রামকৃষ্ণ সংস্কৃতি কেন্দ্র ব্রজনাথচক জোড়া শিব মন্দিরে মহা শিবরাত্রি উৎসব
শিব চতুর্দশীতে মহা শিবরাত্রি ব্রত পালন করা হয় শিল্প তালুক ব্রজনাথ চক জোড়া শিব মন্দিরে। জল ঢালার জন্য পবিত্র গঙ্গাজল নেওয়ার জন্য প্রায় ছয় শতাধিক পুরুষ ম…
রামকৃষ্ণ সংস্কৃতি কেন্দ্র ব্রজনাথচক জোড়া শিব মন্দিরে মহা শিবরাত্রি উৎসব
শিব চতুর্দশীতে মহা শিবরাত্রি ব্রত পালন করা হয় শিল্প তালুক ব্রজনাথ চক জোড়া শিব মন্দিরে। জল ঢালার জন্য পবিত্র গঙ্গাজল নেওয়ার জন্য প্রায় ছয় শতাধিক পুরুষ মহিলা সুসজ্জিতভাবে হলদি নদী সপ্তপদী ও কৃষ্ণার্জুন ঘাটে গঙ্গাজল নিয়ে এসে জোড়া শিব মন্দিরে বাবার মাথায় জল ঢালা হয়।
হলদিয়ার ব্রজনাথচকের রামকৃষ্ণ সংস্কৃতি কেন্দ্রের উদ্যোগে বুধবার ২৬ শে ফেব্রুয়ারী মহা শিবরাত্রি উৎসবে মাতলেন টাউনশিপের ভক্তবৃন্দ।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
https://youtu.be/ko01XRRUGpE
এদিন সকালে বর্ণাঢ্য সহকারে মন্দির থেকে পবিত্র গঙ্গাজল আনার জন্য শোভাযাত্রা সহকারে হলদি নদী সপ্তপদী ঘাটে সকলে উপস্থিত হন।
মন্দির প্রাঙ্গণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন শ্রীমতি কাকুলি ভাদুড়ী ও শ্রীমতি সুপ্রিয়া দাস। উদ্বোধনী সভায় সঞ্চালনা করেন কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক আসিস মিশ্র, সূত্রে জানা যায়,সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কয়েক হাজার দর্শনার্থী আসবেন ব্রজনাথচকের জোড়া মন্দির প্রাঙ্গণে। একসঙ্গে কালী, শিব এবং শ্রীরামকৃষ্ণ-সারদা ও স্বামীজির তিনটি মন্দিরের কারণে স্থানীয়দের কাছে এটি জোড়া শিব মন্দির নামে প্রচলিত। টাউনশিপের জোড়া মন্দিরের শিবরাত্রি উদযাপন টাউনশিপ এলাকায় সাড়া ফেলেছে। জোড়া মন্দিরের শিবরাত্রির মাঙ্গলিক পদযাত্রা উপলক্ষ্যে কয়েকদিন আগে থেকে স্থানীয় মহিলা ভক্তদের মধ্যে সাড়া পড়ে। এদিন সকাল ৯ টায় মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয় সুসজ্জিত শোভাযাত্রা। শিব-দুর্গা সেজে পথনাটিকার আয়োজন করা হয়। হলদি ও হুগলি নদীর মোহনায় টাউনশিপের কৃষ্ণার্জুন ঘাট থেকে নদীর জল ঘটে ভরে মন্দিরে ফিরে শিবের মাথায় ঢালেন নানা বয়সের ছয় শতাধিক ভক্ত। মন্দির চত্বরজুড়ে শিবপুজোর ডালি নিয়ে দোকান বসে যায়। শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে এদিন বিশেষ পুজোর পাশাপাশি সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিব স্ত্রোত্রম পাঠ ও আবৃত্তির অনুষ্ঠান হয়। এরপর রামকৃষ্ণ সংস্কৃতি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণরত শিক্ষার্থীদের যোগব্যায়াম প্রদর্শনী হয়। মহিলা ভক্তদের নিয়ে তৈরি মানবকল্যাণ ভক্তবৃন্দ সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন হবে। এছাড়া ভক্তিমূলক গানের উপর তৈরি নৃত্যানুষ্ঠান পরিবেশিত হবে। শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উদ্বোধক শ্রীমতি সুপ্রিয়া দাস হলদিয়া বন্দর ডিজিটাল অনলাইনে মুখোমুখি হয়ে বলেন সকলের সুখ শান্তি সমৃদ্ধি মঙ্গলময় ভোলানাথের কাছে প্রার্থনা করলাম সকলে যেন সুস্থ থাকে আনন্দে থাকে। রামকৃষ্ণ সংস্কৃতি কেন্দ্রের সভাপতি শক্তিপদ ভুঁইয়া বলেন, ১৯৮৩ সালে শ্রীরামকৃষ্ণ, মা সারদা, স্বামীজির ভাবাদর্শে অনুপ্রাণিত মানুষজন সমবেত হয়ে এই সংগঠন গড়েন। ধীরে ধীরে তিনটি মন্দির তৈরি হয়েছে। মন্দিরে কল্পতরু উৎসব, কালীপুজো এবং শিবরাত্রি ঘটা করে উদযাপন চলে। এবছর কল্পতরু উৎসবে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষকে ভোগপ্রসাদ বিতরণ করা হয়। স্বামীজির জন্মদিনে পায়েস বিতরণের সঙ্গে দুঃস্থ পড়ুয়াদের বই, খাতা, স্কুলব্যাগ দেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন , সারা বছর ধরেই গরিব মেয়েদের বিয়ের ব্যবস্থা, রোগীদের হাসপাতালে পাঠানো, দুঃস্থ পড়ুয়াদের স্কুলে ভর্তির মতো সামাজিক কর্মসূচি নেওয়া হয়। শনি ও রবিবার পড়ুয়াদের যোগ ব্যায়ামের প্রশিক্ষণ, আঁকা শেখানো হয়। একইসঙ্গে স্কুল পড়ুয়াদের জন্য বিবেকানন্দ চর্চা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে।
No comments