বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে নয়, গুরু হিসাবে মান্যতা দেওয়ার বার্তা "মাতৃ পুজন" অনুষ্ঠানেবর্তমান সময়ে মা বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে বিলাসিতা ভাবে দিন যাপন করছে ছেলে মেয়েরা। শিশু মন থেকে মাতৃ ও পিতৃ মর্যাদা বাড়ানো লক্ষ্যে মহিষাদল ভ…
বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে নয়, গুরু হিসাবে মান্যতা দেওয়ার বার্তা "মাতৃ পুজন" অনুষ্ঠানে
বর্তমান সময়ে মা বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে বিলাসিতা ভাবে দিন যাপন করছে ছেলে মেয়েরা। শিশু মন থেকে মাতৃ ও পিতৃ মর্যাদা বাড়ানো লক্ষ্যে মহিষাদল ভারত সেবাশ্রম সংঘের পক্ষ থেকে বাসন্তী পুজোয় আয়োজন করা হয় " মাতৃ পুজন"। সেই অনুষ্ঠানে এলাকার ১০০ মাকে মাতৃ রুপে পুজা করেন তাদের ছেলে মেয়েরা।
ঐতিহাসিক মহিষাদলের ঐতিহ্যবাহী ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ বিগত বছর গুলির ন্যায় এবছরও শ্রী শ্রী বাসন্তী দুর্গোৎসবের আয়োজন করেছে। প্রায় ২-৩ মাস আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে এই উৎসবের প্রস্তুতি পর্ব। আশ্রমের বিভিন্ন শাখা থেকে পূজনীয় সন্ন্যাসীবৃন্দ ও একনিষ্ঠ সেবকগন এখানে এসে উপস্থিত হয়েছেন উৎসবের আয়োজনার্থে। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এলাকাবাসী তথা আপামর জনসাধারণের উৎসাহ ও উদ্দীপনা তুঙ্গে। মহাষষ্ঠী থেকে মহাদশমী পর্যন্ত হাজার হাজার ভক্ত সমাগম ঘটে এই আশ্রম প্রাঙ্গনে। আগত ভক্তমন্ডলী ও পুণ্যার্থীদের ভোগ প্রসাদ গ্রহনের ব্যবস্থা করেন আশ্রম কর্তৃপক্ষ। উৎসব চলাকালীন আশ্রম প্রাঙ্গন মুখরিত হয়ে ওঠে আট থেকে আশির মধুর কলতানে। চলে মহাসমারোহে দেবী মায়ের আরাধনা, তৎসহ শ্রী শ্রী গুরু মহারাজের পূজন, বৈদিক শান্তি যজ্ঞ, চন্ডী পাঠ, গীতাপাঠ, ধর্মসভা, হরিনাম সংকীর্তন, আত্মরক্ষামূলক ছোরা ও লাঠিখেলা, ভক্তিগীতি প্রকৃতি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় উৎসবমুখর দিনগুলিতে। এই উৎসবের একটি বিশেষ আকর্ষন হল 'অন্নকূট ভোগ'। মহাষ্টমীতে দেবীমাকে ১০৮ রকম ভোগ নিবেদন করা হয়- যার সবই আশ্রম প্রাঙ্কনেই তৈরী করেন ভক্তিমতী মায়েরা।
ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের মহিষাদল শাখার বর্তমান সম্পাদক তথা প্রধান কর্মকর্তা ব্রহ্মচারী গৌতম মহারাজের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও পরিকল্পনায় এবছর এক অভিনব ও অনন্য সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে মহাসপ্তমীর প্রাতে। আশ্রম পরিচালিত প্রণবানন্দ আদর্শ বিদ্যালয়ের প্রায় শতাধিক বিদ্যার্থীরা তাদের জন্মদাত্রী মাকে বন্দনার মাধ্যমে প্রদান করবে তাদের অন্তরের সম্মান এবং শ্রদ্ধার্ঘ্য-অর্থাৎ মৃন্ময়ী মায়ের সামনে পূজন হবে চিন্ময়ী মায়ের।
No comments