Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

১৬ তম বর্ষে হাতিবেড়িয়া দীপশিখা ক্লাবের উদ্বোধন হল বাৎসরিক মনসা পূজা ও মিলন উৎসব

১৬ তম বর্ষে হাতিবেড়িয়া দীপশিখা ক্লাবের উদ্বোধন হল বাৎসরিক মনসা পূজা ও মিলন উৎসব
হলদিয়ার হাতিবেড়িয়া দীপশিখা ক্লাবের মনসা পুজো ও মিলন উৎসবে মেতেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
শুক্রবার ১৮ ই এপ্রিল শুরু হওয়া এই পুজো ঘিরে শুরু হয়েছে বিভিন্ন…



১৬ তম বর্ষে হাতিবেড়িয়া দীপশিখা ক্লাবের উদ্বোধন হল বাৎসরিক মনসা পূজা ও মিলন উৎসব


হলদিয়ার হাতিবেড়িয়া দীপশিখা ক্লাবের মনসা পুজো ও মিলন উৎসবে মেতেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।


শুক্রবার ১৮ ই এপ্রিল শুরু হওয়া এই পুজো ঘিরে শুরু হয়েছে বিভিন্ন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ক্লাবের এই উৎসবে মেতেছেন লাগোয়া ক্ষুদিরামনগর উদ্বাস্তু কলোনি ও নাড়ারচক এলাকার মানুষজনও।

সকালে ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে শুরু হয় দীপশিখা ক্লাবের উদ্যোগে মনসা পূজা ও ১৬তম বার্ষিক মিলন উৎসব।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় নবীন ও প্রবীণ বাসিন্দারা হাতে হাত মিলিয়ে নানা চমকপ্রদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। প্রতিবছর উদ্বোধনের সময় স্থানীয় প্রবীণদের মঞ্চে তুলে সম্মান জানানোর পাশাপাশি তাঁদের হাতে উপহার তুলে দেওয়ার রীতি রয়েছে। 


ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন 

https://youtu.be/t2pAQpP78s0


সেইসঙ্গে সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানে প্রবীণরা হলদিয়ার গ্রাম থেকে শহরে রূপান্তরের ইতিহাস তুলে ধরেন। দীপশিখা ক্লাবের পাঁচদিনের পুজো কার্যত উৎসবের চেহারা নেয়। দোকানপাট বসে গিয়ে মিনি মেলার চেহারা নেয়। ওই  মিলন উৎসবের জন্য সারা বছর মুখিয়ে থাকেন এলাকার আট থেকে আশি সবাই। ক্লাবের অন্যতম কর্মকর্তা চন্দন বেরা বলেন, মনসা পুজোকে ঘিরে এবার ১৬তম বার্ষিক মহামিলন উৎসব হচ্ছে। হাতিবেড়িয়া পশ্চিম পল্লির এই ক্লাবের নামকরণ করেছিলেন তৎকালীন পুর চেয়ারপার্সন তমালিকা পণ্ডাশেঠ। তিনি এই ওয়ার্ডের একসময় কাউন্সিলার ছিলেন। এলাকায় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বিকাশে ক্লাব প্রতিষ্ঠানগুলিকে উৎসাহিত করতেন। এবার ১৮-২২ এপ্রিল পর্যন্ত ক্লাবের অনুষ্ঠান হবে। এদিন সকালে ৭ কিলোমিটার ম্যারাথন দৌড়ের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে অনুষ্ঠান। সম্পাদক আসিস প্রামানিক,উৎসব কমিটির সম্পাদক শংকর মাইতি, ক্লাবের সভাপতি সুভাষ মাজি, কার্যকরী সভাপতি জয়ন্ত দাস বলেন, এবার প্রায় একশো জন প্রবীণকে সম্মান জানানো হয়েছে। এছাড়া বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে শতাধিক মানুষকে। ১৯এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যার আকর্ষণ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও রঙিন আতসবাজি সহযোগে মনসা মায়ের ঘটোত্তোলন। ওই রাতে কীর্তন গানের আসরে গাইবেন শিল্পী বাপন দাস। ২০ এপ্রিল রবিবার সকাল থেকে বসবে পসরা গানের আসর। শহরের নতুন প্রজন্মের কাছে লোকশিল্পকে তুলে ধরতেই লোকগানের আয়োজন করা হয়। ওইদিন দশ হাজার মানুষকে মনসা মায়ের ভোগপ্রসাদ বিতরণ করা হবে। প্রতিদিনই রয়েছে স্কুল পড়ুয়াদের জন্য গান, আবৃত্তি, নাচ, আঁকার প্রতিযোগিতা।২১শে এপ্রিল ছোটদের স্টেশন দৌড় প্রতিযোগিতা, বিবাহিত মহিলাদের কাঁছি টানাটানি।এছাড়া রয়েছে বড় আকারে গ্রুপ ডান্স প্রতিযোগিতা। শেষদিন ২২শে এপ্রিল বিচিত্রা অনুষ্ঠানে গাইবেন নামী শিল্পী সারেগামাপা খ্যাত অনিন্দিতা চন্দ, অনুরাগ সেন, প্রিয়াঙ্কা গজ। সঙ্গে থাকছে ওয়েস্টার্ন ডান্স ট্রুপ ‌‌। উৎসবের শেষ দিনের শেষ অনুষ্ঠান আতসবাজী সহকারী প্রতিমা নিরঞ্জন। সিঁদুর ও আবির খেলা।


No comments