পঞ্চায়েতের প্রধানের ওবিসি সার্টিফিকেটের বৈধতা নিয়ে তদন্ত শুরু করল প্রশাসনচণ্ডীপুর ব্লকের ঈশ্বরপুর পঞ্চায়েতের প্রধানের ওবিসি সার্টিফিকেটের বৈধতা নিয়ে তদন্ত শুরু করল প্রশাসন। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান খুকুরানি মণ্ডলের ওবিসি সার্টিফি…
পঞ্চায়েতের প্রধানের ওবিসি সার্টিফিকেটের বৈধতা নিয়ে তদন্ত শুরু করল প্রশাসন
চণ্ডীপুর ব্লকের ঈশ্বরপুর পঞ্চায়েতের প্রধানের ওবিসি সার্টিফিকেটের বৈধতা নিয়ে তদন্ত শুরু করল প্রশাসন। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান খুকুরানি মণ্ডলের ওবিসি সার্টিফিকেট বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহা ওই প্রধানের ওবিসি সার্টিফিকেটের বৈধতা খতিয়ে দেখতে তমলুকের মহকুমা শাসককে নির্দেশ দেন। তার ভিত্তিতে সোমবার চণ্ডীপুরের বিডিও শাশ্বতপ্রকাশ লাহিড়ী ওই প্রধানকে নিজের অফিসে ডেকেছিলেন। সেখানে নিজের এবং পরিবারের অন্যদের আসল ওবিসি-বি সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার নির্দেশ ছিল। এদিন পঞ্চায়েত প্রধান বিডিও অফিসে হাজির হন। যদিও আসল ওবিসি সার্টিফিকেটের পরিবর্তে জেরক্স কপি জমা দিয়েছেন তিনি। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এনিয়ে তদন্ত হয়েছে বলে চণ্ডীপুরের বিডিও জানিয়েছেন। চলতি সপ্তাহেই প্রধানের সার্টিফিকেটের বৈধতা নিয়ে মহকুমা শাসকের কাছে রিপোর্ট পেশ করবেন বিডিও।
২০১৩ সাল থেকে পরপর তিনবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে পিছলদা বুথে জয়ী হন খুকুরানিদেবী। ২০১৩সাল নাগাদ তিনি ওবিসি সার্টিফিকেট বানিয়েছেন। ২০১৩সালে জেনারেল আসনে ভোটে দাঁড়ান খুকুরানি। তারপর ২০১৮ ও ২০২৩সালে পঞ্চায়েতে ওবিসি সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী হয়ে জয়ী হন। ২০২৩সালে ওই পঞ্চায়েতে প্রধান পদ ওবিসি সংরক্ষিত ছিল। তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব তাঁকে প্রধান নির্বাচিত করে। খুকুরানি আইসিডিএস কর্মীও।
প্রধানের ওবিসি সার্টিফিকেট অবৈধ বলে স্থানীয় বাসিন্দা রঞ্জিত রক্ষিত হাইকোর্টে মামলা করেন। সার্টিফিকেট ইস্যু করার সময় যথাযথ যাচাই করা হয়নি বলে অভিযোগ। তমলুক মহকুমা এলাকায় প্রতি বছর ভূরিভূরি ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেটের হদিশ মিলছে। ২০২৩সালে ২০জুলাই তমলুকের মহকুমা শাসক বিজ্ঞপ্তি জারি করে ১০৮টি ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট বাতিল করেন। সম্প্রতি নবান্ন থেকে ২৫০টি কাস্ট সার্টিফিকেটের বৈধতা যাচাই করতে তমলুক এসডিও অফিসে তালিকা সমেত নির্দেশ এসেছে। সেইমতো যাচাই করতে গিয়ে ২০টি ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেটের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। মহকুমা প্রশাসন শীঘ্রই ওইসব সার্টিফিকেট বাতিল করবে।
অভিযোগকারী রঞ্জিত রক্ষিত বলেন, ঈশ্বরপুর পঞ্চায়েতের প্রধানের ওবিসি সার্টিফিকেট বৈধ নয়। তমলুক এসডিও অফিস থেকে যথাযথভাবে নথি যাচাই না করে তাঁর নামে ওবিসি সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়েছিল। তাঁর সার্টিফিকেটের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেছিলাম। সেই মামলায় আদালত ওই প্রধানের সার্টিফিকেটের বৈধতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে। এসডিও কাস্ট সার্টিফিকেট ইস্যু করেন। তিনিই এই সার্টিফিকেট বাতিল করতে পারেন। তাই আদালত এসডিওকে সার্টিফিকেটের বৈধতা যাচাই করে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে।
এবিষয়ে খুকুরানি বলেন, আমাকে বিডিও ডেকেছিলেন। সেইমতো অফিসে গিয়েছিলাম। আমার কাস্ট সার্টিফিকেট কপি জমা করেছি। চণ্ডীপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুনীল প্রধান বলেন, খুকুরানির কাস্ট সার্টিফিকেটের বৈধতা নিয়ে একটা মামলা হয়েছে। তার ভিত্তিতে প্রশাসন তদন্ত করছে। চণ্ডীপুরের বিডিও বলেন, সোমবার শুনানি ছিল। সেখানে প্রধানকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তিনি আসল কাস্ট সার্টিফিকেট জমা দেননি। তাঁকে আসল সার্টিফিকেট দিতে বলা হয়েছে। এনিয়ে আমরা তদন্ত করেছি। এক সপ্তাহের মধ্যে এসডিও অফিসে রিপোর্ট দেওয়া হবে।
No comments