১০০ শতাংশ বিদ্যুৎচালিত ট্রেন, নয়া প্রযুক্তি রেলের
ট্রেন থেকে কার্বন ও অন্য দূষণ সৃষ্টিকারী গ্যাস নিষ্ক্রমণের পরিমাণ একেবারে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনাই লক্ষ্য। এজন্যই দেশের প্রতিটা রেলওয়ে জোনে ১০০ শতাংশই ট্রেনকেই বিদ্যুৎচালিত হতে হব…
১০০ শতাংশ বিদ্যুৎচালিত ট্রেন, নয়া প্রযুক্তি রেলের
ট্রেন থেকে কার্বন ও অন্য দূষণ সৃষ্টিকারী গ্যাস নিষ্ক্রমণের পরিমাণ একেবারে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনাই লক্ষ্য। এজন্যই দেশের প্রতিটা রেলওয়ে জোনে ১০০ শতাংশই ট্রেনকেই বিদ্যুৎচালিত হতে হবে। শুধু পরিবেশরক্ষা নয়, ট্রেন চালানোর মাধ্যম যদি ডিজেলের বদলে বিদ্যুৎ হয়, তা হলে ভারতীয় রেলের এক একটি ট্রেন প্রতি কিলোমিটারে ২৫০ টাকারও বেশি সাশ্রয় করতে পারে বলে জানাচ্ছেন সংস্থার রোলিং স্টক বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা। ২০১৯-এর ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে বাণিজ্যিক ভাবে যাত্রী পরিবহণ শুরু করেছিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। নিউ দিল্লি রেল স্টেশন থেকে বেনারস পর্যন্ত রুট দিয়ে যাত্রা শুরু বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। তার ছ'বছর পর ২০২৫-এর মার্চে এসে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ১৩৬টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিয়মিত যাত্রী পরিবহণ করে চলেছে। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩০ কিলোমিটার গতিতে চলার ক্ষমতাসম্পন্ন এই ট্রেন গত ছ'বছরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ৪২ হাজার ট্রিপ দিয়েছে। বহন করেছে চার কোটির বেশি যাত্রী। সেমি-হাইস্পিড এই ট্রেনের জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে। আর খরচ? ভারতীয় রেলের ইঞ্জিনিয়াররা জানাচ্ছেন,
পুরোপুরি বিদ্যুৎচালিত এই ট্রেন এক কিলোমিটার চলতে মোট ২০ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয়। ভারতীয় রেল প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কেনে সাড়ে ছ'টাকায়। অর্থাৎ, বন্দে ভারত, রাজধানী, শতাব্দী বা তেজসের মতো ট্রেন এক কিলোমিটার চালাতে খরচ পড়ে ১৩০ টাকার কাছাকাছি। অন্য দিকে ইঞ্জিন যদি ডিজেল-চালিত হয়, তাহলে একটি ট্রেনকে এক কিলোমিটার নিয়ে যেতে অন্তত ৪০০ টাকা খরচ হয়।
বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা জানাচ্ছেন যদি ডিজেলের পরিবর্তে প্রতিটা দূরপাল্লার ট্রেনই বিদ্যুতে চলে, তা হলে এক একটি ট্রেন কিলোমিটারে গড়ে অন্তত ২৭০ টাকা বাঁচাতে পারবে। দেশের ৬৮ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথের জন্য বছরে এই সাশ্রয়ের অঙ্ক বিপুল। ইতিমধ্যেই ভারতীয় রেল খরচ বাঁচানোর জন্য শক্তি সংরক্ষণের দিকে বিশেষ জোর দিয়েছে। একদিকে ব্রেক কষার পর যে প্রচুর পরিমাণে তাপ উৎপন্ন হয়, সেই তাপকে বিদ্যুতে পরিণত করার প্রযুক্তি ব্যবহার করার হচ্ছে। অন্য দিকে, দূরপাল্লার ট্রেনে ১০০ বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য জেনারেশন কারের পরিবর্তে ওভারহেড তার থেকেই বিদ্যুৎ সংগ্রহের জন্য বিশেষ প্রযুক্তি-হেড অন জেনারেশন (এইচওজি) চালু করা হয়েছে।
No comments