Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

খাল সংস্কারের বিশাল পরিমাণ মাটি বিক্রি না হওয়ায় আগামী বর্ষার পূর্বে সোয়াদিঘী খালের পূর্ণাঙ্গ সংস্কার নিয়ে প্রশ্ন। বর্ষায় ফের জলবন্দীর সম্ভবনা,ঠিকাদারের লোকজনদের নিয়ে সেচ দপ্তরের বৈঠক

খাল সংস্কারের বিশাল পরিমাণ মাটি বিক্রি না হওয়ায় আগামী বর্ষার পূর্বে সোয়াদিঘী খালের পূর্ণাঙ্গ সংস্কার নিয়ে প্রশ্ন। বর্ষায় ফের জলবন্দীর সম্ভবনা,ঠিকাদারের লোকজনদের নিয়ে সেচ দপ্তরের বৈঠক সংবাদদাতা- নারায়ণ চন্দ্র নায়ক : তমলুক মহক…

 



  খাল সংস্কারের বিশাল পরিমাণ মাটি বিক্রি না হওয়ায় আগামী বর্ষার পূর্বে সোয়াদিঘী খালের পূর্ণাঙ্গ সংস্কার নিয়ে প্রশ্ন। বর্ষায় ফের জলবন্দীর সম্ভবনা,ঠিকাদারের লোকজনদের নিয়ে সেচ দপ্তরের বৈঠক 

সংবাদদাতা- নারায়ণ চন্দ্র নায়ক : তমলুক মহকুমার গুরুত্বপূর্ন সোয়াদিঘী ও গঙ্গাখালি খাল দুটি খনিজ দপ্তরের অধীনস্থ ওয়েস্ট বেঙ্গল মিনারেল ডেভেলাপমেন্ট ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড  (WBMDTCL)সংস্কার করছে। সম্প্রতি পায়রাটুঙি খাল সংস্কারে হাত দিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ। প্রায় তিন মাস ঠিকাদার সোয়াদিঘী খাল সংস্কারে হাত দিলেও দেখা যাচ্ছে,তিন কিলোমিটার তো দূরের কথা,এক কিলোমিটার অংশও পূর্ণাঙ্গ সংস্কার হয়নি। শুধু তাই নয়,খাল সংস্কার শুরুর পর ১৪/১৫ টি মেশিন সংস্কারে কাজ করলেও বর্তমানে চালু সেই মেশিনের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৮/১০ টি। অথচ বর্ষা আসতে আর মাত্র দেড় মাস বাকি। প্রায় ১৯ কি.মি. দীর্ঘ সোয়াদিঘী খাল কবে পূর্ণাঙ্গ সংস্কার হবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। আসলে খাল সংস্কারের বিশাল পরিমাণ মাটি একসাথে বিক্রি না হওয়ায় ঠিকাদার কাজের গতি বাড়াতে পারছে না। 

অন্যদিকে গঙ্গাখালি ও পায়রাটুঙি খাল সংস্কারের কাজের গতিও অনুরূপ। অবিলম্বে খাল সংস্কারের কাজের গতি বাড়িয়ে আগামী বর্ষার পূর্বেই সমস্ত নিকাশী খালগুলি পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের দাবীতে সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙন প্রতিরোধ কমিটি ও সোয়াদিঘী খাল সংস্কার সমিতি জেলা শাসক ও জেলা সেচ দপ্তরে স্মারকলিপি দেয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সেচ দপ্তরের একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দেবব্রত সরকার আজ ঠিকাদার সংস্থার লোকজনদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার জুন মাসের মধ্যে ঠিকাদারের প্রতিনিধিদের সোয়াদিঘী থেকে রামতারক পর্যন্ত অংশ পূর্নাঙ্গ সংস্কারের নির্দেশ দেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক ও সোয়াদিঘী খাল সংস্কার সমিতির সম্পাদক মধুসূদন বেরার অভিযোগ,এইভাবে খাল সংস্কারের কাজ চলতে থাকলে আগামী বর্ষার পূর্বে সোয়াদিঘী থেকে রামতারক পর্যন্ত অংশ সংস্কার হবে কিনা সন্দেহ। ফলস্বরূপ আগামী বর্ষায় এলাকার মানুষজনদের আবার জলবন্দী পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে। মুখ থুবড়ে পড়বে নো কষ্ট পদ্ধতিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তথা রাজ্যের এই 'পাইলট' প্রকল্প।  

আসলে তমলুক মহকুমার সোয়াদিঘী-গঙ্গাখালি-পায়রটুঙি-টোপা সহ বেশ কয়েকটি খাল একসঙ্গে সংস্কার করার পরিপ্রেক্ষিতে বিশাল পরিমাণ মাটি একসাথে বিক্রি না হওয়ায় ঠিকাদার কাজের গতি বাড়াতে পারছে না বলে ঠিকাদার সূত্রে জানা গেছে। 



No comments