সরকারি জায়গায় ঘুর পথে বিক্রি হচ্ছে!কলেজের জায়গা বিক্রি তৃণমূল নেতার শাশুড়িকে। সরকারি সম্পত্তি ঘুরপথে হড়প তৃণমূল নেতার। সেই জায়গা বিক্রি করেছে খোদ কলেজের প্রিন্সিপাল। মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ এলাকাবাসীর। এলাকায় বিতর্ক। ঘট…
সরকারি জায়গায় ঘুর পথে বিক্রি হচ্ছে!
কলেজের জায়গা বিক্রি তৃণমূল নেতার শাশুড়িকে। সরকারি সম্পত্তি ঘুরপথে হড়প তৃণমূল নেতার। সেই জায়গা বিক্রি করেছে খোদ কলেজের প্রিন্সিপাল। মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ এলাকাবাসীর। এলাকায় বিতর্ক। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরায়। এগরা শারদা শশীভূষণ কলেজের ২ ডেসিমিল জায়গা যার সরকারি মূল্য প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার বেশি। সেই জায়গা হস্তান্তর হয়েছে এগরা কলেজের আশিক্ষক কর্মী তথা এগরা শহর তৃণমূলের সভাপতি উদয় পালের শাশুড়ির নাম। কিন্তু কিভাবে কোন নিয়মে সরকারি সম্পত্তি তৃণমূল নেতার নিকট আত্মীয়র কাছে গেলো! জানা গেছে গত ৩১ শে জানুয়ারি এগরা কলেজের প্রিন্সিপাল দীপক তামিলি অবসর নিয়েছেন। তাঁর ঠিক ৩ দিন আগে অর্থাৎ ২৮ শে জানুয়ারি এগরা কলেজের ২ ডেসিমিল জায়গা তৃণমূল নেতার শাশুড়ি পম্পা নন্দের নামে নামমাত্র মূল্যে হস্তান্তর করা হয়েছে। যেই জায়গার সরকারি মূল্য ১৫ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা সেই জায়গা কি করে ৫ লক্ষ ৫১ হাজার টাকায় বিক্রি করা হলো? সরকারি জায়গা সরকারি মূল্যের কমে বিক্রি হলো। তাহলে কি এখানে প্রভাবশালী নেতার হওয়ার জন্যই এই সুবিধা পাওয়া গেছে? উঠছে একাধিক প্রশ্ন।এগরা কলেজ পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান রয়েছেন খোদ এগরার বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি। সরকারি জায়গা বিক্রির ক্ষেত্রে কলেজ পরিচালন কমিটি কি করে ছাড়পত্র দিলো? জায়গা বিক্রির নির্দিষ্ট বিজ্ঞাপ্তি কোথায় দেওয়ায় হয়েছে? তাঁর কোনো সঠিক তথ্য কেউ বলতে পারেনি। ৬ই ফেব্রুয়ারী এগরার মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানায় স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে এই বিষয়ে এগরা শহর তৃণমূলের সভাপতি উদয় পালের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এগরা পৌরসভার পৌরপিতা স্বপন নায়ক জানিয়েছেন, বিষয়টি আমি জানতাম না। অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে। এগরা কলেজের বর্তমান ছাত্র নিমাই দাস ও সেক সঞ্জু জানিয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে এগরা কলেজে এইভাবেই দুর্নীতি হচ্ছে। শুধু উদয় পাল বা কলেজের প্রিন্সিপাল দীপক তামিলি নয় আরো অনেকেই এই সব কাজে যুক্ত আছে। তদন্ত হলে সব সামনে আসবে। এগরা কলেজের আরো কয়েকটি জায়গা এই ভাবেই নেতারা নিজেদের নামে করে নিয়েছে। কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মানস করমহাপাত্র জানিয়েছেন এই এগরার গর্ব, এগরার সম্পদ। এগরা কলেজে দুর্নীতি অনেকদিন ধরেই চলছে, বিশেষ করে এগরার বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি যবে থেকে কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি হয়েছেন। সমস্ত বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। কলেজের প্রিন্সিপালের পেনশনের টাকা আটক করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী তুলেন।
No comments