উপকূলে মাটি মাফিয়া দৌরাত্ম।পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূল ভাগে মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম ক্রমশ বাড়ছে। ভূমি দপ্তর ও পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে, শংকরপুর তাজপুর, রামনগর ও দিঘা এলাকায় রীতিমতো রাজ করছে মাটি মাফিয়ারা। ভূমি দপ্তরের রাজস্ব না দ…
উপকূলে মাটি মাফিয়া দৌরাত্ম।
পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূল ভাগে মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম ক্রমশ বাড়ছে। ভূমি দপ্তর ও পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে, শংকরপুর তাজপুর, রামনগর ও দিঘা এলাকায় রীতিমতো রাজ করছে মাটি মাফিয়ারা। ভূমি দপ্তরের রাজস্ব না দিয়েই, শংকরপুর ও সংলগ্ন এলাকা থেকে রাতের অন্ধকারে, অনেক সময় দিনের আলোতেও, মাটি পাচার হচ্ছে। এই মাটি অনেক সময় পাশের উড়িষ্যা রাজ্যতেও পাচার করা হয়। পাচারকারীরা মূলত ট্রাক্টরে মাটি পরিবহন করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ট্রাক্টরের নাম্বার প্লেট খুলে দেওয়া হয়। আবার যেসব ট্রাক্টারে নাম্বার প্লেট রয়েছে, তাদের অধিকাংশেরই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকে না। সম্প্রতি এমন মাটি পাচারকারী ট্র্যাক্টরকে আটক করেছে, মান্দারমনি উপকূল থানা ও রামনগর থানার পুলিশ। ভূমি দপ্তর এই ধরনের বেআইনি মাটি পাচার রুখতে মাঝে মাঝে অভিযান চালায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ট্রাক্টরের চালকরা পালিয়ে যান। আবার অনেক সময় পাচারকারীদের ধরে ‘ফাইন’ করেন ভূমি দফতরের আধিকারিকরা। প্রকাশ্য দিবালোকে মাটি পাচার করার সময় হাতেনাতে রামনগর বাজারে এমন দুটি মাটি বোঝাই ট্র্যাক্টরকে ধরে রামনগর ১ ব্লক ভূমি দপ্তরের আধিকারিকরা। চালকরা জানান গুরুপদ দাস নামে জনৈক ব্যক্তি এই মাটি পাচার চক্রের অন্যতম মাথা।
এই দুটি মাটি বোঝাই ট্রাক্টারকে রামনগর থানায় নিয়ে যান ভূমি দপ্তরের কর্মীরা। যাওয়ার পথেই ভূমি দফতরের চোখ এড়িয়ে রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে যায় একটি মাটি বোঝাই ট্রাক্টর। গোপন ডেরায় মাফিয়াদের কথামতো মাটি আনলোড করে দেয়, সেই ট্রাক্টর। এরপর রামনগর থানার পুলিশ বাহিনী নিয়ে সেই ট্রাক্টরের খোঁজে বের হয় ভূমি দপ্তরের কর্মীরা। ফের সেই ট্রাক্টারকে ধরে নিয়ে আসে রামনগর থানার পুলিশ।
দুটি ট্রাক্টার ও দুই চালককে আটক করেছে রামনগর থানার পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের দাবি, এই চক্রের পেছনে দিঘা ও রামনগর এলাকার কিছু দুষ্কৃতী যুক্ত। এই মাটি পাচার চক্রের মাফিয়াদের ধরতে তদন্ত শুরু করেছে রামনগর থানা।
No comments