Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের ছবি ও প্রসাদ পৌঁছোবে বাংলার সমস্ত বাড়িতে, সরকারি দফতরকে দায়িত্ব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের ছবি ও প্রসাদ পৌঁছোবে বাংলার সমস্ত বাড়িতে, সরকারি দফতরকে দায়িত্ব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
বুধবার অক্ষয়তৃতীয়ায় দিঘায় জগন্নাথ মন্দির দ্বারোদ্ঘাটনের আগে ‘মা-মাটি-মানুষ’কে তা উৎসর্গ করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্…

 


দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের ছবি ও প্রসাদ পৌঁছোবে বাংলার সমস্ত বাড়িতে, সরকারি দফতরকে দায়িত্ব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা


বুধবার অক্ষয়তৃতীয়ায় দিঘায় জগন্নাথ মন্দির দ্বারোদ্ঘাটনের আগে ‘মা-মাটি-মানুষ’কে তা উৎসর্গ করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘জয় জগন্নাথ’-এর পাশাপাশি বলেছেন ‘জয় বাংলা’ও।

দিঘার জগন্নাথধামের ছবি এবং প্রসাদ পৌঁছে যাবে বাংলার প্রতিটি বাড়িতে। মঙ্গলবার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটনের প্রাক্‌মুহূর্তে এই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ব্যাপারে তিনি দায়িত্ব সঁপেছেন রাজ্য সরকারের তথ্যসংস্কৃতি দফতরকে। ঘটনাচক্রে, মমতার হাতেই রয়েছে এই দফতরের মূল দায়িত্ব। দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হিসাবে রয়েছেন ইন্দ্রনীল সেন। শুধু বাংলার সব বাড়িতে নয়, সারা দেশে সমস্ত বিশিষ্টজনের বাড়িতেও দিঘার জগন্নাথধামের ছবি এবং প্রসাদ পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সেই তালিকায় মোদী-শাহ থাকবেন কি না, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।মুখ্যমন্ত্রী বুধবার বলেন, ‘‘বাংলার সব্বার বাড়ি বাড়ি মন্দিরের ছবি এবং সামান্য প্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব আমরা। এই দায়িত্বটা আমি আইএনসিএ (তথ্যসংস্কৃতি)-কে দিচ্ছি।’’ বুধবার দ্বারোদ্ঘাটন অনুষ্ঠানে যাঁরা আমন্ত্রিত, তাঁরা দিঘায় যে যে হোটেলে উঠেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের কাছে বুধবারেই জগন্নাথদেবের ছবি ও প্রসাদ পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমমন্ত্রী। বাংলার সব বাড়িতে দিঘার মন্দিরের ছবি এবং প্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচি বাস্তবায়িত হওয়া শুরু হলে তা হবে ভোটের এক বছর আগে বড় কর্মসূচি। অনেকে এই বিষয়টিকে বিজেপির হিন্দুত্বের ‘অস্ত্র’ ভোঁতা করার কৌশল হিসাবেও দেখছেন।সরকারি অর্থে ধর্মীয় উপাসনালয় নির্মাণ করা যায় কি না, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের ক্ষেত্রে সেই প্রশ্ন রাজনৈতিক ভাবে আগেই উঠেছিল। যদিও শাসক তৃণমূল তথা সরকারের তরফে পোশাকি নামের কথা বলা হয়েছিল। দিঘার এই প্রকল্পটির নাম ‘জগন্নাথ সেন্টার অফ কালচারাল এক্সেলেন্স’। কাজের শুরুটা সরকারি (হিডকো) উদ্যোগে হলেও আসলে এই স্থাপত্যের পরিচালনা করবে একটি ‘ট্রাস্ট’। ইতিমধ্যে সেই ট্রাস্ট তৈরিও হয়ে গিয়েছে। তবে মমতা প্রসাদ ও ছবি বিতরণের যে ঘোষণা করেছেন, তাতে সরকারি দফতরকেই যুক্ত করার কথা বলেছেন।

এ নিয়ে খোঁচা দিয়েছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপির অন্যতম মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়়ী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কি এটিকে আদৌ মন্দির বলছেন? সরকারি ভাবে কি তা বলা হচ্ছে? আমরা তো সরাসরি রামমন্দির বলি। কিন্তু দিঘার ক্ষেত্রেও কি তেমনই মন্দির? তবে সে উনি যা-ই করুন, ওঁর সরকারকে স্বয়ং জগন্নাথদেব রক্ষা করতে পারেন কি না, সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।’’ সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘সরকারের কাজ বেকার যুবকদের জন্য কাজের ব্যবস্থা করে সব বাড়িতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার (নিয়োগপত্র) পৌঁছে দেওয়া। তার বদলে মুখ্যমন্ত্রী প্রসাদ পাঠাবেন বলছেন। মানুষ তাঁদের অভিজ্ঞতায় বুঝতে পারছেন, কী ভাবে ধর্মকে ব্যবহার করছে তৃণমূল এবং বিজেপি দু’টি দলই।’’

মঙ্গলবার দিঘার জগন্নাথধামে মহাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যাতে পূর্ণাহুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পূর্ণাহূতির পরেই মন্দিরের চূড়ায় ধ্বজা বাঁধা হয়েছিল। একটি চক্রের মধ্যে বাঁধা হয় সেই ধ্বজাটি। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ওই চক্রটি অষ্টধাতু দিয়ে তৈরি। মন্দিরে রয়েছে চারটি দ্বার। পূর্বে সিংহদ্বার, পশ্চিমে ব্যাঘ্রদ্বার, দক্ষিণে অশ্বদ্বার এবং উত্তরে হস্তিদ্বার। এ ছাড়াও রয়েছে চৈতন্যদ্বার। দ্বারোদ্ঘাটনের আগে ‘মা-মাটি-মানুষ’কে মন্দির উৎসর্গ করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘জয় জগন্নাথ’-এর পাশাপাশি বলেছেন ‘জয় বাংলা’ও।

No comments