Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

দুই ট্যাঙ্কার ভর্তি ২৪ হাজার লিটার কেরোসিন বাজেয়াপ্ত করেছে ডিস্ট্রিক্ট এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ

দুই ট্যাঙ্কার ভর্তি ২৪ হাজার লিটার কেরোসিন বাজেয়াপ্ত করেছে ডিস্ট্রিক্ট এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ
রেশনে পাওয়া নীল রংয়ের কেরোসিনে কেমিক্যাল মিশিয়ে তাকে সবুজ করে দেদার খোলা বাজারে বিক্রি হতো। সোমবার রাতে চণ্ডীপুর থানার নন্দকুমারে এরকম একট…

 

দুই ট্যাঙ্কার ভর্তি ২৪ হাজার লিটার কেরোসিন বাজেয়াপ্ত করেছে ডিস্ট্রিক্ট এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ


রেশনে পাওয়া নীল রংয়ের কেরোসিনে কেমিক্যাল মিশিয়ে তাকে সবুজ করে দেদার খোলা বাজারে বিক্রি হতো। সোমবার রাতে চণ্ডীপুর থানার নন্দকুমারে এরকম একটি বেআইনি ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়ে দুই ট্যাঙ্কার ভর্তি ২৪ হাজার লিটার কেরোসিন বাজেয়াপ্ত করেছে ডিস্ট্রিক্ট এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। ওই ঘটনায় দুই ট্যাঙ্কারের ড্রাইভার ও খালাসি মিলিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবৈধ ওই ফ্যাক্টরির মালিক উমাশঙ্কর প্রধান পলাতক। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে ডিইবি। তাঁর বেআইনি ফ্যাক্টরিতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে জেলা পুলিস। 

ডিএসপি (ডিইবি) শান্তব্রত চন্দ বলেন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় জাতীয় সড়ক বরাবর বিভিন্ন জায়গায় তেলের অবৈধ কাটিং চলে। হাওড়ার মৌড়িগ্রাম পর্যন্ত এধরনের অবৈধ ফ্যাক্টরি রয়েছে। কেরোসিন, ভোজ্য তেল, পেট্রল ও ডিজেলের মতো জ্বালানি তেলের অবৈধ কাটিং কারবার করা হয়। আমরা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চণ্ডীপুর থানার নন্দপুরে অভিযান চালিয়েছিলাম। দু’টি ট্যাঙ্কার ভর্তি কেরোসিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়াও চণ্ডীপুর-ভগবানপুর সীমানাবর্তী শ্রীকৃষ্ণপুরে একটি জায়গায় অভিযান হয়েছিল। সেখানে মাটির নীচে তেল মজুত করে রাখা হয়।

নীল রংয়ের কেরোসিন শুধুমাত্র সরকারি ভর্তুকিতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত কেরোসিন এজেন্ট থেকে পাওয়া যায়। এই তেল খোলা বাজারে বিক্রি করা যায় না। বিক্রি হলে সেটা অবৈধ বলে বিবেচিত। তাই অবৈধ কারবারীরা নানারকম কেমিক্যাল মিশিয়ে নীল রংয়ের কেরোসিনকে সবুজ করে দেয়। ওই সবুজ কেরোসিন খোলা বাজারে বিক্রি করলে কোনও সমস্যা নেই। চণ্ডীপুর থেকে নন্দীগ্রাম যাওয়ার রাস্তার ধারে নন্দপুরে ওই অবৈধ ফ্যাক্টরিতে কেমিক্যাল মেশানো হতো। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার রাতে ডিস্ট্রিক্ট এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ডিএসপি টিম নিয়ে নন্দকুমারে অভিযান চালান। হাতেনাতে দু’টি কেরোসিন ভর্তি ট্যাঙ্কার বাজেয়াপ্ত করা হয়। প্রতিটির মধ্যে ১২ হাজার লিটার কেরোসিন রয়েছে। সরকারি ভর্তুকিতে দেওয়া কেরোসিন ওই অবৈধ ফ্যাক্টরিতে আনা হয়েছিল। রং বদলের পর ওইসব কেরোসিন বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হতো। খোলাবাজারে অনেকটা বেশি দামে সবুজ রংয়ের কেরোসিন বিক্রি হয়।

জানা গিয়েছে, ভগবানপুর থানার বাজাবেড়িয়ায় কেরোসিন কাটিংয়ে অবৈধ ফ্যাক্টরি রমরমিয়ে চলছে। এছাড়াও নন্দকুমার থানার খঞ্চিতে চার-পাঁচটি ভোজ্য তেলের অবৈধ কাটিং ফ্যাক্টরি রয়েছে। নন্দকুমার থানার মাধবপুরে অবৈধভাবে পিচ কাটিং করা হয়। হলদিয়া থেকে মেচেদা পর্যন্ত ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের দু’ধারে বিভিন্ন জায়গায় এভাবে অবৈধ কাটিং কারবার চলে। পিচভর্তি গাড়ি থেকে বেশ খানিকটা পিচ নামানোর পর বিশেষ কেমিক্যাল মিশিয়ে ওজন বাড়ানো হয়। রাজস্থান থেকে সেই কেমিক্যাল আনা হয়। ভোজ্যতেল বাহী ট্যাঙ্কার চালকদের অনেকে কোমরে ৩০-৪০ কেজি ওজনের লোহার বেল্ট পরে নেন। ওই পরিমাণ তেল কাটিং করে নামানোর পর লোহার বেল্ট পরে গন্তব্যস্থলে ওজনের ঘাটতি পূরণ করেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় অবৈধ তেল কাটিংয়ের কারবার করে তিনজন পেট্রল পাম্প কিনে ফেলেছেন। 

No comments