এছাড়াও তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষা এবং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ১৩ দফা দাবী সম্বলিত স্মারকলিপি ও ডেপুটেশন দেওয়া হয়। প্রতিনিধিদলে ছিলেন সংগঠনের পক্ষে ডা: জয়দেব ঘড়া,রমেশ গিরি,রামচন্দ্র সাঁতরা,অর্জুন ঘোড়াই,দীপক জানা,লীনা দাস প্রমূখ।
সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বিক্ষোভ সভায় অভিযোগ করেন,গত ১লা এপ্রিল থেকে কেন্দ্রীয় সরকার চুপিসারে ৭৪৮ টি জীবনদায়ী ঔষধের অস্বাভাবিক দামবৃদ্ধি করেছে। সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও)-এর রিপোর্ট অনুসারে গত একবছরে এ রাজ্যে পালমোসিল ইনজেকশন,ট্যালমা,ক্যালসিয়াম,রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইনের মত অন্তত ৩০২ টি এবং সারা দেশে ৯৭৬ টি ভেজাল ঔষধ পাওয়া গিয়েছে যেগুলি দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষ ব্যবহার করে চলেছে। সারা দেশের জাল ঔষধের শতকরা ৩১ ভাগ পশ্চিমবঙ্গের বাজারে বিক্রি চলছে। যে ভেজাল ঔষধে কয়েক মাস আগে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে একজন প্রসুুতি মায়ের মৃত্যু সহ কয়েকজন গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল।
অন্যদিকে নেতৃবৃন্দের আরো অভিযোগ,পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ইনডোর ও আউটডোর রোগীর পরিষেবা দিনের পর দিন বেহাল অবস্থায় সম্মুখীন। ইউএসজি ও সিটি স্ক্যানের মত প্রয়োজনীয় পরীক্ষার যন্ত্রপাতি হাসপাতালে থাকলেও নানান অজুহাতে বাইরে করতে বাধ্য করানো হচ্ছে। আউটডোরে অসুস্থ বৃদ্ধ কিংবা মহিলাদের যন্ত্রণাদায়ক অবস্থায় ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে অপেক্ষা করানো হয়। পর্যাপ্ত বসবার পর্যন্ত ব্যবস্থা নেই। প্রসূতি মা সহ অসংখ্য রোগী উপযুক্ত পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। অনেক সময় ইমারজেন্সিতে সিনিয়ার ডাক্তার থাকেন না। তার ফলে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে রোগীকে অসুবিধায় পড়তে হয়। কোনও কোন সময় অঘটনও ঘটে। বিভিন্ন বিভাগে স্পেশালিষ্ট ডাক্তার নেই। হাসপাতাল চত্বরে রোগীদের নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। এছাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র-ব্লক ও মহকুমা হাসপাতালগুলিতে ইনডোরে বেড-ঔষধ-ডাক্তার সহ উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই।
অবিলম্বে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উপরোক্ত সমস্যার সমাধান করা না হলে কমিটি বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে বলে নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি দেন।
No comments