পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পরিপ্রেক্ষিতে ফুলের বাজার খানিকটা চাঙ্গা!সংবাদদাতা-নারায়ন চন্দ্র নায়ক : চৈত্র মাসে বিয়ের লগন না থাকার কারণে ফুল জলের দরে বিক্রি হচ্ছিল। রং-বেরঙের বিভিন্ন ফুল ফেলে দিতে বাধ্য হচ…
পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পরিপ্রেক্ষিতে ফুলের বাজার খানিকটা চাঙ্গা!
সংবাদদাতা-নারায়ন চন্দ্র নায়ক : চৈত্র মাসে বিয়ের লগন না থাকার কারণে ফুল জলের দরে বিক্রি হচ্ছিল। রং-বেরঙের বিভিন্ন ফুল ফেলে দিতে বাধ্য হচ্ছিল চাষী-ব্যবসায়ীরা। বাংলা নববর্ষে সেই ফুলের খানেকটা দাম বাড়তে শুরু করে। এরপর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দীঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন এবং অক্ষয় তৃতীয়ার কারণে ফুলের দাম খানিকটা বেড়েছে বলে জানালেন ফুলচাষী ও ফুলব্যবসায়ীরা।
সারা বাংলা ফুলচাষী ও ফুলব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন,গ্রীষ্মের মরশুমে এমনিতেই ফুলের বেশি ফলন হয়ে থাকে। চৈত্র মাসে সেই অর্থে বিয়ের লগন সহ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের প্রাচুর্য না থাকায় ফুলের দাম একেবারে তলানিতে পৌঁছে গিয়েছিল। সম্প্রতি দীঘার জগন্নাথমন্দির উদ্বোধন ও অক্ষয় তৃতীয়ার জোড়াফলার কারনে জেলার ফুলবাজারগুলিতে ফুলের বাজার ছিল অনেকটা চাঙ্গা। কোলাঘাট-দেউলিয়া-পাঁশকুড়া সহ বিভিন্ন ফুলবাজারে আজ রজনীগন্ধা-১৩০ টাকা কেজি,দোপাটি-৪০ টাকা কেজি,গাঁদা-৩৫ টাকা কেজি,পদ্ম-৫০ টাকা পিস, বেল- ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি,গোলাপ-২ টাকা পিস দরে বিক্রি হয়েছে।
পাঁশকুড়ার ফুলচাষী গনেশ মাইতি,দেউলিয়ার ফুলব্যবসায়ী অজিত মন্ডল, কোলাঘাটের ফুলচাষী বিশ্বজিৎ মান্নারা জানালেন, চৈত্র মাসে ফুল বিক্রি করে ফুল তোলার খরচটুকুও উঠেনি। বাংলা নববর্ষের পর খানিকটা দাম বাড়তে শুরু করেছিল,বর্তমানে ফুলের বাজার খানিকটা চড়া হয়েছে। তবে জেলায় ফুল থেকে উপজাত সামগ্রী তৈরীর বন্দোবস্ত থাকলে যে সময় ফুল অবিক্রি থাকে, সেই সময় লোকসানের মুখে পড়তো না।
No comments